প্রসঙ্গঃ ভারতকে এড়িয়ে পোশাক বাংলাদেশ রপ্তানি করায়, দিল্লির মাথায় হাত বাংলাদেশ ভারত ছাড়াই ভালোভাবে বাঁচতে পারবে ইনশাআল্লাহ কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া ভারত বাঁচতে পারবে না
, ০৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর পরিবর্তে এখন মালদ্বীপের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো হচ্ছে। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের নৌ ও বিমানবন্দর বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
লাইভমিন্টকে এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের মহাপরিচালক দীপক তিওয়ারি বলেছে, “আগে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিবহন হত। কিন্তু এখন তারা অন্যান্য রুটে তাদের পণ্য পরিবহন করছে। যার অর্থ আগে এসব পণ্যের কার্গো থেকে ভারত যে রাজস্ব পেত সেটি এখন পাচ্ছে না। এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) ভারতের অন্যতম বৃহৎ কার্গো পরিবহন সংস্থা।
দেশটির তিন কর্মকর্তা বলেছে, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক পণ্য জাহাজে করে প্রথমে মালদ্বীপে পাঠাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিশ্বব্যাপী গন্তব্যে পৌঁছানো হচ্ছে পণ্যগুলো। যার মধ্যে রয়েছে এইচঅ্যান্ডএম এবং জারার মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির পোশাকও।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারত দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করত ঢাকা। তাতে ভারত বিশাল কমিশন বানিজ্য করতো।
ভারতের বদলে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের বাণিজ্যিক লাভ শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া লজিস্টিক এবং কাঠামোগত প্রজেক্টে থাকা সহযোগিতাপূর্ণ সুযোগগুলো শঙ্কায় পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এক কর্মকর্তা বলেছে, “বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তে ভারত সরকার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে। যেটি ভারত হয়ে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে।
অর্থাৎ ভারত এখন বাঁচার জন্য বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
লাইভমিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন হাব এবং ভারতের পণ্য রপ্তানির জায়গা। ২০২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র তুলা রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
অর্থাৎ বাংলাদেশে যদি ভারত তার জন্য রপ্তানী করতে না পারে তা হলে ভারতই না খেয়ে মড়ার অবস্থা তৈরী হবে। বিপরীতে ভারত ছাড়া বাংলাদেশের জন্য পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান মুসলমান দেশ হিসেবে তাদের থেকে সহযোগীতা নেয়া উচিত।
মালদ্বীপ এয়ারপোর্টস কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড সমুদ্র-বিমান পরিবহন সেবা দিয়ে থাকে। তারা পণ্য প্রথমে মালদ্বীপে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে বিমানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পাঠায়। এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চে। প্রথম যেসব পণ্য তারা পরিবহন করেছিল সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ছিল বলে কোম্পানিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তাদের সঙ্গে যুক্ত আছে কাতার এয়ারওয়েজ, আমিরাত, তার্কিস এয়ারলাইন্স, এরোফ্লোট, গালফ এয়ার, নিউস এয়ারলাইন্স এবং ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। এই বিমানসংস্থাগুলোর মাধ্যমে কোম্পানিটি পণ্য পরিবহন করে।
পাশাপাশি, অর্থাৎ মালদ্বীপের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক জাহাজে রপ্তানী করায় কোনোই অসুবিধা সুবিধা নেই।
কেবলমাত্র ভারতের দাম সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষায়ই এতদিন ভারতমুখী থেকেছে। এখন পরের ধনে পোদ্দারী করা। ভারত মর্মে মর্মে বুঝুক যে বাংলাদেশই তাদের বেঁচে থাকার উৎস।
-ওয়ালীউল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকদের দৈন্যতা প্রকট হয় ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘ফ্যাসিবাদী’ উচ্চারণে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত তাগুত, মহা জালিম ও চরম সীমালঙ্ঘনকারী উচ্চারণ না করে বিজাতীয় ভাষা ‘ফ্যাসিস্ট’ উল্লেখ করে তারা হিটলার, মুসোলিনির কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিজেরা আরেক জুলুম করছে
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
“বাকৃবিতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে র্যাগ দেওয়ায় ২৮ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার” হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশ থাকার পরও নতুন করে র্যাগিং-এর ঘটনা হয় কী করে? শক্ত শাস্তিমূলক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বদ দোয়ায় সন্ত্রাসী দখলদার ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সহচর জার্মানীতে এখন চলছে বিরল নিঃসঙ্গতার কঠিন মহাগযব
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতালে ৬ রেডিওথেরাপি মেশিনের সবগুলোই বিকল দেশে চিকিৎসা ব্যাহত করে ভারতে রোগী পাঠানোর জন্য এ দেশের হাসপাতালগুলোতে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রীরাই বড় বড় মেশিনগুলো অকেজো করে রাখে। সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং প্রতিরোধ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রকাশ্যেই হচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী কাজ- প্রতিবাদ না করার পরিণতি কখনোই ভালো নয়
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা শব্দগুলো যখন হিন্দুত্ববাদের খপ্পরে! স্নাতক শব্দটিরও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে; যা নিতান্তই স্নান ও পৈতে পরিয়ে শিক্ষা সমাপনের স্বীকৃতি দানের সাথে সম্পর্কযুক্ত
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৬৫ পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর পর এবার মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ব্যবহার করতে পারবেন ৪৪ টাকা এই কী অন্তর্বর্তী সরকার? ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোই কী তাদের হাতিয়ার?
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রোববার রাত থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকা ২২০ বাংলাদেশি যাত্রী। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের দেয়া হয়নি এক ফোটা পানি এবং মুমূর্ষ রোগী হওয়া সত্ত্বেও নেয়া হয় নি হাসপাতালে। মুসলমানদের প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও পৈশাচিকতা জাহির হলো আরো একবার।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে সিলেবাসে ১০০% ভাগ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূূলক করতে হবে
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপদেষ্টারা ভারত বিরোধী গরম বক্তব্য দিবে, ভারতকে দ্বিচারী বলবে কিন্তু ভারত থেকেই সব আমদানী করবে পাশাপাশি ৫০ বিচারককে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে পাঠাবে- এটা কী উপদেষ্টাদের দ্বিচারিতা নয়?
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পতিত সরকারের- বিদ্যুৎ খাতের প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি জনগণ কতটুকু উপলব্ধি করেছে? ১৫ বছর ধরে যে দুর্নীতি হল জনগণ তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল কেনো?
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খবরে হেডিং হয়েছে, “পর্যটকের অভাবে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে’ লালবাতি” শুধু কলকাতা নয় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী নির্ভরতা ছাড়া গোটা ভারতের অর্থনীতিতেই জ্বলবে লালবাতি
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)