পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
(রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ২৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২২ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(ধারাবাহিক)
পিতা-মাতার প্রতি সৎ ব্যবহার করতে হবে। তা কতটুকু করতে হবে?
যতটুকু মানুষের সামর্থ্য রয়েছে সাধ্য রয়েছে। সাধ্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সৎ ব্যবহার বা ইহ্সান করা প্রত্যেকেরই উপর দায়িত্ব কর্তব্য।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন-
يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ
আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কি ব্যয় করা হবে? কোথায় ব্যয় করা হবে?
قُلْ مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ
যে, আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কি এবং কোথায় ব্যয় করা হবে? আপনি বলে দিন, তোমরা ব্যয় করো। কোথায় ব্যয় করবে? সেটা কি ব্যয় করবে?
قُلِ الْعَفْوَ
আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, অতিরিক্ত যেটা সেটাই তোমরা ব্যয় করবে অর্থাৎ এ ব্যয় করাটা অতিরিক্ত হতে, কতটুকু অতিরিক্ত হবে এবং কোথায়
فَلِلْوَالِدَيْنِ
প্রথম যে ব্যয় করতে হবে সেটা হচ্ছে পিতা-মাতার জন্য। এরপর-
وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ
এরপর আত্মীয়-স্বজনদের জন্য, ইয়াতীম-মিসকীন, এরপর যারা মুসাফির তাদের জন্য। অর্থাৎ সন্তানের সম্পদ যেটা ব্যয় করবে সেটা হচ্ছে- তার পিতা-মাতার জন্য।
وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ
এবং তোমরা যে ভাল কাজ করে থাকো সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিন্তু জানেন।
কে কতটুকু খুলুছিয়াতের সাথে, কতটুকু মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করে থাকে সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন।
তোমরা প্রথম যেটা ব্যয় করবে সেটা হচ্ছে- তোমার পিতা-মাতার জন্য।
এবং সেটা কতটুুকু? কোনটা ব্যয় করবে? অতিরিক্ত। কোন অতিরিক্ত? অর্থাৎ নিজের যতটুকু দরকার রয়েছে, যেহেতু তাকে কামাই করতে হবে। এখন কামাই করতে গেলে তার যে দরকার রয়েছে সেটা গ্রহণ করে এরপর প্রথম যেটা ব্যয় করবে সেটা তার পিতা-মাতার জন্য ব্যয় করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ আত্মীয়-স্বজন, অন্যান্য যারা হক্বদার রয়েছে। ইয়াতীম-মিসকীন এবং যারা মুসাফির বা আরো যারা রয়েছে তাদের জন্য সেটা ব্যয় করতে হবে।
অর্থাৎ সন্তান সৎ ব্যবহার করবে পিতা-মাতার সাথে আচার-আচরণে, কথা-বার্তা, চাল-চলনে, এর সাথে সাথে তার আর্থিক দিক থেকে। যেমন সে বদনীভাবে করবে তেমনি মালীভাবে পিতা-মাতার হক্ব আদায় করতে হবে।
পিতা-মাতার যদি খাওয়া পরার অভাব হয়, কষ্ট হয়, তাহলে সন্তানের দায়িত্ব হবে পিতা-মাতার সেই কষ্টকে লাঘব করার জন্য, মোচন করার জন্য কোশেশ করা। এখন যতটুকু তার সামর্থ হবে ঠিক ততটুকু সে করবে। সামর্থ্যের বাইরে তাকে নির্দেশ বা আদেশ দেয়া হয়নি। তার সামর্থ্য অনুযায়ী সে বাপ-মায়ের জন্য খরচ করবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












