কুরবানীর হাটে কেন আদায় হবে ‘ইজারা’ ও ‘হাসিল’?
পূজা-পার্বণে সরকার কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে পারে, কুরবানীর পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় কেন ভর্তুকি দিতে পারবে না? (১)
, ০৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

একটা কুরবানীর পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় কত টাকা লাগে? বড়জোর লাখখানেক টাকা। সামান্য এই টাকা কি সরকার ভর্তুকি দিতে পারে না?
অথচ এই কুরবানীর হাটকে সরকার এখন ব্যবসা আর চাঁদাবাজির কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে। প্রথমত এই কুরবানীর পশুর হাটকে ইজারা দিয়ে সরকার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। এরপর এই হাটগুলোকে নিজেদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাড়া দিয়ে বিরাট চাঁদাবাজির কারখানা বানিয়ে ফেলে। তারা কুরবানীর হাটগুলোকে ‘হাসিলের’ ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য জেলাগুলোর প্রায় সকল গরু-ছাগলের হাট থেকেই এভাবে প্রশাসন বিপুল পরিমাণ টাকা কামাই করে।
গরু-ছাগলের হাট থেকে এ টাকা কামাই করার প্রক্রিয়া শুধু প্রশাসনের আমলাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। মূলত টাকা কামাইয়ের ধান্ধার এটা মাত্র শুরু। এরপর কমিশনের ভিত্তিতে এই হাটগুলোর ইজারা দেয়া হয় বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের। তারা হাটগুলো থেকে নিজেদের ইচ্ছামত ‘হাসিল’ নামক চাঁদাবাজির মাধ্যমে গরু-ছাগল ক্রেতা-বিক্রেতাদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এই ‘ইজারা’ ও ‘হাসিল’ মানেই যেহেতু কোটি কোটি টাকা কামাইয়ের ধান্ধা, তাই এটা নিয়ে প্রতিবছরই মারামারি, খুনোখুনির ঘটনাও ঘটে থাকে।
তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই ইজারা ও হাসিল প্রক্রিয়ায় সরকার লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কুরবানীর পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়পক্ষ।
হাটে কুরবানী দাতার কাছ থেকে পশুর কেনা দামের উপর যে ‘হাসিল’ আদায় করা হয়ে থাকে, তার কারণে কুরবানী দাতাকে পশুর কেনা দামের চেয়েও অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
এছাড়া হাটের ইজারাগ্রহীতারা অন্য হাটের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে জোরপূর্বক গরুর ট্রাক নিজেদের হাটে প্রবেশ করিয়ে থাকে। এতে করে গরু-ছাগল বিক্রেতারা হয়রানি ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে।
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, কুরবানীর পশুর হাট নিয়ে এই যে একপ্রকার ‘টাকাবাজি’, ‘চাঁদাবাজি’ ও কুরবানী দাতা ও পশু বিক্রেতাদের উপর জুলুম ও হয়রানি -এসব কিছুই ঘটতো না যদি সরকার নিজের কাছে হাটগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাখতো।
-আবুল কালাম আর রাযী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শত্রুকে না চিনলে আপনার মুসলমানিত্ব নিরাপদ থাকবে না
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র শবে বরাত’ পাওয়ার পরও গাফিল থাকে
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গান-বাজনা, খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা এগুলো একেকটা ভয়ঙ্কর মাদক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের বহু দেশের সবকিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতায় অথচ বাংলাদেশ এখনও ছবিযুক্ত ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেই ‘ভালো’ খারাপকে প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখে না, সেই ‘ভালো’ কখনোই ভালো নয়
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকেই মুসলমানরা শুধু বাংলাদেশ নয়; সারা কায়িনাতের আদিবাসী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু তুরস্ক নয়, গাজা পুনর্গঠনে গোটা মুসলিম বিশ্বের এখনি ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩০% বায়ুদূষণের কারণ ভারত এবং আরো ৩০% বায়ুদূষণের কারণ পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ উপদেষ্টার কোনো কথা বা কার্যক্রম নেই। ২০২২ সালে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রীটকারী ২০২৪ সালে পরিবেশ উপদেষ্টা হয়ে বলছেন বায়ুদূষণের দায় নিবো না। পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্যোগ- শুধু ইটভাটা আর পলিথিন বন্ধে- এ বৈষম্য আর জুলুম জনগণ বেশী বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কৃষকের কান্না দেখুন, কান্নার আওয়াজ শুনুন হিমাগারের সংখ্যা বাড়ান, ভাড়া কমান কৃষক ও কৃষির ক্ষেত্রেই সর্বাগ্রে সংস্কার শুরু করুন
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)