বাংলা ভাষায় মুসলমানদের অবদান কত বেশি? (২)
, ০২ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
বিশিষ্ট গবেষক মুহম্মদ আসাদুজ্জামান “বাংলার সামাজিক ও সংস্কৃতির ইতিহাস” গ্রন্থের ভূমিকায় বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূর্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।
বাংলা হলো মুসলমানদের প্রাণের ভাষা- আর এ কারণেই আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ ১৯০৩ সালে “আল ইসলাম” পত্রিকায় সর্বপ্রথম বাংলাকে মুসলমানদের মাতৃভাষা রূপে তুলে ধরেন। [সূত্র: ড. ইফতেখারউদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক ইত্তেফাক, সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩]” আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ১৩২৫ বঙ্গাব্দে- ‘আল-ইসলামে’ প্রকাশ্যে নির্ভীকচিত্তে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন যে, ‘বাংলা বাঙালী মুসলিমের কেবল মাতৃভাষাই নয়, জাতীয় ভাষাও। ’
উপরের আলোচনা দ্বারা এটি স্পষ্ট- হিন্দুরা চেয়েছিলো বাংলা ভাষাকে জন্মলগ্নেই গলা টিপে হত্যা করতে, সেখানে মুসলমানরা বাংলাভাষাকে দিয়েছিলো পুনর্জন্ম। সে হিসেবে বাংলা ভাষায় কার অবদান বেশি, হিন্দু না মুসলমানের, এ ধরনের প্রশ্ন করা অবান্তরই বলা চলে।
মূলত বাংলাভাষা প্রাথমিক অবস্থায় ছিলো আঞ্চলিক ভাষার মত। ভাষাটি বিরাট জনগোষ্ঠীর জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ ছিলো না। এ জন্য দরকার ছিলো- বাংলাভাষার ব্যাপক চর্চা, যা ঘটে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে, মধ্যযুগে সেই কাজটি করেছিলো মুসলিম কবি-সাহিত্যিকরা। মুসলিম সাহিত্যিকরা বাংলা ভাষায় ব্যাপক চর্চার মাধ্যমে ভাষাটি সমৃদ্ধ করে। যেহেতু মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে আরবী ও ফারসীর ব্যাপক প্রভাব ছিলো, তাই বাংলা ভাষায় প্রচুর পরিমাণে আরবী ও ফারসী শব্দ প্রবেশ করে, যা বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধ করে একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে। আসুন জেনে নেই, সে সময় কোন কোন মুসলিম সাহিত্যিক বাংলাভাষাকে চর্চা করে বাংলাভাষাকে পরিপূর্ণতা দান করেছিলেন-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যিক:
-শাহ মুহম্মদ ছগীর (১৪শ’ শতাব্দী), -জৈনুদ্দীন (১৫শ’ শতাব্দী), -মুজাম্মিল (১৫শ’ শতাব্দী),-দোনাগাজী: (১৬শ’ শতাব্দী), -শেখ ফয়জুল্লাহ (১৬শ’ শতাব্দী),- দৌলত উজির বাহরাম খান: (১৬শ’ শতাব্দী), - মুহম্মদ কবীর (১৬শ’ শতাব্দী),-সৈয়দ সুলতান (১৬শ’ শতাব্দী), - শেখ পরান (১৬শ’ শতাব্দী), -হাজী মুহাম্মদ (১৬শ’ শতাব্দী), -মীর মুহাম্মদ শফী (১৬শ’ শতাব্দী), -নসরুল্লাহ্ খাঁ (১৬শ’ শতাব্দী), -মুহম্মদ খান, - সৈয়দ মর্তুজা, -শেখ মুত্তালিব, -আবদুল হাকীম।
১৬০০ থেকে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকজন হলেন-
নওয়াজিশ খাঁ, কমর আলী, মঙ্গল (চাঁদ), আবদুন নবী, মুহম্মদ ফসীহ, ফকির গরীবুল্লাহ্, মুহম্মদ ইয়াকুব, শেখ মনসুর, শেখ চাঁদ, মুহম্মদ উজীর আলী, শেখ সাদী, হেয়াত মামুদ, দৌলত কাজী।
-রাহাত আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী খাদ্য মুবারক “রুটি”
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ শুধু কর্মসূচি দিলেই হবে না। বাস্তবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা অতিসত্বর বাস্তবায়ন করে তিস্তা পাড়ের মানুষের দু:খ দুর্দশা দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আসন্ন রমাদ্বান শরীফ মাসে ব্যবসায়ী ভাইদের করণীয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শত্রুকে না চিনলে আপনার মুসলমানিত্ব নিরাপদ থাকবে না
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র শবে বরাত’ পাওয়ার পরও গাফিল থাকে
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গান-বাজনা, খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা এগুলো একেকটা ভয়ঙ্কর মাদক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের বহু দেশের সবকিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতায় অথচ বাংলাদেশ এখনও ছবিযুক্ত ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেই ‘ভালো’ খারাপকে প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখে না, সেই ‘ভালো’ কখনোই ভালো নয়
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকেই মুসলমানরা শুধু বাংলাদেশ নয়; সারা কায়িনাতের আদিবাসী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু তুরস্ক নয়, গাজা পুনর্গঠনে গোটা মুসলিম বিশ্বের এখনি ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)