পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট সিন্ডিকেটমুক্ত করতে ডিম আমদানি বন্ধ ও খাদ্য আমদানির দাবি
এডমিন, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর
পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট সিন্ডিকেটমুক্ত করতে সরকারকে মুরগির বাচ্চার আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম স্থিতিশীল রাখতে মুরগির খাদ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটা হলে দেশের বাজারে খাদ্যের দাম কমে যাবে, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে পড়বে, লাভবান হবেন দেশের প্রান্তিক খামারিরা।
একই সঙ্গে খামারিদের সুরক্ষা দিতে ডিম আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, আমদানি করে সাময়িকভাবে ডিমের দাম কমানো গেলেও ভবিষ্যতে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হবে। ডিম আমদানির খবরে অনেক প্রান্তিক খামারি ডিম উৎপাদন থেকে সরে আসছেন।
গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
এসময় বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিমের বাজারে তদারকি হওয়ার ফলে এখন মুরগির বাচ্চার বাজারে লুটপাট শুরু করেছে কর্পোরেট সিন্ডিকেট। ডিম আমদানি করে সমস্যার সমাধান হবে না, আমদানির ফলে প্রান্তিক খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছেন। এতে বাজারে ডিমের তীব্র সংকট তৈরি হতে পারে। আমদানি করে হয়তো সাময়িক সমাধান পাওয়া যাবে; কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম কমাতে হবে। দাম কমাতে বর্তমানে এ খাতে যেসব কোম্পানি আছে, তাদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার বাজারে কর্পোরেট সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ কমানো গেলে ক্ষুদ্র খামারিরা সুরক্ষা পাবেন উল্লেখ করে সুমন হাওলাদার বলেন, দেশের লাখো ক্ষুদ্র খামারিদের সুরক্ষা না দিলে ভোক্তাদের আরও বেশি দামে ডিম ও মুরগি কিনতে হবে। এ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কর্পোরেট কোম্পানিগুলো খাদ্য, মুরগি, ডিম, মুরগির ওষুধসহ সব ব্যবসায় নেমেছে। সবকিছু তাদের হাতে থাকায় ক্ষুদ্র খামারিরা অসহায়। এ বাজারে তারা যে দাম দেয়, সেটাই মেনে নিতে হয়।
বিপিএর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ডিম আমদানি করার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডিম আমদানি করা হলে দাম কমবে, এমন কথা দেওয়া হলেও আদতে ডিমের দাম একটা সময় আরও বেড়ে যাবে এবং তখন ২০ টাকায় ডিম খেতে হবে।
সে জন্য আমদারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দেশের প্রান্তিক খামারিরা কীভাবে উৎপাদনে ফিরে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা উচিত।