বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আপনি তাক্বওয়া হেতু নিজ স্ত্রীর নামটা প্রকাশ করবেন না
, ০৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২১ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত

কিন্তু আপনার উপদেষ্টা সরকার এন.আই.ডি কার্ডের নামে কোটি কোটি পর্দানশীন মহিলাদের খোদ মুখম-ল প্রকাশে বাধ্য করবে-
এই বৈষম্য পতিত জালিম সরকারের চেয়ে অনেক বড় তথা মহা বৈষম্য
সারজিসের স্ত্রীর তাক্বওয়া থাকবে- সে জান্নাতে যাবে আর বাকী পর্দানশীন মহিলারা মুখম-ল প্রকাশ করে জাহান্নামে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে- এটা তো বৈষম্যহীন পথ চলা নয়?
সারজিসের স্ত্রীর নাম প্রকাশ না করার ঘটনা থেকে উপদেষ্টা সরকারের মহিলাদের মুখম-ল প্রকাশ না করার গুরুত্ব অন্তবর্তী সরকারকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে হবে
এবং অবিলম্বে পর্দানশীন মহিলাদের জন্য ছবি বিহীন ভোটার আই.ডি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
মুসলিম শরীফের হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, আখেরী যামানায় এমন কিছু ধর্মব্যবসায়ী আলেম বের হবে তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি। তোমাদের বাবা-মা চৌদ্দপুরুষ শুনেনি। মহিমান্বিত হাদীছ শরীফের কথা স্বভাবতই সত্য হয়েছে। লাখ লাখ ধর্মব্যবসায়ী মালানা বের হয়েছে। তারা বলছে যে মুখম-ল খোলা জায়েয রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফে সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৩ নং আয়াত শরীফে মহিলাদের সামনে না গিয়ে পর্দার আড়াল থেকে জরুরী জিনিস চাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত মুখ খোলা জায়েয হলে তো পর্দার আড়াল থেকে চাওয়ার প্রয়োজন হতো না। তাহলে সামনা সামনিই চাওয়া যেতো।
তাফসীরে বলা হয়েছে, পর্দার আড়াল থেকে শুধু চাওয়াই নয় বরং কণ্ঠস্বরও কোমল করা যাবে না। বরং শক্তভাবে কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একই ধারাবাহিকতায় হক্কানী রব্বানী আলেমগণ তাক্বওয়া হেতু পর স্ত্রীর নাম নিতেন না। বা নিজের স্ত্রীর নাম পর পুরুষকে জানাতেন না। আবহমান কাল ধরে এ ঐতিহ্যই ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। সেই ঐতিহ্যের রেশই দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম-এর বিয়ের ক্ষেত্রে।
জানা গেছে, সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুরে বসবাস করেন তারা। একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়। তিনি একজন হাফিজায়ে কুরআন। সবসময়ই পর্দা করে চলেন। তাই তার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে তারা। (সূত্র-জঞঠ)
সারজিস নিজের স্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন নি মূলত সঠিক ইসলাম পালনের জন্য। তাক্বওয়ার কারণে। জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে। জান্নাতে যাওয়ার আশায়।
কথা হলো এসব দ্বীনি অনুষঙ্গ, পরকালীন নাজাত শুধু কি সারজিস ও তার স্ত্রীর জন্যই শুধু বরাদ্দ হতে হবে?
দেশে তো এরূপ আরো কোটি কোটি পর্দানশীন মা-বোন আছে।
তাদের পর্দার বিষয়টা, তাদের নাজাতের বিষয়টা সারজিস ও তার উপদেষ্টা সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে কী?
