বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের বিপরীতে দ্রুত সমৃদ্ধি আনতে অনেক সম্ভাবনাময়, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের প্রতি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দ্রুত ও যথাযথ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৩ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
বড় বড় শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) অবহেলিত। আমরা যে আর্থসামাজিক পটভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে এসএমই হতে পারে আমাদের এক বিরাট চালিকাশক্তি। নানা কথাবার্তার পরও কেন এ খাত অবহেলিত এবং এর বিকাশে কী কী করা প্রয়োজন সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে এসএমই খাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করাটাও জরুরি।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সার্বিকভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ খুব একটা ঘটেনি। বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবদান এসএমই খাতের। কিন্তু আমাদের এসএমই খাত আদৌ ২০ শতাংশ অবদান রাখছে কি না আমার সন্দেহ আছে। ওইসিডিভুক্ত ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলোর জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৫৫ শতাংশ। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এর অবদান ৪৫ শতাংশের মতো। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অবদান রাখছে এসএমই খাত। বেশিরভাগ কর্মসংস্থানও তাদের এসএমই খাতে। সুতরাং বৃহৎ শিল্প বা বৃহৎ বাণিজ্যের অবদানকে আমরা যেভাবে বড় করে দেখি বা নির্ভর করি তা ভুল। আর বৃহৎ শিল্পের প্রতি সাধারণ ঝোঁকটা এসএমই খাতের প্রতি অবহেলাও একটা কারণ। বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ শ্রমিক এসএমই খাতে জড়িত। সুতরাং এসএমই খাত যত বড় হবে, কর্মসংস্থান পরিধিও তত বড় হবে। তারপরও আমরা যেভাবে এসএমই খাতকে অবহেলা করি, তা উন্নত দেশগুলো করে না।
এ খাতে আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে অর্থায়ন সংকট। এর উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণ কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খুব কম পায়। বেশিরভাগ সময় তারা মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন তথা এনজিওর ওপর নির্ভরশীল।
এসএমইতে আমরা কেন এত গুরুত্ব দেব? এর কারণগুলো হচ্ছে- প্রথমত, এসএমএই খাতে বর্তমানে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী জড়িত। দ্বিতীয়ত, এই খাতের দ্রুত বিকাশ লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয়ত, এসএমই খাতের পণ্য গুণে-মানে কোনো অংশেই কম নয়। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর। এ খাত আয়বর্ধক খাত হিসাবে চিহ্নিত। যারা চাকরি করতে চায় না বা করে না, শিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত-তাদের সবারই একটা সুযোগ থাকে এখানে কিছু করার। চতুর্থত, কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটা বড় সুযোগ ও ক্ষেত্র হচ্ছে এসএমই খাত। সার্বিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের বড় একটা হাতিয়ার এটা।
এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারের করণীয় কী? প্রথমেই বলতে হয়, যথাযথ নীতিকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। সরকারের রাজস্ব নীতিতেই এসএমইকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয় না। সরকার বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর অব্যাহতি, কর হ্রাসসহ নানা দাবিদাওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ জন্য রাজস্ব নীতি এসএমইমুখী করতে হবে। তদারকি পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ঋণ বাড়ানো মানে বড় বড় শিল্পে ঋণ বাড়াতে হবে, এমন চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে। দ্বিতীয়ত, নীতিমালা ও পদ্ধতিগুলোর সহজীকরণ। অনেক সময় দেখা যায়, সরকার ঢালাওভাবে কিছু নিয়ম করে, যা ছোটদের ওপরও একইভাবে প্রযোজ্য হয়। এটা করা যাবে না। ছোট ও মাঝারি উদ্যোগকে যেন সহজেই এগিয়ে নেওয়া যায়, সে ধরনের নীতিগত সহযোগিতা লাগবে। তৃতীয়ত, তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা। এ খাতে সরকারের কিছু নীতি ও প্রণোদনার বিষয় রয়েছে। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন এজেন্সিগুলো-বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন বা বেসরকারি সংস্থা রয়েছে, এরা এসএমই-সংক্রান্ত তথ্যগুলো ঠিকঠাকভাবে প্রচার করে না। মানে ছোট ব্যবসায়ীদের সব তথ্য জানাতে হবে এবং তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। চতুর্থত হলো প্রশিক্ষণ। একটা নতুন ব্যবসায় কী কৌশল লাগবে, ঝুঁকি বা সম্ভাবনা কেমন তা উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে এসব বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা রয়েছে বটে; তবে পর্যাপ্ত নয়।
পঞ্চমত, বাংলাদেশে বড় শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের ব্যবসায়ী সংযোগ গড়ে ওঠেনি। এটি তৈরি করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশেই ছোট শিল্পগুলো বড়দের থেকে সাবকট্রাক্ট নেয়। এই অর্থে বড় বড় শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠে। যেমন-টয়োটার মতো বড় বড় কোম্পানি বা জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বড় কোনো কোম্পানি ছোট ছোট শিল্প-কারখানা দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেয়। আমাদের এখানে সে অর্থে এ যোগসূত্রটা তৈরি হয়নি। আরেকটা হলো বহির্বিশ্বের বাজারের সঙ্গে আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোর সংযোগ নেই। এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশের হাজারের কাছাকাছি পণ্য বাইরে রপ্তানি হয়। কিন্তু এর পরিমাণ কম। বহির্বিশ্বের বাজারের সঙ্গে লিংক স্থাপনের অভাবে এমনটা হয়।
আমাদের ৯ মিলিয়ন এসএমই উদ্যোক্তা কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৪.৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে তাদের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ।
‘এসএমই উদ্যোক্তারা নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ফলে তাদের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারিভাবে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে কথিত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পথে আমরা এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারতের- এন-সার্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের অন্ত:সারশূণ্যতা শুধু হতাশারই নয় বরং ঘোর অমানিশার।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দিন দিন বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ মারাত্মক সব অপরাধ এসব অপরাধের মূলে থাকছে কারখানা বন্ধ আর বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সরকারের গৃহীত ভূল অর্থনীতি সরকারের টনক নড়বে কবে?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












