স্বাস্থ্যকথা:
ফুড পয়জনিং হলে কি করবেন ?
, ০৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) চিকিৎসা
হঠাৎ পেট খারাপ হলেই ভেবে নেবেন না যে, ফুড পয়জনিং হয়েছে। আবার সব খাবার খেলেই ফুড পয়জনিং হয়না। কেবলমাত্র ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিনযুক্ত খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফুড পয়জনিং এর কারণগুলো :
দুধ ও দুধজাতীয় খাবার : সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু খাবার থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। প্রথমত যেমন, দুধ ও অন্যান্য মিল্ক প্রডাক্ট। দুধ ভালো করে না ফুটালে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। ফলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
রান্না করা গোশত তুলনামূলকভাবে রান্না গোশতের থেকে কাঁচা গোশত বেশি নিরাপদ। যদি কাঁচা গোশত ভালো করে প্যাক করে ফ্রিজে রেখে দেন, তাহলে ১৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। রান্না গোশত দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা যায় না, নষ্ট হয়ে যায়। সেই গোশত খেলে নিশ্চিত ফুড পয়জনিং , যদিও দেখতে একই রকম দেখা যায় ।
কেটে রাখা ফল কিংবা সবজি : কেটে রাখা ফল কিংবা সবজি অনেকক্ষণ খোলা পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ফল, শাকসবজির ওপর পোকামাকড় মারার বিষ স্প্রে করা হয়, যা শুধু পানি দিয়ে ধুলে সম্পূর্ণভাবে যায় না এবং শরীরের ক্ষতি করে।
ফ্রোজেন খাবার : বোতলজাত বিশেষ করে ক্যানড, ফ্রোজেন বা বেকড খাবার ঠিকমতো না রাখলে বা বেক না করলে তা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
ফুড পয়জনিং এ সৃষ্ট অসুবিধাগুলো :
ফুড পয়জনিং হলে বারবার বমি হয়। কোনো খাবার পেটে থাকে না। ডায়রিয়া, বারবার বাথরুমে যেতে হয়। ডিহাইড্রেশন দেখা যায়। ক্লান্ত লাগে, কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। অনেক সময় জ্বর হয়। টেম্পারেচার যথেষ্ট বেশি থাকে।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার :
ফুড পয়জনিং প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা আমরা নিতে পারি , যেমন, খাবার যেন কোনোভাবেই দূষিত না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। ভালো করে হাত না ধুয়ে খাওয়া একেবারেই অনুচিত। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে। খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। রান্না করার সময় বাসন ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার স্টোর করার সময়ও সচেতন থাকতে হবে। পানি থেকে অসুস্থ হওয়া খুব স্বাভাবিক। ভালো করে বিশুদ্ধ না করে সে পানি পান করবেন না। নিয়মিত বাড়ির পাইপলাইন চেক করান, পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার রাখুন, সপ্তাহে অন্তত একবার।
আপনার নিজের ফুড পয়জনিং হলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বাচ্চাকে খাবার খাওয়ান। আবার বাচ্চার বমি, বাথরুম হওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। সেক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়ানো আবশ্যিক। তবে, এক্ষেত্রে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তার দেখানোই সবচেয়ে ভালো উপায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এলার্জিতে যখন নাকের সর্দি-হাঁচি সমস্যা
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কোমর ব্যথা উপশমে ফিজিওথেরাপি
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া করার কারণ কি
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কিডনিতে পাথর কেন হয়
০৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাঁটু ব্যথায় কি কি করবেন?
৩০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাদ্যের কাজ ও উপাদান (১)
০৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নার্সিং পেশায় নারীদের বেহায়াপনা পোশাক মুসলিম রোগীদের কাম্য নয়
২৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঈদের খাবার কতটুকু খাবেন
১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করা যাবে না
১২ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আঁকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসা কী
১৮ জুন, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চোখের অ্যালার্জি
১১ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাইলস কি এবং কাদের হয়
০৩ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)