গণমাধ্যমে বার বার উঠে আসছে পর্দানশীন মহিলারা মুখম-লের ছবি না তুলে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিতে ছবিবিহীন আইডি কার্ড চাচ্ছেন। তারা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী নিজ মুখম-লের ছবি পর পুরুষকে দেখাতে চাচ্ছেন না। যেমনটি সারজিস ও তার পরিবার সারজিসের স্ত্রীর নাম জানাতে চাচ্ছেনা।
দ্বীন ইসলামে নাম প্রকাশ করার চেয়ে চেহারা প্রকাশ করার নিষেধাজ্ঞা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
নাম প্রকাশ না করার কথা কুরআন শরীফে নেই। কিন্তু চেহারা প্রকাশ না করার কথা কুরআন শরীফে আছে।
নাম প্রকাশ না করার কথা ফিক্বাহ্র কিতাবে নেই। কিন্তু চেহারা প্রকাশ না করার কথা অসংখ্য ফিক্বাহ্র কিতাবে আছে।
নাম প্রকাশ না করা জরুরী মহিলাদের।
কিন্তু মহিলাদের চেহারা প্রকাশ করা শক্ত কবীরাহ গুনাহ।
প্রসঙ্গত প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্পষ্টভাবে বলতে হয়- সারজিস যদি তার স্ত্রীর নামই পরপুরুষকে জানাতে অনীহা প্রকাশ করে, বিব্রত বোধ করে।
তাহলে বাকী কোটি কোটি পর্দানশীন মা-বোন কি মুখম-ল দেখাতে সাচ্ছন্দ প্রকাশ করে? নাম প্রকাশেই যদি বিব্রতবোধ হয় তবে মুখম-ল প্রকাশে কত গভীরভাবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়? নাম প্রকাশেই যদি এত শক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন হয় তাহলে মুখম-ল না প্রকাশে কত গুরুত্ব বহন করে?
সঙ্গতকারণেই সারজিস ও তার উপদেষ্টা সরকারকে বলতে হয় সারজিস তার স্ত্রীর নাম তাকওয়া বশত প্রকাশ করবে না, এটা ঠিক আছে। কিন্তু বাকী কোটি কোটি পর্দানশীন মহিলাদের এন.আই.ডি কার্ডের জন্য মুখম-ল প্রকাশ করায় শক্ত কবীরাহ গুনাহে গুনাগার বানাবেন- এটা কী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা নয়?
নিজে তাকওয়া হাছিল করবেন আর অন্যদের জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিবেন, জাহান্নামে যেতে বাধ্য করবেন- এটা কী ফ্যাসিস্ট হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিজম নয়?
অতএব, প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয়-
আপানাদের কাছে দৃঢ় আহবান সারজিসের ঘটনা থেকেই আপনারা পর্দানশীন মা-বোনদের আকুতি অনুধাবণ করুন।
মুখম-লের ছবি দিয়ে এন.আই.ডি না করার শরিয়তী বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করুন। এবং তাদের প্রতি বৈষম্য না করে তাদের দ্বীনী অধিকার ও নাগরিক অধিকার সমন্বিত করে ছবি বিহীন নাগরিক পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করুন ইনশাআল্লাহ।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩০% বায়ুদূষণের কারণ ভারত এবং আরো ৩০% বায়ুদূষণের কারণ পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ উপদেষ্টার কোনো কথা বা কার্যক্রম নেই। ২০২২ সালে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রীটকারী ২০২৪ সালে পরিবেশ উপদেষ্টা হয়ে বলছেন বায়ুদূষণের দায় নিবো না। পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্যোগ- শুধু ইটভাটা আর পলিথিন বন্ধে- এ বৈষম্য আর জুলুম জনগণ বেশী বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কৃষকের কান্না দেখুন, কান্নার আওয়াজ শুনুন হিমাগারের সংখ্যা বাড়ান, ভাড়া কমান কৃষক ও কৃষির ক্ষেত্রেই সর্বাগ্রে সংস্কার শুরু করুন
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানের মুসলমানিত্ব হরণ করার জন্য, ভারতের উত্তরখন্ডে অভিন্ন দেওয়ানী আইন পাশ করা হয়েছে ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করছে না- “বাংলাদেশের কথিত ইসলামী দলের নেতা”, “সরকারী নেতা”, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথা গোটা মুসলিম বিশ্ব” (নাউযুবিল্লাহ)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নামায, রোযা, বেহেশত, দোযখ, ফেরেশতা এ শব্দগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ-এ খুঁজলে যদি পাওয়া না যায়, তবে শবে বরাত কী করে পাওয়া যাবে?
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসবাদ (২) : ইউপিডিএফ (৩য় পর্ব)
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুক্তরাষ্ট্র আসলে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং ইহুদী যুক্তরাষ্ট্র এবং ট্রাম্প মূলত খ্রিষ্টান নয় বরং ইহুদী নিয়াহুর বড় ভাই- বড় ইহুদীতে পরিণত হয়েছে
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসবাদ (২) : ইউপিডিএফ (২য় পর্ব)
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ট্রাম্প দেয়- যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আর সৌদি যুবরাজ সালমান দেয়- যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা তাহলে কী কট্টর খ্রিষ্টান- ট্রাম্পের চেয়ে মুনাফিক সালমানই মুসলমানদের বড় শত্রু সাব্যস্ত হয় না? নাউযুবিল্লাহ!
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসবাদ (২) : ইউপিডিএফ (১ম পর্ব)
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)