প্রচলিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবর্তনের দাবির যৌক্তিকতা

, ২৪শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত

সরকারি আমলা ও প্রশাসন হিন্দুত্ববাদী রবীন্দ্রও তার মতাদর্শকে যেভাবে প্রচার-প্রসারে নেমেছে তা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তথা ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠি মুসলমানদের সংস্কৃতির সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেটা ভেবে দেখা অত্যন্ত জরুরী। নচেৎ প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে কি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তাহযীব-তামাদ্দুন অসম্পুর্ণ? নাউযুবিল্লাহ! কখনোই নয়। বরং মুসলমানদের তাহযীব-তামাদ্দুন এতই পরিপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ যে অমুসলিম বিধর্মীদের মাঝে যতটুকু সভ্যতার ছায়া দেখা যায় তাও তারা মুসলমানদের কাছ থেকেই চুরি করে শিখেছে।

বড় একটি বিষয় হলো- বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কি করে রবীন্দ্রের মত হিন্দুত্ববাদীর কবিতাকে কথিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসেবে পাঠ করা হয়? এটি মুসলমানদেরকে যে রহমত থেকে বঞ্চিত করে জহমতের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা সবারই চিন্তা করা উচিত।

দেশের সরকার ও প্রশাসনিক আমলাদের জানা উচিত- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম স্ব-রচিত বরকতময় যে না’ত শরীফ রয়েছে তা পাঠ করতে পারা দেশের সকল মানুষ তথা দেশের জন্য অসীম রহমত ও বরকতের কারন হবে। তাই সকল প্রকার বিধর্মী ও অমুসলিমদের কবিতা, গান, সংস্কৃতি বাদ দিয়ে একমাত্র দ্বীন ইসলাম উনার তাহযীব-তামাদ্দুন মুতাবিক ‘নাত শরীফ’ উনাকে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠ করার ব্যবস্থা করা উচিত।

-মুহম্মদ মারূফ।

ট্যাগসমূহঃ