মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৬)
, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিনদের মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। উনারা ছিলেন মোট ১৩ জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন ‘আজওয়াদুন নাস’ বা সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল, মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও ছিলেন উক্ত ছিফত মুবারকের মালিক। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার দানশীলতা মুবারক :
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি এতো পরিমান দান করতেন যে, উনাকে ‘উম্মুল মাসাকীন’ এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারকে সম্বোধন করা হতো। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মাসাকীন শব্দ মুবারক উনার অর্থ হলো, অসহায়দের মাতা, দরিদ্রদের মাতা, সর্বহারাদের মাতা ইত্যাদি। আমভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সমস্ত মু’মিনদের সম্মানিতা মাতা। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য মুবারক হচ্ছেন তিনি উম্মতের মাঝে যারা অসহায়, দরিদ্র উনাদেরও সম্মানিতা মাতা। এটা উনার একক বৈশিষ্ট্য মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি ‘উম্মুল মাসাকীন’ এই কুনিয়াত মুবারকে ভূষিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, গরীব-মিসকীন, অসহায়-দরিদ্র, সর্বহারাদের প্রতি উনার সীমাহীন ¯েœহ-মমতা, রহম-করুণা ও দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে উনাকে এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারকে সম্বোধন মুবারক করা হতো। সুবহানাল্লাহ!
যেমন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
وَهِيَ أُمُّ الْمَسَاكِيْنَ كُنِّيَتْ بَذَالِكَ فِيْ الْجَاهِلِيَّةِ لِرَأْفَتِهَا بِهِمْ وَرَحْمَتِهَا وَإِحْسَانِهَا إِلَيْهِمْ
অর্থ : আর তিনি হচ্ছেন ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! গরীব-মিসকীন, নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদের প্রতি উনার সীমাহীন ¯েœহ-মমতা, রহম-করুণা ও দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে উনাকে জাহিলী যুগেই এই পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করা হতো। সুবহানাল্লাহ! (আল মুখ্তাছারুল কাবীর ফী সীরাতির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১/৫৯)
তাছাড়া তিনি গরীব অসহায়দেরকে অধিক পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন এবং অঢেল পরিমাণে দান-ছদক্বাহ মুবারক করতেন। একারণেও উনাকে “উম্মুল মাসাকীন” বলা হতো।
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
تُعْرَفُ بِأُمِّ الْمَسَاكِيْنَ سُمِّيَتْ بِهَا لِكَثْرَةِ إِطْعَامِهَا الْمَسَاكِيْنَ
অর্থ : সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু‘মিনীন আল খামিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদেরকে অধিক পরিমাণে খাদ্য খাওয়ানোর কারণে উনাকে ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করা হতো। সুবহানাল্লাহ! (মা’রিফাতুছ ছাহাবাহ ৬/৩২২৮)
হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَ كَانَتْ يُقَالُ لَهَا أُمُّ الْمَسَاكِيْنَ لِأَنَّهَا كَانَتْ تُطْعِمُهُمْ وَ تَصَدَّقَ عَلَيْهِمْ
অর্থ : তিনি গরীব-মিসকিনদেরকে অধিক পরিমাণে খাবার খাওয়াতেন এবং তাদেরকে অঢেল দান-ছদক্বাহ করতেন, এজন্য উনাকে ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ বলা হতো। সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৮/১৫৭)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
وَهِيَ أُمُّ الْمَسَاكِينِ سُمِّيَتْ لِكَثْرَةِ إِطْعَامِهَا الْمَسَاكِينَ
অর্থ : উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল খমিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনিই হচ্ছেন ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম। ’ সুবহানাল্লাহ! তিনি গরীব-মিসকীন, নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদেরকে অধিক পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন যে কারণে উনাকে ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ বলে সম্বোধন মুবারক করা হতো। সুবহানাল্লাহ! (আল মু‘জামুল কাবীর ১৭/৩০৬)
উম্মুল মাসাকীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক থেকেই উপলদ্ধি করা যায় তিনি কতো বেমেছাল দানশীলতা মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
-হাফিজ মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












