মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম (পর্ব-৪২)
, ৩০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
عَنْ حَضْرَتْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ قَامَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِـى الْمَقْـبَـرَةِ وَالنَّاسُ يَـحْفِرُوْنَ لِاُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فِـىْ يَوْمٍ حَارٍّ فَقَالَ لَوْ اَنِّـىْ ضَرَبْتُ عَلَيْهِمْ فُسْطَاطًا فَضَرَبَ عَلَيْهِمْ فُسْطَاطًا
অর্থ: “হযরত মুহম্মদ ইবনে মুনকাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, গরমের দিনে মানুষ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ খনন করা অবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ) কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি আমি উনাদের উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করতে পারতাম! অতঃপর তিনি উনাদের উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গান।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১২)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَكَانَ دَفَنُهَا فِـىْ يَوْمٍ صَائِفٍ فَضَرَبَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلـٰى قَـبْـرِهَا فُسْطَاطًا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে গরমের দিনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা হয়েছিলো। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গান।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/১৯২)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَـبْدِ اللهِ بْنِ اَبِـىْ سَلِـيْطٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ اَبَا اَحْـمَدَ بْنَ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَـحْمِلُ سَرِيْرَ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَهُوَ مَكْـفُوْفٌ وَهُوَ يَــبْكِـىْ فَاَسْـمَعُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ يَقُوْلُ يَا حَضْرَتْ اَبَا اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ تَنَحَّ عَنِ السَّرِيْرِ لَا يَعِنْكَ النَّاسُ وَازْدَحَـمُوْا عَلـٰى سَرِيْرِهَا فَقَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَا سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هٰذِهِ الَّتِـىْ نِلْـنَا بِـهَا كُلَّ خَـيْـرٍ وَاِنَّ هٰذَا يُـبَـرِّدُ حَـرَّ مَا اَجِدُ فَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلْزَمْ اِلْزَمْ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ সালীত্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, আমি হযরত আবূ আহমদ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খাটিয়া মুবারক বহন করতে দেখেছি। তিনি চোখে দেখতেন না। তিনি কাঁদতে ছিলেন। তখন আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন- হে হযরত আবূ আহমদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খাটিয়া মুবারক থেকে সরে যান, যাতে মানুষের চাপে কষ্ট না পান। তখন হযরত আবূ আহমদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! ইনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক, উনার সম্মানার্থে আমরা সমস্ত প্রকার খায়ের-বরকত মুবারক লাভ করেছি। আর নিশ্চয়ই আমার এই কান্না আমার ভিতরের তীব্র জ্বালাকে প্রশমিত করছে। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘আপনি অবস্থান করুন, আপনি অবস্থান করুন’।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/১৯২)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
فَلَمَّا مَاتَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَمَرَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مُنَادِيًا فَنَادٰى اَلَا لَا يَـخْرُجُ عَلـٰى اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اِلَّا ذُوْ رَحِمٍ مِنْ اَهْلِهَا فَقَالَتْ حَضْرَتْ بِنْتُ عُمَيْسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا يَا اَمِيْـرَ الْمُؤْمِنِـيْـنَ اَلَا اُرِيْكَ شَيْئًا رَاَيْتُ الْـحَبَشَةَ تَصْنَعُه لِـنِسَائِهِمْ فَجَعَلَتْ نَعْشًا وَغَشَّـتْهُ ثَوْبًا فَلَمَّا نَظَرَ اِلَيْهِ قَالَ مَا اَحْسَنَ هٰذَا مَا اَسْتَـرَ هٰذَا فَاَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادٰى اَنِ اخْرُجُوْا عَلـٰى اُمِّكُمْ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন (পর্দার বিষয়ে সতর্কতার জন্য) সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন যে- সাবধান! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পরিবার মুবারক উনার সদস্য উনাদের মধ্য থেকে উনার মাহ্রাম ব্যতীত কেউ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার দিকে বের হবেন না। তখন হযরত (আসমা’) বিনতে ‘উমায়েস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন আলাইহিস সালাম! আমি কি ঐ বিষয়টি আপনার নিকট বর্ণনা করবো না, যা আমি হাবশায় দেখেছি, উনারা উনাদের মহিলাদের জন্য কি করতেন? অতঃপর তিনি একটি কফিন বানিয়ে কফিনটি একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তা দেখে বললেন, ‘এটা কতই না সুন্দর ব্যবস্থা! এটা কতই না সুন্দর পর্দা!’ সুবহানাল্লাহ! তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন যে- ‘আপনারা আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার উদ্দেশ্যে বের হন’।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১১)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












