মন্তব্য কলাম
বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোর চেয়ে অনেক বেশী বাগড়ম্বর করছে অন্তর্বর্তী সরকার সার সংকটকে তারা জাদুঘরে পাঠাবে বললেও দেশের সর্বত্র সার সংকট প্রকট।
, ০৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০২ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা ভারত-মার্কিনী এজেন্ট তৎপরতায়
শুধু গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আর বড় ব্যবসায়ীরাই নয়
দেশের প্রান্তিক কৃষকেরও এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় তথা মূর্খতায় এবং অদূরদর্শীতায়
ডিলার-কৃষকদের মধ্যে চলছে মারামারি-কাটাকাটি
এরই মধ্যে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ।
সারের দাম হচ্ছে আরো বেশী।
সব মিলিয়ে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয় কৃষকের কঠিন দুরাবস্থায়
আরো বাড়বে মূল্যস্ফীতি
জন দুর্ভোগ থেকে এখন দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে দেশ
দেশবাসীকেই দেশ রক্ষার্থে সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ইতিপূর্বে কিছুদিন আগে বলেছে, দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে। সচিব আরো বলেছে, সার নিয়ে সমস্যা ছিল। দেশে সারের সংকট রাখব না।
পাশাপাশি দেশে সারের কোনো সংকট নেই বিভ্রান্তিকরভাবে কিছু গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে বলে গত ১৫ই অক্টোবর মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই)।
অথচ আমনের ভরা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংকটের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছে কৃষকেরা। তাদের অভিযোগ, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং ইউরিয়া সারের জন্য ডিলার পয়েন্ট ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরছে তারা।
এদিকে সার ডিলারদের দাবি, তারা চাহিদার তুলনায় সার কম বরাদ্দ পাচ্ছে। গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে দোকানে আনার এক সপ্তাহের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কৃষক সার কিনতে এসে না পেয়ে হতাশ হচ্ছে। এমনকি অনেক কৃষকের সঙ্গে বাগ্বিত-াও হচ্ছে।
রবিশস্য চাষের ভরা মৌসুমে সারের জন্য দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না কোথাও। তবে বাড়তি দামে কোনো কোনো স্থানে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শস্য চাষে চরমভাবে বিঘœ ঘটছে বলে জানিয়েছে কৃষক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে; সংকট ও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পকেট কাটছে দরিদ্র কৃষকদের।
অন্যান্য সার কিছু পরিমাণে মিললেও পটাশ একেবারেই মিলছে না। এতে সরিষা ও আলুসহ রবিশস্য চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। সার না পাওয়ায় আলুবীজ বপনে বিলম্ব হওয়ায় ফলন কম হওয়াসহ দাম না পাওয়ার আশঙ্কা চাষিদের। তবে পটাশসহ কোনো সারের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উত্তরপাড়ার কৃষক বলেন, এ বছর রবি মৌসুমে সার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। খুচরা দোকানে গিয়ে সার কিনতে পারেননি। দোকানিরা সার ডিলারের কাছে যেতে বলেন। ডিলারের কাছে গেলে তাকে কৃষি অফিসের স্লিপ নিয়ে আসতে বলে। কষ্ট করে স্লিপ সংগ্রহ করে ডিলারের কাছে গেলেও ন্যায্য দামে কিনতে পারেননি। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই সার কিনতে হচ্ছে। সারের কৃত্রিম সংকটের কারণে চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
একই এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, টাকা দিয়ে সার কিনব, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। দামের কারণে এখনো জমিতে সার দিতে পারিনি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা যায়, সরকার ডিলারদের কাছে প্রতি কেজি টিএসপি ২৫, ডিএপি ১৯ ও এমওপি ১৮ টাকা দরে বিক্রি করছে। ডিলাররা প্রতি কেজিতে দুই টাকা লাভে কৃষকের কাছে বিক্রি করার কথা। আর এতে সরকার প্রতি কেজি সারে ৫৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু ডিলারদের কাছে সার না পেয়ে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনছে বলে অভিযোগ করেছে কৃষকরা।
সরকার ৫০ কেজি টিএসপি সারের দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকায়। একই অবস্থা অন্য সারের ক্ষেত্রেও। এক হাজার ৫০ টাকার ডিএপি এক হাজার ৪০০ টাকায়, এক হাজার ৩৫০ টাকার ইউরিয়া এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪২০ টাকায়, এক হাজার টাকার এমওপি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়েই কৃষককে সার কিনতে হচ্ছে।
ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। ফলে আসন্ন শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকের সরকারি ভর্তুকির সার নিয়ে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট। বেশি দামে বিক্রি করতে জেলার বাইরে সার পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
অভিযোগ উঠেছে, সরাসরি কৃষকের কাছে সার বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও অসৎ ডিলাররা সার উত্তোলনের পরপরই তা অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়। সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তৈরি হয়েছে দুষ্টুচক্র। ফলে কৃষকরা ডিলারদের কাছে গিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনছে। আবার কিছু কিছু ডিলার সার গোপনে গুদামে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
অপরদিকে সারের কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করছে ডিলাররা। তাদের মতে, তারা যে পরিমাণ সার বরাদ্দ পায় সেটি স্থানীয় কৃষকদের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আমনের সময় চাহিদা বেশি হওয়ায় সারের সংকট বেড়েছে। তবে সার সংকটের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের বক্তব্য হলো আমনের জন্য যে পরিমাণ সার প্রয়োজন তার তুলনায় বর্তমানে বেশি মজুদ রয়েছে। সরকার নতুন করে সার আমদানির উদ্যোগও নিয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে খুচরা পর্যায়ে সার সংকটের যে-সব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা সমাধানে প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রশ্ন হলো পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকলে নতুন করে আমদানির প্রয়োজনীয়তা কী? নিশ্চয়ই এ ক্ষেত্রেও হিসাবের গরমিল আছে।
