আপনাদের মতামত
ভারতের সেবাদাস পতিত জালিম সরকারের পতনের পর দিন দিন প্রমাণিত হচ্ছে বাংলাদেশের উপর ভারতের নির্ভরতা। ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানী বন্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের মাথায় হাত। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আরো মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে হবে এবং ভারতের মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে ইনশাআল্লাহ!
, ২৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৯ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত

ভারতের সেবাদাস সাবেক পতিত সরকারের প্রচারনা ছিলো যে, ভারত ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারে না। কথিত সরকার পতনের পর এখন দিন দিন প্রতিভাত ও প্রমাণিত হচ্ছে যে ভারতই বাংলাদেশ ছাড়া অচল।
দৈনিক আল ইহসানে “বাংলাদেশী পর্যটক ছাড়া কলকাতার ব্যবসা এবং ভারতের চিকিৎসা সেক্টর অচল হয়ে পড়েছে। ” সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখালেখি হয়েছে। এরপর দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশী পণ্য ছাড়া ভারতের পর্যটক ও বিমানবন্দর ও অচল হয়ে পড়েছে। বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।
‘ভারতীয় গণমাধ্যম লাইভমিন্টকে’ এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের মহাপরিচালক দীপক বলেছে, “আগে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিবহন হত। কিন্তু এখন তারা অন্যান্য রুটে তাদের পণ্য পরিবহন করছে। যার অর্থ আগে এসব পণ্যের কার্গো থেকে ভারত যে রাজস্ব পেত সেটি এখন পাচ্ছে না। - এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) ভারতের অন্যতম বৃহৎ কার্গো পরিবহন সংস্থা।
দেশটির তিন কর্মকর্তা বলেছে, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক পণ্য জাহাজে করে প্রথমে মালদ্বীপে পাঠাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিশ্বব্যাপী গন্তব্যে পৌঁছানো হচ্ছে পণ্যগুলো। যার মধ্যে রয়েছে এইচঅ্যান্ডএম এবং জারার মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির পোশাকও।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। যার অর্থ ভারত দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করত।
“বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তে ভারত সরকার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে। যেটি ভারত হয়ে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে।
ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর পরিবর্তে এখন মালদ্বীপের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো হচ্ছে। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের নৌ ও বিমানবন্দর বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তারা।
দেখা যাচ্ছে সব দিক থেকেই ভারত মূলত: বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল। ভারতীয়রা বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, চাকরী করছে সেগুলো বন্ধ করে দিলে ভারত আরো না খেয়ে মরবে।
তাই বাংলাদেশকে আরো মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে হবে এবং ভারত মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত হুমকি দিতে হবে ইনশাআল্লাহ!
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গযব কাহিনী (২)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গযব কাহিনী
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সৌদিসহ আরব দেশগুলোর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আসলে ইহুদী- এ অভিযোগ তাহলে সম্পূর্ণ সত্যি? না হলে তারা কীভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে?
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদের ছায়াতলে না থাকলে যা হয় প্রমাণিত হলো মার্চ ফর গাজা পুরোটাই ধোকা আর খ্যাতি মোহ মিডিয়া কভারেজের ব্যবসা
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে যদি ১৭০টি মন্দির বন্ধ করে হিন্দুদের উৎখাত করা হতো তাহলে ভারত কী বলতো? কী করতো? কিন্তু ভারতের উত্তরাখন্ডে ১৭০ মাদরাসা বন্ধ করে মুসলমানদের উৎখাত করার পরেও বাংলাদেশ সরকার তথা গোটা মুসলিম বিশ্ব এবং তথাকথিত বিশ্ব নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয় কেন? ভারত নামে কোন রাষ্ট্র থাকার অধিকার আর নাই
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে কিছু বাস্তব কথা
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পূজা মন্ডপে যাওয়া মুসলমানদের জন্য কঠিন গুনাহ
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৈশাখী অপসংস্কৃতি লালন-পালনের নেপথ্যের কুশীলবরা কেউ হিন্দুত্ববাদী, কেউ ইসলামবিদ্বেষী
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন করাকে ‘জায়েজ’ বলার চেষ্টা করাও কুফরী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)