মহিলাদের কতিপয় সুন্নতি পোশাক ও ব্যবহৃত সামগ্রীর বর্ণনা (১)
, ১০ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যে আমার উম্মতের ফিৎনা-ফাসাদের যুগে একটি মাত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরবে অর্থাৎ পালন করবে সে একশত শহীদের ছওয়াব পাবে।” (মিশকাত শরীফ)
উম্মতের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ ও অনুকরণ করা তথা পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী চলা।
আলোচ্য প্রবন্ধে মহিলাদের ব্যবহৃত সুন্নতি পোশাক ও ব্যবহৃত সামগ্রীর কতিপয় বর্ণনা উল্লেখ করা হলো-
সেলোয়ার, কামীছ, ওড়না:
মেয়েদের জন্য সেলোয়ার, কামীছ, ওড়না পরিধান করা খাছ সুন্নত। সেলোয়ার হচ্ছে- কল্লিদার, যা নীচের দিকে পাজামার মত ঢোলা নয় বরং বর্ডারযুক্ত চিপা, যা চোস্তও নয়।
কামীছ হচ্ছে- পুরুষের কোর্তারই অনুরূপ। অর্থাৎ গুটলীযুক্ত কল্লিদার, নিছফুস্ সাক, গোল বা কোনাবন্দ সুতি কাপড়ের তৈরী। তবে পার্থক্য হচ্ছে- পুরুষের গুটলী থাকবে সামনের দিকে আর মেয়েদের গুটলী থাকবে কাঁধের উপরে তবে প্রয়োজনে সামনে বা পিছনেও থাকতে পারে এবং কামীছ পূর্ণ হাতা বিশিষ্ট নিছফুস্ সাক হবে। ওড়না হচ্ছে- চাদর জাতীয়, যার মাপ হচ্ছে- দু’হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও চার হাত। (মিরকাত শরীফ, সীরাতে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম)
উল্লেখ্য, মহিলাদের সেলোয়ার, কামীছ ও ওড়না ইত্যাদি ঘরে পরতে হবে কিন্তু ঘর থেকে বের হতে হলে এর উপর অবশ্যই বোরকা পড়তে হবে নচেৎ পর্দা রক্ষা হবেনা।
বোরকার বর্ণনা:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে। আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ঘরের বাইরে বের হয়োনা।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩৩)
মহিলাদের প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া জায়িয নেই। যদি বের হতেই হয় তাহলে বোরকা পরে খাছ পর্দার সাথে বের হতে হবে। বোরকা কালো রংয়ের হওয়া এবং ঢোলা হওয়া উত্তম। একমাত্র কালো ও ঢোলা বোরকাতেই খাছভাবে ছতর, সৌন্দর্য ও শরীরের বর্ণনা ঢেকে রাখা সম্ভব।
চাদর:
মেয়েদের জন্য চাদর ব্যবহার করা খাছ সুন্নত। চাদরের মাপ হচ্ছে- ছোট চাদর: যার দৈর্ঘ্য চার হাত, প্রস্থ আড়াই হাত। বড় চাদর: দৈর্ঘ্য ছয় হাত এবং প্রস্থ সাড়ে তিন হাত। (ছিফরুস্ সায়াদাত, জামউল ওসায়েল) (চলবে)
-উম্মু মুযযাম্মিল
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












