মন্তব্য কলাম
বিগত মিথ্যাবাদী সরকারের কায়দায় বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারও মিথ্যা এবং মুখরোচক মোড়কে এলডিসি উত্তরণের ঘোষণায় অতি উৎসাহী।
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ০২ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
অথচ এলডিসি উত্তরণের ঘোষণা হবে চরম আত্মঘাতী।
ব্যবসায়ী নেতারা এলডিসি ঘোষণার তীব্র বিরোধী।
অর্ন্তবর্তী সরকারের- একের পর এক
‘দেশের স্বার্থ বিরোধী’ ‘ব্যবসা বিরোধী’ ‘কল-কারখানা বন্ধকারী’ ‘অর্থনীতি ধ্বংসকারী’ ‘দুর্ভিক্ষ আনয়নকারী’
সব পদক্ষেপকে এখনই শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। ইনশাল্লাহ! (১ম পর্ব)
২০২৩ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ দিনব্যাপী জাতিসংঘের এলডিসি-৫ সম্মেলন। এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ, বাংলাদেশের ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে চেয়েছে। তবে তখনই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর নানামুখী চ্যালেঞ্জে পড়বে বাংলাদেশ। বড় চ্যালেঞ্জ হবে রপ্তানি আয় কমে যাওয়া। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ২০২০ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি আয় কমবে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ শুল্কে রপ্তানি করতে হবে বলে আয় কমতে পারে কমপক্ষে ৫১ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টি আগের সরকারের আমলে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বা অনেক ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত করে ইতিবাচকভাবে আলোচিত হয়েছে।
এখন শুরু হয়েছে ঠিক তার বিপরীত চিত্র। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে অতি মাত্রায় নেতিবাচক আলোচনা শুরু করেছেন। বিশেষ করে কয়েকটি পেশাদার সংস্থা থেকে আলোচনা চলছে একেবারেই নেতিবাচকভাবে।
সম্প্রতি একটি গবেষণা সংস্থার এক নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটলে বছরে আট বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশল কি, তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বর্তমান সরকার কি আগামী বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে, নাকি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এ কথা অনস্বীকার্য যে দেশে সরকার পরিবর্তনের পর যে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যথেষ্ট বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা দীর্ঘ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য নির্ধারিত কিছু সূচক অর্জনে পিছিয়ে পড়তে পারে। সে জন্য হাল ছেড়ে দিয়ে এলডিসি থেকে উত্তরণের পথ থেকে সরে এসে আরো দীর্ঘদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত মোটেই ভালো হবে না। অনেক কষ্টে এই স্বল্পোন্নত দেশের দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে আবারও স্বল্পোন্নত দেশের দুষ্টচক্রে আটকে যেতে হবে এবং সেখান থেকে খুব সহজে বের হওয়া সম্ভব হবে না। কিছু সূচক যদি পিছিয়ে গিয়েও থাকে, যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে তা এগিয়ে নেওয়া কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিনিয়োগ এবং দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নে গতি নিয়ে আসা।
সবার আগে প্রয়োজন দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা। বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত না হলে অনেক সূচক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হতে পারলে লাভ হবে, নাকি ক্ষতি হবে, সেটি একটি লম্বা বিতর্ক। যেকোনো অবস্থানের কিছু ভালো দিক যেমন থাকে, তেমনি আছে কিছু খারাপ দিক। স্বল্পোন্নত দেশ থাকার কিছু সুবিধা আছে এবং আছে কিছু অসুবিধাও। তেমনি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার কারণে যেমন কিছু সুবিধা থাকে, তেমনি আছে কিছু অসুবিধা। তার পরও মানুষ ওপরের দিকে যেতে চায়, উন্নত হতে চায়। এটি ব্যক্তি এবং দেশের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। আমেরিকা ও চীন হচ্ছে বিশ্বের দুটি বড় অর্থনীতির দেশ এবং চীনের অর্থনীতি আমেরিকাকে প্রায় ধরে ফেলেছে।
