ফিলিস্তিনের মুক্তিকামীরা কেন সফল হয়, অন্যরা কেন সফল হয় না? (১)
, ০৫ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
প্রশ্ন হচ্ছে, হামাস ও অন্যান্য মুক্তিকামীদের কাছে কি এমন শক্তি আছে, যার কারণ তারা এত শক্তিশালী দলকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে? পৃথিবীর অনেক এলাকাতেই তো কাফির মুশরিকরা মুসলমানদের যুলুম নিপীড়ন করছে। সে সব এলাকার মুসলমানরা তো সফলতা পাচ্ছে না। কিন্তু তারা কেন সফল হচ্ছে? কারণ কি? আজ আমাদের আলোচনা সে বিষয় নিয়ে।
প্রথমেই আপনাদের একটি হাদীস শরীফ বলবো। হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “শীঘ্রই এমন একসময় আসবে, যখন এই পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিরা (কাফিররা) একে অপরকে মুসলিমদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য পরস্পরকে আহবান করবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানের দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে!” কেউ একজন জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসূল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই সময় কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো?” উত্তরে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, “না, সে সময় সংখ্যায় তোমরা হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা হবে বানের পানিতে ভেসে আসা খড়কুটোর মতো [অর্থাৎ, শক্তিহীন]। শত্রুদের অন্তরে তোমাদের সম্পর্কে যে ভয় আছে মহান আল্লাহ পাক তা উঠিয়ে নেবেন এবং তোমাদের অন্তরে তিনি ওহান নিক্ষেপ করবেন।” একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ! ওহান কি?” উত্তরে তিনি বললেন, “দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত আর মৃত্যুর প্রতি অনিহা বা ভয়।” [আবু দাউদ এবং আহমদ]
এ হাদীস শরীফ পাঠ করে আমরা বুঝতে পারি, মুসলমানরা যখন পরকালের কথা ভুলে দুনিয়াতে মশগুল হবে তখনই কাফিররা মুসলমানদের উপর প্রাধান্য পাবে। বর্তমানে তাই হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে, মুসলমানরা দুনিয়ার মুহব্বতে গরক হয়ে গেছে। দুনিয়ার ক্যারিয়ার, টাকা পয়সা তাদের কাছে বড়। কাফির-ফাসেকরা কি বললো, কি মনে করলো, সেটা তাদের কাছে অনেক বড়। এজন্য তারা কাফিরদের বিরুদ্ধে কিছু করতে বা বলতে ভয় পায়। আবার তারা কাফিরদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়লে যদি কাফিররা তাদের মেরে ফেলে, এই মৃত্যু ভয়ও পায় তারা। অর্থাৎ বর্তমান মুসলমানদের দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত তৈরী হয়েছে এবং মৃত্যুর প্রতি ভয় বা অনিহা তৈরী হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায়, মুসলমানদের অন্তরে ওহান প্রবেশ করেছে এবং কাফিরদের অন্তর থেকে মুসলমানদের প্রতি ভয়কে তুলে নেয়া হয়েছে। আর তাতেই সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা প্রচুর হওয়া সত্ত্বেও তারা পেরে উঠছে না, বরং কাফিররা একত্র হয়ে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে।
-ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিজাতীয়দের দেশগুলোর ‘সন্ত্রাসীপনার’ একটি পরিসংখ্যান
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খিলাফত মানে কী?
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারিকেল দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমনে বাধা; নেপথ্যে রয়েছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নারিকেল দ্বীপকে যেভাবে করা হয়েছিলো সেন্টমার্টিন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৬)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দূষণের অজুহাতে নারিকেল দ্বীপে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে হলে, সবার আগে রাজধানী ঢাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৫)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৪)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৩)
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (৯)
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)