মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা অর্থাৎ মুসলমানরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’
মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কাফির-মুশরিক ও মুনাফিকদের অনুসরণ ও অনুকরণ নিষেধ থাকার পরও মুসলমানরা কিভাবে জিএমটি মেনে নিতে পারেন? কারণ জিএমটির উদ্ভাবক বা আবিষ্কারক হচ্ছে কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীরা।
অতএব, মুসলিম দেশসমূহের উচিত- “মহাসম্মানিত কা’বা শরীফ” কেন্দ্রিক সময় অঞ্চল অবশ্যই চালু করা। এবং জিএমটি কেন্দ্রিক সময় অঞ্চল পরিহার করা। উল্লেখ্য, পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদেরকে ভালো করে মনে রাখতে হবে যে, ‘সমস্ত কাফিররাই মুসলমানদের চরম শত্রু।’
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ১৮৮৪ সালে যখন গ্রীনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ানকে স্থির করার জন্য ২৫টি দেশের মধ্যে ভোটাভুটি হয়, তখন ব্রাজিল এবং ফ্রান্স ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছিলো এবং ১৯১১ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স জিএমটি অনুযায়ী তাদের সময় অঞ্চল নির্ধারণ করেনি। ১৩০ বছর পরে হলেও আবার তারা জিএমটির বিরোধিতা শুরু করছে সঙ্গতকারণেই। যেহেতু জিএমটি সিস্টেমে ভুল রয়েছে। মুসলিম দেশ হিসেবে একটি মাত্র দেশ তুরস্ক প্রাইম মেরিডিয়ান সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেছিলো। বর্তমানে পৃথিবীতে মোট ৫০টির অধিক মুসলিম দেশ রয়েছে আর বিশ্বের সকল দেশেই মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে অনেক। তবে মুসলমানরা কেন এখনো কাফির-মুশরিকদের জিএমটি অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করবে? নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর প্রদক্ষিণকে এক বছর হিসেবে ধরা হয়। পৃথিবী সবসময় একই গতিতে সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করে না, গতি কখনো বাড়ে কখনো কমে। অতএব, ২৪ ঘণ্টার আগেই কখনো প্রদক্ষিণ শেষ করে আবার কখনো ২৪ ঘণ্টার পরে প্রদক্ষিণ শেষ করে। এর ফলে জিএমটিকে মেনে সময়ের হিসাব করতে গিয়ে ভুল ভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এ সমস্যা সমাধানে জিএমটির সঙ্গে পরমাণু ঘড়ির সমন্বয়ে ১৯৭২ সালে ব্রিটিশরাই এক নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করে; যা হচ্ছে ‘কো অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম’ (ইউটিসি)। কিন্তু তাতেও সমস্যা রয়েছে। মাঝে মধ্যেই যোগ করতে হয় লিপসেকেন্ডস।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ব্রিটিশরা তাদের জিএমটিকে ধরে রাখার জন্য আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করছে, ফরাসীরা তা না মানার জন্য আবার বিরোধিতা করছে। অথচ মুসলমানদের মধ্যে কোনো উপলব্ধি দেখা যাচ্ছে না। মুসলমানদের উপলব্ধি করা উচিত যে, গ্রীনিচ থেকে সময় নির্ধারণ করাটাই অর্থহীন। গ্রীচিনের উপর প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করাটা অযৌক্তিক একটি বিষয়; কারণ এই স্থানের কোনো ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই। সুতরাং বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশের শাসকদের উচিত- জিএমটি পরিহার করে “মহাসম্মানিত কা’বা শরীফ” কেন্দ্রিক সময় অঞ্চল নিজ নিজ দেশে অবশ্যই চালু করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণের জন্য চাপ প্রয়োগ করা। এক কথায় ‘সমস্ত কাফিররাই মুসলমানদের শত্রু’- এটা পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদেরকে ভালো করে মনে রাখতে হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