আমেরিকার অর্থনীতি হচ্ছে ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার এবং চীনের অর্থনীতি হচ্ছে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু আমেরিকার রাষ্ট্রীয় ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ১২৮ শতাংশ। পক্ষান্তরে চীনের রাষ্ট্রীয় ঋণ ১৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ৮০ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় ঋণের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে চীনের অর্থনীতি আমেরিকাকে এরই মধ্যে ধরেই ফেলেছে। কিন্তু আমেরিকা উন্নত দেশ এবং চীন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ভোগ করে। ফলে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান; যেমন-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের কার্যক্রমে চীনের তুলনায় আমেরিকা অনেক গুণ বেশি অর্থ প্রদান করে। এ নিয়ে আমেরিকার ট্রাম্পের চরম ক্ষোভ আছে এবং প্রতিবাদে বার্ষিক চাঁদা হ্রাস বা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু কখনোই আমেরিকা উন্নত দেশের স্ট্যাটাস ত্যাগ করে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে নামতে চায় না। একইভাবে বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে জেনেও চীন উন্নত দেশের মর্যাদা লাভের জন্য চেষ্টা করে চলেছে। এটিই বাস্তবতা এবং এটিই স্বাভাবিক। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমাদেরও এলডিসি থেকে বের হয়ে এসে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হবে, তাহলেই একদিন মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছার সুযোগ হবে।
বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন উত্তরণের পথে থাকা অন্য দেশগুলোর মতো মসৃণ নয়। বাংলাদেশে পোশাক শিল্প খাত একাই রফতানিতে ৮৪ শতাংশ অবদান রাখে। এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পটি শুল্কমুক্ত ও বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা হারানোর কারণে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে। স্মরণ করা যেতে পারে যে এলডিসি তালিকা থেকে বের হতে অপেক্ষায় থাকা অন্য দেশগুলোর রফতানি চিত্র কিন্তু আমাদের দেশ থেকে আলাদা, তাদের রফতানি ঝুড়িতে অনেক বেশি পণ্য। সে কারণে বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গে দেশটির প্রধান রফতানি খাতকে সুরক্ষিত রাখতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও বাজার বহুমুখীকরণের ওপর জোরালোভাবে নজর দিতে হবে। এ রকম বাস্তবতায় ব্যতিক্রমধর্মী প্রস্তুতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উত্তরণ-পরবর্তী বাণিজ্য চিত্রপট: এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ৭৪ শতাংশ রফতানি বিশ্ববাজারে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের সম্মুখীন হবে। উদাহরণস্বরূপ, ইইউ আমাদের পোশাক রফতানিতে দ্বি-স্তর রূপান্তর (ডাবল ট্রান্সফরমেশন রুলস অব অরিজিন) এবং স্বয়ংক্রিয় সেফগার্ড ক্লজগুলোর মতো কঠোর বাণিজ্য বিধিগুলো প্রয়োগ করবে। যদিও আমাদের সামনে জিএসপি প্লাস একটি বিকল্প হিসেবে রয়েছে এবং তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তবে এর জন্য ৩২টি আন্তর্জাতিক কনভেনশন সমন্বিত কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন করা প্রয়োজন এবং রফতানি ৩৭ শতাংশ সীমা (থ্রেশহোল্ড) অতিক্রম করার কারণে বাংলাদেশ সে যোগ্যতা অর্জন করার সামর্থ্য নাও রাখতে পারে। ইইউ বাজারে জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত থাকবে, তবে কানাডা, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সাফটাভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক কি রকম হবে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
বাংলাদেশ এখনো স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয়-এমন দাবি করে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ঘোষণা দেয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের শামিল হবে। আরও অন্তত দুই থেকে তিন বছর সময় নিয়ে জ্বালানি সংকট সমাধান ও উৎপাদনসহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনীতিবিদরাও মনে করছেন, বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় এই উত্তরণ পেছানো উচিত।
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাবে। তখন বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সুবিধা কমে যাবে। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া এমন পদক্ষেপ দেশের জন্য বড় ঝুঁকি ডেকে আনবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীতে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট একটি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন নিট পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার মতো কোনো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। এপথে এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো- ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুতির পথে আমরা। ’
