আপনাদের মতামত
বিজাতীয় শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা মুসলমানদের জন্য জরুরী
, ০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত

বিধর্মী বিজাতীরা বহুরূপে বহুকায়দায় বহু ছুরতে সহজ সরল দ্বীনদার মুসলমান উনাদেরকে গুমরাহ করে ঈমান আমলহারা করে দিতে সদা অপতৎপর থাকে। এর মধ্যে তারা তাদের পূজনীয় শব্দগুলো সম্মানিত মুসলমানদের মধ্যে জারী করার মাধ্যমেও তাদের অনুগামী করতে চায়। নাউযুবিল্লাহ! বলার অপেক্ষা রাখে না, কালক্রমে শিক্ষিত নামধারীরাও অনায়াসে ঐ সকল মুশরিকী শব্দ হরহামেশা ব্যবহার করতে থাকে। বাংলায় বিশেষ করে বাঙ্গালী মুসলমান উনাদের মধ্যে এমন মুশরিকী শব্দের বহু প্রচলন রয়েছে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শরয়ী উসূল সম্পর্কে সঠিক বুঝের অভাব এবং আল্লাহওয়ালা বুজুর্গ উনাদের ছোহবত মুবারকের অভাবের কারনে ওই সকল মুশরিকী শব্দ ব্যাপকভাবে আমজনতার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন বান্দাকে হাকিকী ঈমানদার মুমিন হতে হলে তার শব্দ চয়নে, শব্দ ব্যাবহারেও মুশরিকী গন্ধ আছে এমন শব্দগুলোও পরিহার করে চলতে হবে। যেমন, প্রচলিত- মাংস, ঝোল, লাউ, জল, পূর্নিমা, ¯œান ইত্যাদী মুশরিকী শব্দ হিসেবে ইতমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। এগুলো বর্তমানে অনেক সমঝদার মুসলমানরা পরিত্যাগ পরিহার করে গোশত, সুরুয়া, কদু, পানি, জোসনা, গোসল শব্দে বলা লিখা শুরু করেছেন।
আরেকটি বহুল পরিচিত প্রচলিত শব্দের কথা বলবো যা সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে পত্রপত্রিকা মিডিয়া-অনলাইনে ব্যাপকভাবে আলোচিত। সেটা হলো, “রাষ্ট্রধর্ম” এই শব্দটি। প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে রাষ্ট্র বলতে যা বুঝানো হয় তেমন কিছুর অস্তিত্ব দ্বীন ইসলামে অনুমোদিত নয়। যেহেতু এটা আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি প্রচলিত ধারা। আর আলাদাভাবে যদি ধর্ম শব্দটি ধরা হয় তাহলে এই শব্দটিও ইসলামী শরীয়তসম্মত শব্দ নয় বরং কাট্টা মুশরিকী শব্দ। কেননা, কথিত ন্যায় বিচারের এক হিন্দু মুশরিক কল্পিত দেবতার নাম হচ্ছে-“ধর্ম”। এই বিষয়টি সহজে বুঝা সম্ভব হবে যদি ধর্মঘট শব্দটির উৎস দেখেন। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে- বৈশাখ মাসে প্রতিদিন মুশরিকদের একটি বিশেষ পুজা আছে। প্রতিদিন সুগন্ধি পানিভরা কাপড় আচ্ছাদিত একটি কলসি কথিত ধর্ম নামক দেবতাকে সাক্ষী বা উদ্ধেশ্য করে ঘট স্থাপন করা হয়। যা সংক্ষেপে ধর্মঘট বলে। যদিও পরবর্তীতে এ শব্দটিকে কুফরী গনতন্ত্রের একটি প্রতিবাদী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অতএব,ধর্ম শব্দটির মূলেই যেহেতু হিন্দু মুশরিকদের পুজনীয় দেবতা উদ্ধেশ্য তাই এই শব্দটিও সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে পরিহার করতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “যে ব্যাক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নিয়মনীতি,তর্জতরীকা ব্যাতীত অন্যকোন ধর্মের নিয়মনীতি তরীকা তালাশ করে সেটা তার থেকে কখনোই কবুল করা হবেনা। এই কারনে পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্ন্তভুক্ত হবে। ” অতএব, ধর্ম নামক শব্দ পরিহার করে রাষ্ট্রধর্ম না বলে, না লিখে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম এভাবে লিখবো বলবো। ইনশাআল্লাহ!
-শাহ আজমী আব্দুল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গযব কাহিনী (২)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গযব কাহিনী
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সৌদিসহ আরব দেশগুলোর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আসলে ইহুদী- এ অভিযোগ তাহলে সম্পূর্ণ সত্যি? না হলে তারা কীভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে?
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদের ছায়াতলে না থাকলে যা হয় প্রমাণিত হলো মার্চ ফর গাজা পুরোটাই ধোকা আর খ্যাতি মোহ মিডিয়া কভারেজের ব্যবসা
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে যদি ১৭০টি মন্দির বন্ধ করে হিন্দুদের উৎখাত করা হতো তাহলে ভারত কী বলতো? কী করতো? কিন্তু ভারতের উত্তরাখন্ডে ১৭০ মাদরাসা বন্ধ করে মুসলমানদের উৎখাত করার পরেও বাংলাদেশ সরকার তথা গোটা মুসলিম বিশ্ব এবং তথাকথিত বিশ্ব নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয় কেন? ভারত নামে কোন রাষ্ট্র থাকার অধিকার আর নাই
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে কিছু বাস্তব কথা
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পূজা মন্ডপে যাওয়া মুসলমানদের জন্য কঠিন গুনাহ
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৈশাখী অপসংস্কৃতি লালন-পালনের নেপথ্যের কুশীলবরা কেউ হিন্দুত্ববাদী, কেউ ইসলামবিদ্বেষী
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন করাকে ‘জায়েজ’ বলার চেষ্টা করাও কুফরী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)