মন্তব্য কলাম
ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে গত ২৫ শে জুন সংসদে প্রদত্তে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য কতটুকু আত্মশ্লাঘার! সরকার কি তা বিবেচনা করছে!
, ৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
জমি-ভিটে বেচে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভূ-মধ্যসাগর পারি দিয়ে যে দেশের লোক বিদেশে যায় এমনী অনেকেও মারাও যায়;
সেই দেশেই বহুগুণ বেতনে বিদেশী তথা বৈধ ও অবৈধ ভারতীয় নাগরিক কাজ করে কিভাবে? ভারতে টাকা পাচার করে কেমনে?
দেশী ও প্রবাসী শ্রমিক উভয়েই শুধু অবহেলিত আর নিপীরিত বললে ভূল হবে বরং স্বাধীন বাংলাদেশে তারা ঔপনেবেশিক জুলুম, শোষণ ও বৈষম্যের স্বীকার। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের সাথে চরম সাংঘর্ষিক।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল (১০ মাস) পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রেমিট্যান্স গেছে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশই অর্থাৎ ৫ কোটি ৬ লাখ ডলার নিয়ে গেছে ভারতীয়রা।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের (একে) আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরের আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশীরা প্রতি বছর কী পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছেন? এ নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
সরকারি হিসেবে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখের মতো হলেও এ সংখ্যাটি নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অভিজ্ঞমহল বলছেন, দেশে বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি। যে হারে কর্মসংস্থান হওয়ার কথা, সে হারে না হওয়ায় এ সংখ্যা ক্রমবর্ধমানহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বছরে ২৫ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে কাজ পায় মাত্র ৭ লাখ। এর মধ্যে শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার রয়েছে।
পত্রপত্রিকার হিসাব অনুযায়ী, দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকার প্রায় এক কোটি। প্রতি বছর এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বেকার। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার অবদান মাত্র ১ শতাংশ। বছর পাঁচেক আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি। কয়েক বছরের মধ্যে তা দ্বিগুণ হবে। সে হিসেবে এখন বেকারের সংখ্যা বলতে গেলে ৫ কোটিরও বেশি দাড়িয়েছে। বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর সাথে নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা শত শত শ্রমিক। শুধু এসব দেশ থেকেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও মানুষ দেশে ফিরছে। ফলে দেশের বেকারত্বের হারের সাথে তারাও যুক্ত হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে বিদেশ যাওয়া হতাশ এসব মানুষ দেশে ফিরে কী করবে, কোথায় কর্মসংস্থান হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
এই যখন পরিস্থিতি তখন অভিজ্ঞমহলের মতে, দেশে বিদেশি কর্মী কাজ করছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। এর মধ্যে শুধু ভারতেরই রয়েছে প্রায় ৭ লাখ। এছাড়া চীন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডসহ উন্নত বিশ্বের কর্মীও রয়েছে। এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে কর্মরত।
এদের বেশির ভাগই কর্মকর্তা পর্যায়ের। তাদের একেক জনের বেতন পাঁচ বাংলাদেশী কর্মকর্তার মোট বেতনের চেয়েও বেশি। অর্থাৎ এক বিদেশি কর্মকর্তা পাঁচ জন দেশীয় কর্মপ্রত্যাশীর জায়গা দখল করে রেখেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গার্মেন্ট খাতে ২০ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছে। তাদের বেতন গার্মেন্ট খাতে দেশীয় শ্রমিকের মোট বেতনের প্রায় অর্ধেক। এ থেকে বোঝা যায়, বিদেশি কর্মীরা এদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেয়া হয়েছে ভারতীয়দের।
বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বৈধ-অবৈধভাবে এ দেশে জাঁকিয়ে বসে চাকরি করে যাচ্ছেন; পকেটে পুরছেন লাখ লাখ টাকার বেতন; আর এ টাকার বেশির ভাগই অবৈধ পথে নিজের দেশে পাঠাচ্ছেন। আবার ওই সব প্রতিষ্ঠানে দেশের যেসব নাগরিকের চাকরি মিলছে, তারা অনেক কম বেতনে বিদেশি বসের অধীনে, এমনকি বিদেশি সহকর্মীর চেয়েও কম বেতনে চাকরি করে যাচ্ছেন। এ যেন ‘নিজ দেশে পরবাসী’ অবস্থা। অবৈধ বিদেশি কর্মীদের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোরও কোনো নজরদারি নেই।
