বাংলাদেশের রোগীরা কেন চিকিৎসা নিতে ভারতে যায়? (২)
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
আসলে ডাক্তারের একটি ভালো কথা, রোগীর জন্য অনেক বড় কিছু। দেখা যায়, ডাক্তারের একটু ভালো কথায়, রোগীর যে মানসিক দৃঢ়তা হয়, তাতেই অনেক রোগী চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একজন ডাক্তারের রূঢ় আচরণে অনেক রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এজন্য চিকিৎসা দেয়ার আগে ডাক্তাররা যদি রোগীর সাথে পর্যাপ্ত কাউন্সিলিং করতে পারে, তবে রোগীর মানসিক উন্নতির আস্থার স্থানটি অবশ্যই তৈরী হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কিছু ডাক্তারদের মধ্যে কাউন্সিলিং এর বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, তবে অনেকেই এখনো শুরু করেন নাই। তবে রোগী-ডাক্তার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ডাক্তারদের এ ব্যাপারে আগ্রহী ও ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
তবে এর বিপরীতেও অনেকের যুক্তি আছে। কাউন্সিলিং করতে যে সময় প্রয়োজন সেই সময় অনেক ডাক্তার হয়ত পায় না। কারণ রোগীর চাপ বেশি। অর্থাৎ দেশে জনসংখ্যা অনুপাতে যে পরিমাণ ডাক্তার থাকার দরকার, সে পরিমাণ ডাক্তার নেই। সাধারণত প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য ১ জন ডাক্তার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি ২ হাজার মানুষের জন্য ডাক্তার সংখ্যা মাত্র ১ জন। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা কম। আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিশাল সংকট। স্বল্প সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে। রাজধানীর বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বানানোর সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আগামী ১০০ বছরেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট মিটবে না। এজন্য শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন নয়, বরং প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সাধারণ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
আবার বাংলাদেশীরা যেন চিকিৎসা নিতে ভারতের দিকে ঝুঁকে না যায়, সে জন্য বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমকেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়, চিকিৎসকদেরও ভুল হতে পারে, দায়িত্বে গাফলতি থাকতে পারে। সেটা বাংলাদেশেও হতে পারে, ভারতেও হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া শুধু একচেটিয়া বাংলাদেশী চিকিৎসা ব্যবস্থার গলদ নিয়ে প্রতিবেদন করে। কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কতটুকু সফল হচ্ছে কিংবা বিফল হচ্ছে তা নিয়ে কখনো প্রতিবেদন করে না।
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