কৃষি উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ মৌসুমে খুচরা পর্যায়েও সার সংকট কাম্য নয়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি শুরু থেকে জোরদার করা দরকার ছিল। এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। সরকার ও ডিলারদের বক্তব্যের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা মিলছে না। সার সংকটের চিত্র বর্তমানে স্পষ্ট। সরকারের প্রয়োজনমাফিক সার সরবরাহ নিশ্চিতে অনতিবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। চাল জোগানের বড় একটি অংশ আসে আমন মৌসুম থেকে, মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৩৫ শতাংশ। খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আমন ধান। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, সার সংকট দূর করা না গেলে আমন উৎপাদন কমবে, যার প্রভাব দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তার ওপর পড়তে পারে। সার সংকটে এ মৌসুমের উৎপাদন ব্যাহত হবে বা খাদ্যনিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি হবে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জরুরি ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে।
এখন সার সংকটের যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেটি সার সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা ও তদারকির ঘাটতিকে নির্দেশ করছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সারা দেশে সারের ডিলারশিপের অনুমতি দেয়। দেশে দুই সংস্থার মোট অনুমোদিত ডিলার আছে ৭ হাজার ১০০-এর বেশি। ডিলাররা যেন কোনোভাবেই সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্যে সার কিনতে পারেন সেটিও নিশ্চিত করা আবশ্যক।
দেশে আমন ধান উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ সার। কারণ এ সময় আবহাওয়া তুলনামূলক বেশি অনিশ্চিত থাকে। মাটির উর্বরতা, আবহাওয়া ও জাতভেদে সারের সঠিক প্রয়োগ ফলনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বীজতলা থেকে চারা রোপণের কয়েকদিনের মধ্যে সার দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া ধানের চারা বৃদ্ধির নির্দিষ্ট পর্যায়েও সার প্রয়োগ করতে হয়। এ সময় যদি কৃষক পর্যাপ্ত সার না পায় তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এবার আমনের উৎপাদন কমে গেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে এর প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও। উচ্চ মূল্যস্ফীতি বর্তমানে অর্থনীতির জন্য বড় চাপ হয়ে আছে। জনজীবনে আর্থিক স্বস্তি নেই বাড়তি দামের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে আমনের উৎপাদন কমলে চালের জোগান কমবে এবং এর প্রভাব পড়বে বাজারদরে।
বন্যার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমন উৎপাদন কম হয়েছিল, যার প্রভাব বাজারে পড়তে দেখা গেছে। সে সময়ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি চড়া ছিল। এবারো আমন উৎপাদন কম হলে এর প্রভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) মাসিক ইকোনমিক আপডেট প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে কেবল চালের অবদানই ছিল ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যসহ সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে চালের দাম এখনো বড় উদ্বেগের কারণ। সুতরাং চালের উৎপাদন কাক্সিক্ষত মাত্রায় না হলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে যাবে। আবার চালের জোগান বৃদ্ধিতে সরকার আমদানি করলে তার চাপ পড়বে বৈদেশিক মুদ্রায়। মনে রাখা প্রয়োজন, বর্তমানে দেশে ডলার প্রবাহে আবার শুরু হয়েছে উর্ধ্বমুখী প্রবনতা। রিজার্ভ পরিস্থিতি এখনো খুব বেশি উন্নত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে সার ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
এজন্য কেবল মূল্যতালিকা টাঙানো বা রশিদ বই চেক করলেই হবে না, মাঠপর্যায়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যেখানে সংকটের অভিযোগ পাওয়া যাবে, দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অভিযুক্ত ডিলারদের অনুমোদন বাতিল করাও জরুরি, যাতে তা দৃষ্টান্ত হতে পারে অন্য ডিলারদের জন্য। এছাড়া ডিলারদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সার বিতরণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আবার সার সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখতে সময়মতো আমদানিও করা আবশ্যক। জানা গেছে, সাধারণত আমন মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে সরকার জুনে সার আমদানি করে। এটি আমলাতান্ত্রিক ধীরগতি ও নীতি দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। কৃষি উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আমদানিতে সরকারের দিক থেকে এ ধরনের উদাসীনতা একেবারেই কাম্য নয়।
এদিকে গত ৩১শে জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে ক্যাব বলেছে, শুনানি না করেই সরকারি কোম্পানির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। বর্তমান কমিশন জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিজের পদের অপব্যবহার করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কৃষিকাজে রাসায়নিক সার ব্যপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
বিইআরসি'র গণশুনানির মাধ্যমে সার কারখানায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সারের দামও বাড়বে কিনা, এই প্রশ্ন সামনে আসছে। একই সাথে বিদ্যমান খাদ্য মূল্যস্ফীতির মধ্যেই দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধির শঙ্কাও রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সারের দামও স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তে পারে। যার প্রভাব পড়বে খাদ্য মূল্যে।
"উৎপাদন খরচ বাড়বে, সরকারও ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসলো সব কিছু একসাথে কনজিউম করা কৃষকের জন্যও কঠিন হবে। "
কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির প্রভাব উৎপাদিত পণ্যের ওপর পড়বে এটা স্বাভাবিক। আর বাজারে আবারো এবং আরো খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির চাপ সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে। মুখোমুখি হতে হবে দুর্ভিক্ষাবস্থায়। নাউযুবিল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












