নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা চাঁদ দেখে পবিত্র রোযা শুরু করো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। যদি কোনো কারণে ২৯শে শা’বান শরীফ চাঁদ দেখা না যায়, তবে শা’বান শরীফ মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।” সুবহানাল্লাহ!
বাংলাদেশে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে আগামী ২৯শে শা’বান শরীফ ১৪৪৪ হিজরী, ২২শে আশির ১৩৯০ শামসী, ২২শে মার্চ ২০২৩ খৃঃ. ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ১, ২, ৩, ৬, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৯ তারিখ পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
তাই বাংলাদেশসহ প্রত্যেক দেশের জনগণ ও সরকার সকলের জন্যই দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক সতর্কতা ও গুরুত্বসহকারে খালি চোখে চাঁদ তালাশ করে সঠিক তারিখে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস শুরু করা। কারণ সঠিক তারিখে মাস শুরু না হলে একদিকে মুসলমানদের পবিত্র ফরয রোযা নষ্ট হবে, অপর দিকে মুসলমানরা লাইলাতুল ক্বদরসহ অসংখ্য বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের নিয়ামতসমূহ থেকে মাহরূম হবে। নাউযুবিল্লাহ!
, ২৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছেন শাহরুন আ’যীম অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহান মাস। এ মহাসম্মানিত মহান মাসে রয়েছে ফরয রোযা ও লাইলাতুল ক্বদরসহ অনেক উল্লেখযোগ্য স্মরণীয় বরকতময় রাত ও দিন অর্থাৎ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই বাংলাদেশসহ প্রত্যেক দেশের জনগণ ও সরকার সকলের জন্যই দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক সতর্কতা ও গুরুত্বসহকারে খালি চোখে চাঁদ তালাশ করে সঠিক তারিখে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস শুরু করা। কারণ সঠিক তারিখে মাস শুরু না হলে একদিকে মুসলমানদের পবিত্র ফরয রোযা নষ্ট হবে, অপর দিকে মুসলমানরা লাইলাতুল ক্বদরসহ অসংখ্য বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের নিয়ামতসমূহ থেকে মাহরূম হবে। নাউযুবিল্লাহ!
সঠিক তারিখে ও সঠিক নিয়মে চাঁদ তালাশ করে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস শুরু করার জন্য নছীহত শরীফ প্রদান কালে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ পেশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে রয়েছে অনেক বরকতময় রাত ও দিন। এ মহাসম্মানিত মাস উনার রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পরিপূর্ণ ফায়দা হাছিল করতে হলে এ মহাসম্মানিত মাস উনার বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনসমূহকে স্মরণ ও পালন করতে হবে; যে রাত ও দিনগুলি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পূত-পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ ও পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এবং উনাদের বিশেষ ঘটনা মুবারকের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন- রহমতের ভাগে অর্থাৎ রমাদ্বান শরীফ মাস উনার-
১ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন- আওলাদে রসূল, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সুবহানাল্লাহ!
২ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
৩ তারিখ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন- বিদ্বআতুম মির রসূলিল্লাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
৬ তারিখ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন- উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
৭ তারিখ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ।
আর সুমহান ৯ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মাগফিরাতের ভাগে অর্থাৎ এ সম্মানিত মাস উনার- ১১ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক পকাশ করেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছানী আলাইহিস সালাম।
১২ তারিখ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। যেদিন কোটি কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়। যা পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৭ তারিখ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আহলু বাইতিন নাবিইয়ি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উক্ত ১৭ তারিখে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন- আহলু বাইতিন নাবিইয়ি, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফক্বাহুন নিসা, আ’লামুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উক্ত ১৭ তারিখে পবিত্র বিছালী শান মুবারক অর্থাৎ পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম এবং ইমামতি ধারার প্রথম ইমাম, হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের চতুর্থ খলীফা, বাবুল ইলম ওয়াল হিকমাহ, নিসবাতুল্লাহিল গালিব সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও উক্ত ১৭ তারিখে ঐতিহাসিক বদর জিহাদ সংঘটিত হয় এবং পবিত্র ফাতহে মক্কা বা পবিত্র মক্কা শরীফও বিজয় হয়। সুবহানাল্লাহ!
১৮ তারিখ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন- উম্মু আবীহা বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও উক্ত ১৮ তারিখে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খিলাফত মুবারক গ্রহণ করেন।
১৯ তারিখ আবূ হাদিয়িল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
আর নাজাতের ভাগে রয়েছে-
২১ তারিখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৩ তারিখ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
২৫ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
২৬ তারিখ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবতে আযীম শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ। যে মহান রাত্রটি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এবং দোয়া কবুলের খাছ রাত্র। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া মতে ২৭ তারিখ পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ।
এছাড়া ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমাদ্বান শরীফ পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ তালাশ।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে- মহাসম্মানিত মহান মাস পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার বরকতময় বিশেষ রাত ও দিনসমূহ ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে অত্যন্ত জওক-শওকের সাথে উদযাপন করার জন্য সার্বিক আনজাম দেয়া ও মাহফিল করা। সাথে সাথে সে মুবারক বিষয়গুলো শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। আর এজন্যই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস খালী চোখে চাঁদ তালাশ করে সঠিক তারিখে শুরু করা অত্যধিক জরুরী।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে শা’বান শরীফ ১৪৪৪ হিজরী, ২২শে আশির ১৩৯০ শামসী, ২২শে মার্চ ২০২৩ খৃঃ. ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। সেদিন চাঁদ দিগন্তরেখার ০৮ ডিগ্রী ৩৪ আর্ক মিনিট উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদের বয়স হবে প্রায় ১৮ ঘন্টা ২৩ মিনিট। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ১১ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৫৪ মিনিটে অর্থাৎ ০০ ঘন্টা ৪৩ মিনিট চাঁদ আকাশে অবস্থান করে অস্ত যাবে। সেদিন চাঁদ অবস্থান করবে ২৬৯ ডিগ্রী আযিমাতে এবং সূর্যের অবস্থান থাকবে ২৭১ ডিগ্রী আযিমাতে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ০৯ ডিগ্রী ৪৪ আর্ক মিনিট কোণ করে সূর্য থেকে সরে থাকবে এবং চাঁদের ০০.৭২% আলোকিত থাকবে। সেদিন বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












