মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী থেকে ব্যবসায়ীরাও সক্রিয়।
বাংলাদেশের মানবাধিকারের জন্য আশ্চর্যজনক সরব আমেরিকা ফিলিস্তিনীদের মানবাধিকার ক্ষেত্রে রহস্যজনক নীরব কেন? মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দ্বৈতনীতির কারণে মার্কিনী তথা পশ্চিমাদের শুধু মুনাফিক আখ্যা দিলেই হবে না;
কথিত আন্তর্জাতিক আদালতেও এদের শক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে ইনশাআল্লাহ। (৩)
, ০৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
১৭ বছর ধরে গাজা অবরুদ্ধ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার। ২০০৫ সালের নির্বাচনে ফিলিস্তিনিদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাহমুদ আব্বাস। ২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর আল ফাত্তাহর নেতৃত্বে আসেন মাহমুদ আব্বাস। ২০০৬ সালের প্রাথমিক নির্বাচনে পরাজিত হয় ফাত্তাহ। সেই বছরই হামাস-ফাত্তাহ গৃহযুদ্ধে পরাজিত হয় ফাত্তাহ। ২০০৭ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গাজায় সরকার গঠন করে হামাস।
গাজার এক পাশে ভূমধ্যসাগর, এক পাশে মিশর এবং দুই পাশে দখলদার ইসরায়েল।
৪১ কিলোমিটার লম্বা ও ১০ কিলোমিটার প্রস্থের গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩-২৪ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস, যাদের ৭০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে ও বেকারত্বের হার ৬৫ শতাংশ।
হামাস ক্ষমতায় আসার পর ২০০৭ সাল থেকে মিশর ও ইসরায়েল গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এখানে কী ঢুকবে, আর কী ঢুকবে না-তা নিয়ন্ত্রণ করে মিশর ও ইসরায়েল।
গাজায় কাজের সংকট, খাদ্য সংকট নিত্যদিনের। কিন্তু মাদকের সংকট নেই। ইসরায়েল গাজায় হরেক রকমের মাদক প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের মাদকাসক্ত করে গড়ে তোলা।
মিশরের সঙ্গে দক্ষিণ গাজার সীমান্ত রাফাহ এখন বন্ধ। এই সীমান্ত খোলার আলোচনা চলছে। হাজারো ফিলিস্তিনি রাফাহ সীমান্তে জড়ো হয়েছে।
এ কথা সত্য যে হামাস ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে নির্মমতা চালিয়েছে। প্রশ্ন এসেছে-হামাস কেন ইসরায়েলে আক্রমণ করল? কারণ হতে পারে দুটি।
প্রথমত, যেসব দেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিপক্ষে ছিল, তারাও ক্রমান্বয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। বিশেষ করে আরব বিশ্ব, সৌদি আরব যার নেতৃত্বে। ফিলিস্তিনিরা বা হামাস মনে করছে, তাদের স্বার্থ এখন আর কেউ দেখছে না। হামাস ইসরায়েলে হামলা করে বুঝিয়ে দিলো যে, ফিলিস্তিনিদের বাদ দিয়ে কোনো শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
///////////
দ্বিতীয়ত, ইসরায়েল প্রতিদিনই একটু একটু করে ফিলিস্তিনিদের জায়গা দখল করে ইহুদি বসতি স্থাপন করছে। ফিলিস্তিনিদের নিপীড়ন করছে, হত্যা করছে। ইসরায়েল সরকার তার নাগরিকদের নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, যা কিছুই ঘটুক না কেন, তারা নিরাপদ। হামাস আক্রমণ করে বোঝাতে চাইল ইসরায়েলি জনগণও নিরাপদ নয়।
হামাসের আক্রমণ নিয়ে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চলছে। সেই ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণের প্রায় সবই পক্ষপাতদুষ্ট। পৃথিবীর সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, একই রকম আচরণ করছে তাদের গণমাধ্যমও।
ইসরায়েলি বর্বরতাকে জাস্টিফাই করে, তারা শুধু সামনে আনছে হামাসের নির্মমতা।
ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধে গাজায় পানি নেই, জ্বালানি নেই, ওষুধ নেই। কমপক্ষে ১৫টি হাসপাতাল বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। শিশুখাদ্য তো বটেই, সামগ্রিকভাবেই খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে গাজায়। বোমাবর্ষণ চলছে। নৌ ও স্থল আক্রমণ আরও তীব্র করার ঘোষণা দিয়ে উত্তরাঞ্চলের গাজাবাসীকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েল।
সবাই জানে গাজার উত্তরের ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার বিষয়টি অবাস্তব, অসম্ভব। এমনিতেই গাজা ঘনবসতিপূর্ণ। উত্তরের ১০-১২ লাখ গাজাবাসীর ঠাঁই হবে না দক্ষিণে। ইসরায়েল মূলত দুটি কারণে উত্তর গাজার ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে। এর মাধ্যমে বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যার বিষয়টি তারা জায়েজ করতে চায়। বলবে, আগেই তো সরে যেতে বলেছিলাম। সরে না যাওয়ায় তারা মারা গেছে। আর দ্বিতীয় বা প্রধান কারণ, গাজার উত্তর অংশে ইসরায়েল দখল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গাজার উত্তর অংশে ফিলিস্তিনিদের আর কখনো আসতে দেবে না ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতা কেউ দেখতে চাইছে না। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক, পৃষ্ঠপোষক। একই নীতি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার। আরব বিশ্বের নীতি নির্ধারণে আমেরিকাই শেষ কথা। ইরান ছাড়া অন্য প্রায় সবাই ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনে ব্যস্ত। সৌদি আরবের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা স্থগিত ও ইসরায়েলি বর্বরতার ১১ দিন পর অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত, লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।
জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই মূলত ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। জাতিসংঘের পর বড় সংগঠন ৫৭টি দেশের জোট ওআইসির কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। ইসরায়েলি নিষ্ঠুরতা বন্ধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ তো দূরের কথা, জোরালো কোনো শব্দও উচ্চারণ করছে না তারা।
ইসরায়েল গঠনের সময় থেকেই পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বলেছে, এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য তারা তাদের যা করণীয়, সবই করবে। সেই নীতিতে তারা অটল। ফলে, ইসরায়েল কার ওপর হামলা করল, কত নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষ হত্যা করল, তারা সেই হিসাব দেখে না। তারা শুধু দেখে, ইসরায়েলে কে আক্রমণ করল এবং কতটা ক্ষতি করল। পৃথিবীর প্রায় সব গণমাধ্যমও এমন নীতি অনুসরণ করছে।
পৃথিবীর মানবাধিকার একরৈখিক। পশ্চিমারা যেটাকে ঠিক মনে করবে, সেটাই মানবাধিকার। পশ্চিমারা যেটাকে ঠিক মনে করবে না, সেটা মানবাধিকার না। যেখানে হামাসের হামলা 'সন্ত্রাস', আর ইসরায়েলের হত্যা-দখল 'আত্মরক্ষার অধিকার'।
ইসরায়েলের এবারের নির্মমতার একমাত্র জোরালো কণ্ঠস্বর ইরান।
ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহকে দিয়ে ইসরায়েলে আক্রমণ করাতে পারে বা নিজে আক্রমণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে ভূমধ্য সাগরে। অস্ত্র পাঠানো শুরু করেছে ইসরায়েলে। অস্ত্রসহ সব রকম সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ফলে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা রাখতে হচ্ছে না ইসরায়েলকে। ইসরায়েলের সামরিক শক্তির সঙ্গে হামাসের কোনো তুলনাই চলে না। ইসরায়েল বহুগুণ শক্তিশালী। কিন্তু পশ্চিম এমনভাবে দেখাতে চাইছে যে, ইসরায়েল পৃথিবীর বিশাল সামরিক শক্তিধর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সেকারণে যুদ্ধ জাহাজ, অস্ত্র দিয়ে তারা সহায়তা করছে ইসরায়েলকে।
ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে গেছে। যতটুকু আছে, তাও না রাখার নীতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল এক সময় গাজার ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করবে মিশরের ভেতরে ঠেলে দিতে। তারা মিশরে শরণার্থী হিসেবেই জীবনযাপন করবে।
পশ্চিম তীরে যে ফিলিস্তিনিরা আছে, তাদের জায়গাও ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সেখানে অবস্থান করলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে এক ধরনের শলাপরামর্শ করেই ক্ষমতায় আছেন। জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর ইসরায়েলের দখলেই আছে।
পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের জর্ডানে চলে যেতে বাধ্য করা হবে এবং কিছুসংখ্যককে ঠেলে দেওয়া হবে লেবাননের দিকে। এভাবেই ফিলিস্তিনিদের মিশর, জর্ডান ও লেবাননে ঠেলে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সম্পূর্ণ ভূমি ইসরায়েল দখল করে নেবে। এমন বিশ্লেষণ বা ধারণা ঘটনাক্রমের আলোকে এখন আর অমূলক নয়।
পৌনে এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন ও যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনি ভূখ-ে সা¤্রাজ্যবাদী ও ইসলামবিদ্বেষীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই রাষ্ট্রটি শুরুতেই ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও বিতাড়নের নীতি গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত কত ফিলিস্তিনিকে যে ইসরাইল হত্যা করেছে, তার ইয়ত্তা নেই। ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশ জায়গা সে দখল করে নিয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। গাজা ও পশ্চিম তীরে যতটা জায়গা ফিলিস্তিনিদের অধিকারে আছে, সেখানে পরিকল্পিতভাবে ইহুদি বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি ভূখ- থেকে ফিলিস্তিনিদের সম্পূর্ণ নির্মূল ও বিতাড়নই ইসরাইলের আসল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যেই সে কাজ করে আসছে। দুঃখজনক, এই অবৈধ, আগ্রাসী, সন্ত্রাসী ও ঘাতক রাষ্ট্রটিকে সমর্থন ও সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রম-লী। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো চোখ বন্ধ করে হামাসের হামলার নিন্দা করেছে। হামাস কেন, কোন্ প্রেক্ষাপটে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে তা বিবেচনায় নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। পশ্চিমারা সব সময় ফিলিস্তিনিদের কোনো জবাবী হামলার পর ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলে ইসরাইলকে প্ররোচণায়ও শক্তি যোগায়, ইসরাইলি হামলা ও হত্যাকা-কে সমর্থন জানায়। প্রশ্ন হলো, আত্মরক্ষার অধিকার কি কেবল ইসরাইলের বা ইহুদিদের আছে, মুসলমান বা ফিলিস্তিনিদের নেই? আত্মরক্ষার অধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বরাবরই দ্বৈত নীতি অনুসরণ করে আসছে। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার অজুহাতে তারা আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া প্রভৃতি মুসলিম রাষ্ট্র ও তাদের জনগণের সঙ্গে কী ব্যবহার ও আচরণ করেছে, তা কারো অজানা নেই। ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’র নামে এসব মুসলিম রাষ্ট্রকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ হতাহত ও বিতাড়িত হয়েছে। কোথায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার ও মানবাধিকার? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইহুদী বলে এবং তার অধিবাসীরা শ্বেত বলে কি? শ্বেতাঙ্গবাদ, ইহুদিবাদ, খ্রিস্টবাদ ইত্যাদি এসব রাষ্ট্র ও তার নেতাদের অন্ধ করে দিয়েছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












