ভ্যাট অফিসের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ঘুষ-চাঁদাবাজির অভিযোগ
এডমিন, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২০ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) দেশের খবর

বরগুনার ভ্যাট অফিসে কর্মরতদের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ঘুষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শহরের অর্ধশত ব্যবসায়ী এ অভিযোগ তুলেন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের সামান্য বেচা-কেনা দিয়ে ঘর ভাড়া, ব্যাংক লোন, এনজিওর কিস্তি দিতেই তারা হিমসিম খাচ্ছেন। এর উপরে ভ্যাট অফিসের চাপে তারা আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত ঘোষণা করলেও বরগুনার ভ্যাট অফিসের কর্মরতরা শহরের প্রায় ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে ও বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে ভ্যাটের নামে ঘুষ নিচ্ছেন।
বরগুনা শহরের নজরুল ইসলাম সড়কের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী জাহিদ মিয়া বলেন, আমাকে ১৪ হাজার টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করে জমা দিতে বলা হয়। আমি জমা দেওয়ার পরেও ভ্যাট অফিসের সিপাহী এসএম সালাউদ্দিন আরও ২০ হাজার টাকা অফিস খরচ হিসেবে দিতে হবে বলে বারবার অফিসে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। আমি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আমাকে হুমকি দেন।
সাহাপট্টির সৌদিয়া সেনিটারী এন্ড হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী মুহম্মদ আবু জাফর বলেন, আমাকে ৫ হাজার টাকা জমা দিতে বলার পর আমি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করি। এর সাথে আরও তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
সদর রোডের বেলায়েত ষ্টোরের সত্বাধিকারী সবুজ মিয়া বলেন, আমাকে ৬০ হাজার টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করে ভয় দেখিয়ে আমাদের ৪ জন ব্যবসায়ীকে অফিসে ডেকে নিয়ে ২১ হাজার টাকা ঘুষ নেন সিপাহী সালাউদ্দিন। এরপর প্রতি মাসে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে এক হাজার করে টাকা জমা দিতে বলেন। ঘুষ না দিলে ক্ষতি করার হুমকি দেন।
সদর রোডের ফার্নিচার ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান মামুন ও জাবিদ হোসেন অভিযোগ করেন, সমিতির মাধ্যমে তাদের অনেকগুলো দোকান থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ভ্যাট দেওয়ার নামে উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো রশিদ পাননি।
বরগুনা গার্মেন্টস পট্টির ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৫০টি দোকান থেকে তাদের নেতাদের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা করে উঠিয়ে নেয় ভ্যাট অফিস। কিন্তু কয়েকটি দোকান ছাড়া টাকা জমার রশিদ অথবা নিবন্ধনের কাগজ পাননি কেউই।
এ ছাড়াও শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের সামান্য বেচা-কেনা ভ্যাটের আওতায় পড়ে না। তারপরও নিবন্ধন না থাকলেও সবাইকে টাকা দিতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরগুনা রাজস্ব (ভ্যাট) অফিসের সিপাহী এসএম সালাউদ্দিন বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। যাদের ভ্যাট দিতে বলা হয়েছে তারা অফিসে এসে বলতে পারে। যা ধার্য্য করা হয়েছে তার বাইরে কোনো টাকা-পয়সা নিচ্ছি না।