বর্তমানে দেশকে উন্নত করতে হলে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের বিকল্প নেই (১)
, ০৬ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। লক্ষ্য করে দেখবেন, দেশের কোন প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করতে গেলেই কিছু এনজিও বা গোষ্ঠী এসে বাধা দিয়ে বলবে, প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করলে পরিবেশ দূষণ হবে। দেখা যায়, এসব এনজিও বা গোষ্ঠীর পেছনে বৈদেশিক ফান্ডিং থাকে। অথচ নিজ দেশের সম্পদ উত্তোলন না করে আপনি যখন নিজ দেশের প্রয়োজন বিদেশ থেকে আমদানি করে মেটাবেন, তখন তারা কিন্তু কিছু বলবে না। অর্থাৎ ঐ এনজিও বা গোষ্ঠীটি দেশের সম্পদ উত্তোলনের বিপক্ষে কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানির পক্ষে। অথচ পরিবেশের কিন্তু দেশ-সীমা নেই। পরিবেশ কথা যদি চিন্তা করতেই হয়, তবে যে কোন দেশ থেকে আমদানি করার বিরোধীতা করা উচিত। কারণ তাদেরও তো পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ বিশেষ গোষ্ঠীটি তা করে না।
আসলে বর্তমানে যে কোন পরিবেশবাদী বয়ান (হধৎৎধঃরাব) পেছনে যতটা না পরিবেশগত স্বার্থ থাকে, তার থেকে বেশি থাকে ভিন্ন কোন স্বার্থ। বিশেষ করে একপক্ষ অন্যপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এসব পরিবেশবাদী বয়ান (হধৎৎধঃরাব) দেয়। যেমন, ধরুন ‘বেলা’ নামক একটি বিদেশী পদদপুষ্ট এনজিও পরিবেশের কথা বলে সিলেট বিভাগ থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য কাজ করছে। কিন্তু সিলেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ করলেও তো বিভিন্ন নির্মাণ কাজে পাথরের প্রয়োজন আছে। সেই পাথর আমদানি করা হচ্ছে ভারত বা ভুটান থেকে। ফলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছে। আবার দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা মানেই ডলার ব্যবহার। আমরা জানি ফিয়াট কারেন্সি মার্কিন ডলারের দাম নির্ভর করে চাহিদা-যোগানের উপর। আমেরিকা বিশ্বজুড়ে প্রচুর খরচ করে, বিশেষ করে ইসরাইল-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা খরচ করছে। কিন্তু সেই খরচ মেটাতে গিয়ে আমেরিকার ডলারের দাম নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই নেমে যাওয়া বন্ধ করতে আমেরিকা চাইবে ডলারের চাহিদা অব্যাহত রাখা। আর সেই চাহিদা বজায় থাকবে, যখন আমরা প্রচুর পরিমাণে বিদেশ থেকে আমদানি করবো। আমরা যদি আমদানি বন্ধ করে দিতাম, তবে ডলার তার মূল্যমান ঠিক রাখতে পারতো না। অর্থাৎ আমরা দেশের সম্পদ উত্তোলন না করে যত বিদেশ থেকে আমদানি করবো, তত আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হবো এবং আমেরিকা তত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে, যা টিকিয়ে রাখবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে।
-এস হাবীব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নারীবাদের জন্ম হয়েছে পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় (২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীবাদের জন্ম হয়েছে পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় (১)
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দ্বীনি পরিবেশ ছাড়া দ্বীন ইসলাম পালন করা কঠিন (৩)
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্বীনি পরিবেশ ছাড়া দ্বীন ইসলাম পালন করা কঠিন (২)
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দ্বীনি পরিবেশ ছাড়া দ্বীন ইসলাম পালন করা কঠিন (১)
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রোযায় স্কুল বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টে রিট ও কিছু কথা (৩)
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রোযায় স্কুল বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টে রিট ও কিছু কথা (২)
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রোযায় স্কুল বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টে রিট ও কিছু কথা (১)
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বেইলি রোডে অগ্নিকা- : প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ভাসা দেশ যখন বিপদজনক সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে (২)
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেইলি রোডে অগ্নিকা- : প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ভাসা দেশ যখন বিপদজনক সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে (১)
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা জিএমও খাবার সম্পর্কে আমরা কতটা জানি?
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ- বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : রাজধানীতে ঠাসাঠাসি করে কেন এত রেস্তোরা? (২)
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)