বিনিয়োগ বোর্ডের আইনে আরো বলা আছে, কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে একজন বিদেশি নাগরিক নিয়োগ দিলে তার বিপরীতে ২০ জন দেশীয় কর্মী নিয়োগ দিতে হবে বা থাকতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানটি যদি বায়িং হাউস বা বাণিজ্যিক অফিস হয়, সেখানে একজন বিদেশি নাগরিক নিয়োগ দিলে তার বিপরীতে পাঁচজন দেশীয় কর্মী নিয়োগ দিতে হবে বা থাকতে হবে। তবে তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী বহুজাতিক বিদেশি কম্পানি হলে সে ক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল হবে। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল-গ্যাস কম্পানি শেভরনে বহু বিদেশি কর্মী কাজ করেন। আর অন্যান্য দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান এসব শর্ত মানে না। উদ্যোক্তাদের যুক্তি, দেশে দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি নেই।
আরো নিয়ম আছে, যে প্রতিষ্ঠানে বিদেশিরা কাজ করবেন, এ দেশের শ্রমবাজারের দক্ষতা তৈরি হলে ক্রমান্বয়ে তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দিতে হবে। আর সেই শূন্যস্থান দেশীয় লোকবল দিয়ে পূরণ করতে হবে। তবে এসব সরকারের আইন ও কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে বহু বিদেশি কম্পানি সাধারণ কাজের জন্যও বিদেশ থেকে লোক আনছে। বছরের পর বছর এসব বিদেশি বাংলাদেশে চাকরি করছেন। ওই সব কম্পানির উচ্চ পদে সবাই বিদেশি। সেখানে বাংলাদেশিদের নিয়োগই হয় না।
মুরগি, ডিম, মুরগির বাচ্চা, মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারী একটি বড় প্রতিষ্ঠানে শিবাজি নামে একজন ভারতীয় আড়াই লাখ টাকার বেশি বেতনে চাকরি করে। ভেটেরিনারি মেডিসিনের এই বিদেশি নাগরিকের মতো যোগ্যতাসম্পন্ন জনশক্তি বাংলাদেশে প্রতিবছর বের হয় অন্তত ছয় হাজার। কিন্তু তারা সবাই চাকরি পান না। যারা পান, তারা অনেক কম বেতনে চাকরি করেন।
ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আফতাব ফিডে বহু বিদেশি চাকরি করেন বলে জানা গেছে, যাদের বেতন মাসে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এদের একজন ফিলিপাইনের নাগরিক জন্ডিলা বাইয়ান। তিনি ফিলিপাইনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনিম্যাল হাসব্যান্ড্রি থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি আফতাব ফিডের চিফ নিউট্রিশনিস্টের দায়িত্বে রয়েছেন; প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বেতন পান। এ প্রতিষ্ঠানে বয় নামের আরেক ফিলিপিনো পুষ্টিবিদ কাজ করেন উঁচু বেতনে। অথচ এখানে যেসব দেশি কর্মী এনিম্যাল হাসব্যান্ড্রি থেকে মাস্টার্স করে পুষ্টিবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন, তাদের বেতন গড়ে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে।
বিদেশিরা শুধু দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানেই সংকট সৃষ্টি করছেন না, একই সঙ্গে তারা দেশের প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে রাজস্বও ফাঁকি দিচ্ছেন। বর্তমান আইনে বিদেশিদের অর্জিত আয়ের ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অবৈধ কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশিদের নিয়োগ দিলে ওই কম্পানির প্রদেয় আয়করের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বা কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। তবে এ জরিমানা কাউকে কখনো করা হয়েছে কি না তা কেউ জানাতে পারেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানছেন না বিদেশিরা।
আর দেশের বেকাররা পরিণত হচ্ছে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝায়। তবে এদেশীয় বেকাররাই আবার কোনো কোনো দেশ তাদের আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত করেছে। কেবল আমরাই পারছি না, এ সোনার দেশের সোনা রাখতে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশিদের হাতে তা ছেড়ে দিচ্ছি। একদিকে জনশক্তি রপ্তানি করছি, অন্যদিকে আমদানি করছি। আমাদের বেকার তরুণরা একটি চাকরির সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরছে, বিদেশ যাওয়ার জন্য সর্বস্ব বিক্রি করছে, অন্যদিকে আমাদেরই প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশিদের নিয়োগ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে চলে যাওয়ার রাস্তা করে দিচ্ছে।
এরা চরম আত্মশ্লাঘার। এটা পরম আত্ম অবমাননার! এটা নিদারুণ রক্তক্ষরণের প্রশ্ন হচ্ছে!
জমি-ভিটে বেচে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভূ-মধ্যসাগর পারি দিয়ে যে দেশের লোক বিদেশে যায় এমনী অনেকেও মারাও যায়; সেই দেশেই বহুগুণ বেতনে বিদেশী তথা বৈধ ও অবৈধ ভারতীয় নাগরিক কাজ করে কিভাবে? ভারতে টাকা পাচার করে কেমনে?
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