একই দিনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত এক সেমিনারে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা গ্র্যাজুয়েট হতে চাই, তবে আমাদের আরও দুই-তিন বছর সময় দরকার। এই সময়ে জ্বালানি সংকট ও রিজার্ভ পরিস্থিতি উন্নত হবে। ’
ব্যাংক খাতের বাইরে অর্থনৈতিক সংস্কার কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে অর্থনীতিবিদরাও।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘ব্যাংক খাত ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সংস্কারের অগ্রগতি নেই, তাই উৎসাহ পাচ্ছি না। ’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণ অর্থনৈতিক সাফল্যের চেয়ে রাজনৈতিক সাফল্য প্রদর্শনের বিষয় বেশি ছিলো। ’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি বিশ্লেষক রিড জানায়, এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় তিনটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হলো জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট পলিসি কমিটির মূল্যায়ন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) অনুমোদন এবং সাধারণ পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন। এই তিন ধাপের যেকোনো এক জায়গায় বিলম্ব চাওয়া সম্ভব। এলডিসির জন্য নির্ধারিত সময় পেছানোর বেশ কিছু উদাহরণ আছে। অনেক দেশ এলডিসি উত্তরণের সময় বাড়িয়েছে। যেমন ভানুয়াতু এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য প্রায় দেড় দশক সময় পেছাতে পেরেছে। আবার মিয়ানমার, তিমুরসহ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘের কমিটি পর্যায়ে মানদ- পূরণ করেও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণ দেখিয়ে উত্তরণ পিছিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উত্তরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো বিগত সরকারের সময়। এরপর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের রাজনীতি ও বাণিজ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি গত ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক বাণিজ্য ধাক্কা তৈরি করেছে। এসব বিষয় বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জানা ছিলো না। ফলে এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশকে এলডিসি পেছানোর জন্য যৌক্তিকতা তৈরি করে দেয়।
এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুবিধা হারাবে। যেমন এলডিসি থাকার কারণে বর্তমানে ওষুধশিল্পে মেধাস্বত্বের বিধিনিষেধ ছাড়াই নতুন ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে। উত্তরণের পর এসব ওষুধের ওপর পেটেন্ট বাধ্যতামূলক হবে, ফলে বিনিয়োগ কমতে পারে। এ ছাড়া শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত ছাড় হারাতে হবে।
ইতোপূর্বে তাগুত হাসিনা সরকারের আমলে প্রচার করা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ইতিবাচক সংকেত যাবে। কিন্তু দৈনিক আল ইহসান শরীফ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, কথিত ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেলেও সেটি বিবেচ্য কিছু হবে না। কারণ, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের গবেষণা বলছে, বিনিয়োগ আসে বড় বাজার, প্রাকৃতিক সম্পদ, দক্ষ শ্রমশক্তি, অবকাঠামো ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে-দেশের ‘লেবেল’ দেখে নয়।
থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রঞ্জা সেন জানায়, গত এক দশকে অন্তত ৯টি দেশ এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়েছে। এর মধ্যে কিছু দেশ দুই থেকে তিন বছর সময় নিয়েছে, আবার কিছু দেশ পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে। উত্তরণ মানে শুধু মাথাপিছু আয়ের মানদ- পূরণ নয়; বরং আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্ক সুবিধা হারানোর পর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে কি না, সেটি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রস্তুতি না থাকলে তাড়াহুড়া করা ঝুঁকিপূর্ণ। (ইনশাল্লাহ চলবে। )
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












