ফ্রান্সের অব্যাহত লুটপাট! একটি সমৃদ্ধ জনপদের ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার না জানা ইতিহাস (৩)
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
৩) মালি সাম্রাজ্যে! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের রাজ্য!
ঘানা সাম্রাজ্যের ধ্বংসের উপরই একসময় উৎপত্তি হয় মালি সাম্রাজ্যের। এই সাম্রাজ্যের বিখ্যাত শাসক ছিলেন দুইজন। একজন হলেন মালি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা “সুন্দিয়াতা”। যিনি ১২৩০ হতে ১২৫৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। অপর বিখ্যাত শাসক ছিলেন “মানস মুসা”।
মানস মুসা ১৩১২ সাল থেকে ১৩৩৭ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৫ বছর মালি সাম্রাজ্য তথা আজকের মালি, মৌরতানিয়া, সেনেগাল, নাইজারকে শাসন করেছিলেন। তিনি খুবই দ্বীনদার ছিলেন। তার আগের শাসকরা যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় স্কলারের অপছন্দের ছিলেন, সে জায়গায় মানস মুসাকে ইসলামী স্কলাররা অনেক পছন্দ করতেন।
মানস মুসা সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে আছেন তার হজ্জ পালনের মধ্য দিয়ে। পশ্চিম আফ্রিকা হতে বালিময় বিস্তীর্ণ সাহারা পাড়ি দিয়ে তিনি মিশর পৌঁছান। এরপর মিশর হতে মক্কা শরীফে যায় তার বিশাল হজ্জ বহর। সুদীর্ঘ এই রওয়ানাপথে তিনি এতবেশি স্বর্ণ দান করেছিলেন যে, মিশরে এরপর কয়েক দশক স্বর্ণের দাম খুব কম ছিলো।
১৩২৪-২৫ সালে তার এই হজ্জব্রতের ঘটনা ঘটে। মক্কা শরীফ হতে ফিরে আসার সময় তিনি অনেক স্কলার ও স্থাপত্যবিদদের সাথে করে নিয়ে আনেন। এই সকল স্কলাররা মালিতে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটান। আর স্থাপত্যবিদরা শৈলীপূর্ণ স্থাপত্য নির্মাণ করেন। এই স্থাপত্যবিদরা সে সময় ৫টি অপূর্ব মসজিদ নির্মাণ করেন মালি সাম্রাজ্যের বুকে। এছাড়াও আরব হতে আসা স্কলাররা মালির প্রশাসনিক সিস্টেমকেও সুগঠিত করে তোলে।
মানস মুসা এই জ্ঞানী ব্যক্তিদের আনার মধ্য দিয়ে মালিতে ইসলামের ভিত মজবুত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ও মালিকে আরো সুগঠিত করতে সক্ষম হন। মানস মুসার সময়ে মালি কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে মিশর, তিউনিসিয়াসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের সাথে। আর এভাবে মানস মুসা মালিকে পরিচিত করে তোলেন বিশ্বব্যাপী।
মালি সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগে মালিতে ভ্রমণ করতে চসেন বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা। তার সময়ে শাসক ছিলেন মানস সুলায়মান (১৩৪১-৬০)।
ইবনে বতুতা তার ভ্রমণ বিবরণীতে মালিকে একটি উনত ও সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে উল্লেখ করেন। ইবনে বতুতা ছাড়াও আরো অনেক বিখ্যাত পরিব্রাজক ও স্কলাররা সে সময় মালিতে ভ্রমণ করতে ও জ্ঞান অর্জন করতে যেতো। (চলবে)
-মুহম্মদ কুররাতুল আইন হায়দার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












