বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৪)
, ২৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
পূর্ব প্রকাশিতের পর
নিকাহ বা বিবাহের উদ্দেশ্য এবং উপকারিতা:
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ اِلَيْهَا.
অর্থ: “তিনি মহান আল্লাহ পাক যিনি তোমাদেরকে একজন মানুষ (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনার থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং উনার থেকে উনার সম্মানিতা আহলিয়া উনাকে পয়দা করেছেন এ জন্য যে, তিনি যেন উনার সম্মানিতা আহলিয়া উনার মাধ্যমে ইতমিনান বা প্রশান্তি লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খাছ করে আমাদের যিনি সম্মানিত ও পবিত্র আদি পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের কথা উল্লেখ থাকলেও এর দ্বারা সমস্ত আদম সন্তানকেই বুঝানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ.
অর্থ: “মহিলাগণ তোমাদের আবরণ এবং তোমরাও মহিলাদের আবরণ অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা একে অন্যের পরিপূরক, অর্থাৎ পরস্পর পরস্পরের পবিত্র ঈমান, আমল, ইজ্জত হিফাযতের মাধ্যম। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৭)
অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ.
অর্থ: “তোমাদের আহলিয়ারা তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। ” অর্থাৎ বিবাহের আর এক উদ্দেশ্য হচ্ছে নছব বা বংশধারা জারি করা। সুবহানাল্লাহ!
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ فَإِنْ كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰ أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَيَجْعَلَ اللَّـهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا.
অর্থ: “তোমরা আহলিয়াদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করো। যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ করো তবে জেনে রেখো, অতিসত্বর তোমরা যা অপছন্দ করো তাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক খ¦ইর, বরকত দান করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
النِّكَاحُ من سُنَّتِي فمَنْ لمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَليسَ مِنِّي.
অর্থ: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করা আমার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে অস্বীকার বা অবজ্ঞা করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ.
অর্থ: “দুনিয়ার সমস্ত কিছুই সম্পদ এবং দুনিয়ার সমস্ত সম্পদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেককার আহলিয়া (স্ত্রী)। সুবহানাল্লাহ! (অসমাপ্ত)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছে, বিবাহ-শাদী করা। যার দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তরীক্বায় বিবাহের মোহর
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিবাহের পূর্বে বরকে ও কনেকে দেখার সম্মানিত শরয়ী অর্থাৎ মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিবাহের ক্ষেত্রে কুফু বা সমকক্ষতা রক্ষা করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিবাহের প্রস্তাব দেয়া এবং সম্মতি জ্ঞাপন করার মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সুন্নত মুবারক অনুসরণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করার বেমেছাল ফযীলত
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নতী আসবাবপত্রের পরিচয় ও ব্যবহার করার গুরুত্ব-ফযীলত মুবারক
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অত্যন্ত বরকতময় মহাসম্মানিত সুন্নতী খাদ্য “সিরকা” (৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












