বাল্যবিয়ে ও সামাজিক নিরাপত্তা (১)
এডমিন, ০৬ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
যেমন- ১. কোন সন্তান অল্প বয়সে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে বা জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে সন্তানের ভবিষ্যত তো অবশ্যই, পিতা-মাতার সামাজিক মান-সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভবনা আছে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতা চান সন্তানকে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে দিতে।
২. কোন সন্তানের বয়স ১৮ বছরের কম, কিন্তু পিতা-মাতার বয়স বেশি, অথবা পিতা-মাতা অসুস্থ। পিতা-মাতা চিন্তা করছেন, তাদের মৃত্যু বা বড় অসুস্থতা ঘটে গেলে সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে? এক্ষেত্রে সন্তানকে বিয়ে দিয়ে অনেক চাপ নিরসন করতে চান তারা। কিন্তু আইন থাকায়, প্রয়োজন সত্ত্বেও তারা সন্তানকে বিয়ে দিতে পারছেন না।
৩. বাল্যবিয়ের সাথে সন্তান বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক বিদ্যমান। কোন পরিবারে যদি বাল্যবিয়ে হয়, তবে সেই পরিবারে অধিক সন্তান জন্মগ্রহণ করার সম্ভবনা থাকে। কিন্তু যত বেশি বয়সে বিয়ে হবে, সন্তানের সংখ্যা তত কম হতে পারে। যা ভবিষ্যতে বৃদ্ধ বয়সে পিতা-মাতার সামাজিক নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটাতে পারে।
৪. খরচ বেড়ে যাওয়া, সংসার বড় হওয়াতে এক সময় পিতা সব খরচ বহন করতে পারে না। তার সাহায্যকারী হাত প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তার সন্তান হতে পারে বাবার সাহায্যকারী। কিন্তু বেশি বয়সে বিয়ে করার কারণে দেখা যায় বাবার বয়স হয়ে গেছে ৬০, সন্তান এখনও নাবালেগ, লেখাপড়াই শেষ হয় নাই। আবার অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক পিতার স্ট্রোক, প্যারালাইসিসসহ নানান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু দেখা যায়, সন্তান তখনও ছোট, সংসারের হাল ধরার মত তার অবস্থা এখনও হয় নাই। কিন্তু পিতা-মাতা কম বয়সে বিয়ে করলে, ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা আর হয় না।
-মুহম্মদ শফিউর রহমান।