বাংলা ভাষায় মুসলমানদের অবদান কত বেশি? (১)
, ০১ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
প্রাচীন আমলে বাংলাভাষা ছিলো আঞ্চলিক ভাষার মত, ভাষাটি এত বেশি সমৃদ্ধ ছিলো না যে একটি বিরাট জাতি তা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে। প্রাচীন বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার খুব একটা নিদর্শনও পাওয়া যায় না। এরপর মধ্যযুগে বাংলাভাষা কৈশোরে উপনীত হয়। কিন্তু দুঃখজনক, সেই ক্ষুদ্র বয়সে হিন্দুরা বাংলাভাষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। হিন্দু সেন রাজত্বের আমলে ব্রাহ্মণরা বলা শুরু করল “সংস্কৃত হচ্ছে দেবভাষা আর বাংলা হচ্ছে মনুষ্য সৃষ্ট ভাষা। বাংলা ভাষা মর্যাদায় অনেক নিচু। ”
এ সম্পর্কে ইতিহাস বলে- "ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন রাজারা বাংলা ভাষা চর্চা নিষিদ্ধ করেছিল। আর হিন্দু পুরোহিতরা এ কথা বলে বেড়াতো যে, যে ব্যক্তি বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে। [সূত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫ পৃষ্ঠা ৩২]"
ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছে। তার ভাষায়, ‘ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গ ভাষাকে হিন্দু প-িত মন্ডলী ‘দূর দূর’ করিয়া তাড়াইয়া দিতেন। (সওগাত, চৈত্র, ১৩৩৫)
অপরদিকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলা দেশে মুসলিম রাজত্ব কায়েমের ফলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নবজন্ম ঘটে। বাংলা ভাষার উপর বিধি-নিষেধ উঠে যায়। মুসলমান শাসক হুসেন শাহ, গৌড়ের সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ এবং অপরাপর মুসলমান শাসকরা বাংলা ভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করেছিলেন। আর সে কারণেই দিনেশ চন্দ্র সেন মন্তব্য করে, “মুসলমান শাসকগণ বর্তমান বঙ্গ- সাহিত্যের জন্মদাতা এইরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গভাষা বাঙ্গালী মুসলমানের মাতৃভাষা। [সূত্র: দীনেশ চন্দ্র সেন- প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান, (১৯৪০) কলকাতা। ]"
দীনেশ চন্দ্র সেন আরো বলেছে- ‘কয়লার খনির মধ্যে থাকিয়া হীরা যেমন জহুরির আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভেতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবুরির অপেক্ষা করিয়া থাকে, বাংলা ভাষা তেমনই কোনো শুভদিন শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিল। মুসলিম বিজয় বাংলা ভাষার সেই শুভদিন শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল। ’ [দ্রষ্টব্য: বাংলা ভাষার ওপর মুসলমানের প্রভাব : শ্রী দীনেশ চন্দ্র সেন]।
-রাহাত আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সবচেয়ে বড় সমাজ কল্যাণমূলক কাজ হলো পবিত্র ঈমান রক্ষা করা
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুশরিকরা জাতে মাতাল তালে বেঠিক- বলেই ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষে কমতি করেনা!
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জীবাণু অস্ত্র, টিকা ও সাম্রাজ্যবাদীদের জাতি নিধনের ষড়যন্ত্র
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নিজেই যখন বিতর্কিত
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গান-বাজনার ক্ষতি হতে মুসলিম সমাজকে রক্ষা করা জরুরী
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রাজধানীতে এতো কম সংখ্যক হাট থেকে কুরবানীর পশু কেনা অত্যন্ত কঠিন হবে
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৭)
২৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৬)
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কুরবানীর হাটের সংখ্যা হ্রাস নয়, বৃদ্ধি করা হোক
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কুরবানীর আগে গুজব রটনাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৫)
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরবানী বিষয়ে মুসলমানদের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)