মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
, ৬ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
বিজ্ঞান সাধনার নামে, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে যুক্ত থাকার নামে প্রগতির পথে পরিচালিত হওয়ার নামে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক সাধারণ মুসলমানদের যেমন গাফিল ও গুমরাহ করেছিল।
তেমনি সে ধারাবাহিকতায় তারা ‘ওয়ায়েজদেরও প্রভাবিত করেছিল নাউযুবিল্লাহ। ওয়ায়েজদের আলোচনায় বেশিরভাগই থাকে নারী সংক্রান্ত বিষয় এবং হুর-গেলমানদের মোহাবিষ্ট আকর্ষণীয় বর্ণনা’- ইত্যকার সমালোচনায় তারা মুখর ছিল। বিশেষ করে স্বাধীনতা উত্তর হুর-গেলমানের চিত্তাকর্ষক ওয়ায়েজের বিরোধিতা দিন দিন তীব্র ও জোরালো হয়। এ ফাঁদে পা দিয়ে তখন থেকেই অদূরদর্শী ও অজ্ঞ ওয়ায়েজরা হুর-গেলমানের ও অকল্পনীয় বেহেশতী সুখের আলোচনা থেকে বিরত রয়। এবং এখন পর্যন্ত এ আলোচনা একেবারেই অবান্তর বলে অনুশীলিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ! বিশেষ করে যে যত তথাকথিত স্মার্ট ও চৌকস বক্তা মনে করে সে হুর-গেলমান, বেহেশতী সুখের আলোচনাকে তত বেশিভাবে পরিহার করে। নাঊযুবিল্লাহ!
আর এ সুযোগটি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীরা চরমভাবে লুফে নেয়। তারা বেহেশতী হুর-গেলমানের কল্পনার প্রতি কটূক্তি করে। বেহেশতী হুর-গেলমানের প্রতি লোভ করার প্রতি কঠোরভাবে নিন্দাবাদ প্রচার করে ও ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায়। কিন্তু তার বিপরীতে তারা আজকের কথিত নায়িকা, গায়িকা, মডেল, রূপজীবী তথা দেহব্যবসায়ীদের আলোচনা ও বিবস্ত্র ছবির অবাধ বিস্তার ঘটায়। যত দিন যাচ্ছে এর পরিধি ও পরিম-ল তথা পরিচর্যা ততই বাড়ছে। নাঊযুবিল্লাহ! কিছুদিন পূর্বেও এসব নায়িকা, গায়িকাদের যেসব ছবি অশ্লীল গণ্য করে আলাদা সিনে পত্রিকায় পত্রস্থ হতো; এখন তার চেয়ে অনেক বেশি অশ্লীল ছবি তথাকথিত প্রতিটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়ই অত্যন্ত অন্যায় ও গর্হিতরূপে প্রকাশিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
শুধু তাই নয়, মুসলমান নতুন প্রজন্ম থেকে শিশুরাও আজ হুর-গেলমানকে অচ্ছুৎভাবে বিবেচনা করছে। পক্ষান্তরে তারা গো-গ্রাসে গিলছে- “একান্তবাস আবেদনময়ী”, “আইটেম গার্ল”, “সেলিব্রেটি”, “বলিউড তারকা”, “ঢালিউড তারকা”, “রূপালী পর্দায় শরীর দেখিয়ে ঝড় তোলা”, “ড্রিম গার্ল”, “আইকন”, “আইডল”, “মডেল”, “র্যাম্প মডেল”, “সুপার স্টার” ইত্যাদি সব জঘন্য শব্দ।
উল্লেখ্য, নতুন প্রজন্ম থেকে আমলহীন প্রবীণরাও এখন এসব শব্দ আয়েশ করে আওড়ায়। তাড়িয়ে তাড়িয়ে এদের বিবস্ত্র ছবি দেখে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এদের ভোগ করে। দেহরেখা পাঠ করে। নাঊযুবিল্লাহ! পত্রিকাগুলো এদের রগরগে বর্ণনা দেয়। বিবসনা অঙ্গিভঙ্গীকে হিট পারফর্মেন্স বলে উল্লেখ করে। নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ এসব অশ্লীল, চরিত্রহীন, বিবস্ত্রপনা শব্দ আউরাতে, লিখতে, ছবি ছাপতে তাদের প্রতি মনোযোগ তৈরিতে এবং দিতে তাদের কোনো কুণ্ঠা নেই। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু তাদের যত শ্লেষ আর ঘৃণা এবং সংকুচিত মনোভাব বেহেশতী সুখ, হুর-গেলমান ইত্যাদি নিয়ামত অনুধাবনে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ হুর-গেলমানের আলোচনা ও আকর্ষণ সাধারণ মুসলমানের নফসকে নিবৃত্ত রাখতে পারতো সব নারীদেহ অবলোকনে। বিরত রাখতে পারতো সিনেমা, টিভি ইত্যাদি সব হারাম থেকে। অনুপ্রাণিত করতো চোখ ও চরিত্র সুরক্ষায়। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ না করায়। এবং মুত্তাকী মুসলমান হওয়ায়। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি হুরদের সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, তথায় থাকবে হুর তথা আনতনয়ন নারীগণ, কোনো জিন ও মানুষ পূর্বে যাদের স্পর্শ করেনি। প্রবাল ও ইয়াকুত সদৃশ নারীগণ। সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা খুব ছূরত নারীগণ। কোনো জিন ও মানুষ পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি। তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। (পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ)
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ। এ সমস্ত আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, তারা নিজেদের কৃতকর্মের বিনিময়ে প্রাপ্ত হবে। আমি হুরদেরকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী মনোহারিণী, সমবয়স্কা। (পবিত্র সূরা ওয়াকিয়া শরীফ)
এছাড়াও সম্মানিতা হুরদের সম্পর্কে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফ, পবিত্র সূরা আদ দুখান শরীফ, পবিত্র সূরা তুর শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মানুষের সহজাত একান্তবাস প্রবণতাকে বিকৃতভাবে ও প্রবলভাবে প্ররোচিত করছে অনৈসলামী অর্থনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি। এতে হারিয়ে যাচ্ছে সম্মানিত ইসলামী অনুভূতি। সুতরাং সাধারণ মুসলমানদের আমল রক্ষার্থে বেহেশতের সুখ ও হুরী নিয়ামত রোমান্থন হতে পারে এক নির্মল সহায়ক শক্তি। সঙ্গতকারণেই এক্ষেত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষীদের বিরূপ মন্তব্যকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উৎসাহব্যাঞ্জক বেহেশতী সুখ তথা হুর-গেলমানের নিয়ামত বর্ণনা, ওয়াজে, লেখনীতে, বিজ্ঞাপনে, বিলবোর্ডে আসতে হবে। মুসলমান মানসে ছড়িয়ে দিতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












