বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বাঁচতে ইসলামী দিবস পালনের গুরুত্ব (২)
, ০৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

আসলে নামধারী আলেমদের চিন্তার গ্যাপটা আমি ধরিয়ে দিচ্ছি। তারা থার্টি ফার্স্ট, পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইন ডে’র কথা বলে- “এ সমস্ত দিবস পালন করা হারাম, তাহলে তাদের অনুসরণে সকল দিবস পালন করা হারাম। ” আসলে বিষয়টি এমন না। ইসলামে দিবস পালন করা যদি হারাম-বিদআত-শিরক হতো, তবে জুমুয়ার দিন, ঈদের দিন, আশুরার দিন, আরাফার দিন পালন করার বৈধতা থাকতো না। আসলে এখানে দিবস মূল না, মূল হচ্ছে দিবসটা কি উপলক্ষে পালন হচ্ছে সেটা। সেটা ঈমানী বিষয়ে নাকি কুফরী বিষয়ে? যদি ঈমানী বিষয়ে হয়, তবে সেটা হালাল। কিন্তু সেটা যদি কোন কুফরী বিষয়কে স্মরণ করে হয় তবে সেটা হারাম বা কুফরী।
একইভাবে অনেকে বিভিন্ন দিবসে হারাম কাজ করে। এখানে দোষ কিন্তু দিবসে না, হারাম কাজ পালনে। হারাম কাজ বন্ধ করে দিলে হালাল দিবস অবশ্যই হালাল হবে। মূল কথা হলো- মাথা ব্যথার সমাধান মাথা কাটা না।
কিন্তু আমাদের এক শ্রেনীর নামধারী আলেম সোজা সাপটা সকল দিবস পালন করা হারাম-বিদআত ফতওয়া দিয়ে মাথা ব্যথার চিকিৎসায় মাথা কেটে বিরাট ক্ষতি করে ফেলেছে, মুসলমানদের করে ফেলেছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি শূণ্য।
আমার মনে হয়, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রক্ষার্থেই মুসলিম সমাজকে দিবস পালন বিরোধী ফতওয়া থেকে সরে আসতে হবে। মুসলমানদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দিবস উৎযাপন শুরু করতে হবে।
ঐ দিবসগুলোতে মুসলিমদের পূর্ববর্তী মনিষীদের জীবনী, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা হবে। মুসলিম সংস্কৃতি চর্চা হবে।
নতুন প্রজন্ম সে উপলক্ষে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবে-চিনবে।
তখনই মুসলমানরা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আসবে, নিজ সংস্কৃতি ও মূলবোধ জেনে হীনমণ্যতা দূর করবে।
সরে আসবে বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে।
-আহমদ রেফায়ী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যেই ‘ভালো’ খারাপকে প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখে না, সেই ‘ভালো’ কখনোই ভালো নয়
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকেই মুসলমানরা শুধু বাংলাদেশ নয়; সারা কায়িনাতের আদিবাসী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু তুরস্ক নয়, গাজা পুনর্গঠনে গোটা মুসলিম বিশ্বের এখনি ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩০% বায়ুদূষণের কারণ ভারত এবং আরো ৩০% বায়ুদূষণের কারণ পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ উপদেষ্টার কোনো কথা বা কার্যক্রম নেই। ২০২২ সালে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রীটকারী ২০২৪ সালে পরিবেশ উপদেষ্টা হয়ে বলছেন বায়ুদূষণের দায় নিবো না। পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্যোগ- শুধু ইটভাটা আর পলিথিন বন্ধে- এ বৈষম্য আর জুলুম জনগণ বেশী বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কৃষকের কান্না দেখুন, কান্নার আওয়াজ শুনুন হিমাগারের সংখ্যা বাড়ান, ভাড়া কমান কৃষক ও কৃষির ক্ষেত্রেই সর্বাগ্রে সংস্কার শুরু করুন
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আপনি তাক্বওয়া হেতু নিজ স্ত্রীর নামটা প্রকাশ করবেন না
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুসলমানের মুসলমানিত্ব হরণ করার জন্য, ভারতের উত্তরখন্ডে অভিন্ন দেওয়ানী আইন পাশ করা হয়েছে ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করছে না- “বাংলাদেশের কথিত ইসলামী দলের নেতা”, “সরকারী নেতা”, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথা গোটা মুসলিম বিশ্ব” (নাউযুবিল্লাহ)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নামায, রোযা, বেহেশত, দোযখ, ফেরেশতা এ শব্দগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ-এ খুঁজলে যদি পাওয়া না যায়, তবে শবে বরাত কী করে পাওয়া যাবে?
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসবাদ (২) : ইউপিডিএফ (৩য় পর্ব)
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)