মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
সম্মানিত শরীয়ত উনার খাছ ফতওয়া মতে, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া কুফরী
প্রকাশ থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার খিলাফত মুবারক কালে মহিলাদেরকে জামায়াতে নামায পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন ও সত্যায়িত করেন। এর দ্বারা এটা প্রতিভাত যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিষেধকৃত বিষয়কে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সমর্থন ও সত্যায়নকৃত বিষয়কে যারা মানবে না তারা ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা মুনাফিক ও মুরতাদ হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা ফতওয়া হচ্ছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মতের খিলাফ বা বিরোধিতা করা এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হুকুমের বিরোধিতা করা কুফরী।
আর আম বা সাধারণ ফতওয়া মতে, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। নিম্নে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী হওয়ার কতিপয় দলীল পেশ করা হলো:
اور مکروہ ھے حاضر ھونا عورتون کا جماعت مین اگرچہ حاضر ھونا جمعہ مین اور عید مین- یعنی اگرچہ برھی عورت ھو یاجوان بسبب خرابی زمانہ- اسلئے متأخرین نے فتوی دیا کہ عور تون کا نکلنا جمععتون مین مكروہ ھے-
অর্থ: মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমুয়া ও ঈদের নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী, যদিও প্রাপ্তা বয়স্কা ও বৃদ্ধা হোক সময়ের পরিবর্তনের কারণে। তাই ওলামায়ে মুতাআখখীরীনগণ ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী। (গায়াতুল আওতার ১ম খ- পৃষ্ঠা ২৬৩, দুররুল মুখতার ১ম খ- পৃষ্ঠা ৩৮৩, তাহ্তাবী, শামী, রদ্দুল মুহতার ১ম খ- পৃষ্ঠা ৫২৯, শরহে তানবীর)
ويكره لهن حضور الجماعة يعنى الشواب منهن ولا باس للعجوز- والفتاوى اليوم على كراهة حضورهن فى الصلوات كلها-
অর্থ: “যুবতী মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী, বৃদ্ধাদের কোন নিষেধ নেই। কিন্তু বর্তমানে পরবর্তী আলেমদের ফতওয়া মোতাবেক যুবতী ও বৃদ্ধা উভয়ের জন্য যে কোন নামাযে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী। ” (আইনী শরহে হিদায়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ৭৩৯, হিদায়া মায়াদ্ দিরায়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ১২৬, মাবসূত লিস্সারাখসী ২য় খ- পৃষ্ঠা ৪১, ফতহুল কাদীর ১ম খ- পৃষ্ঠা ৩১৭, আলমগীরী, নিহায়া, ইনায়া, কিফাইয়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ৩১৭, নূরুল হেদায়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ১০১)
و یکرہ لھن حضور الجماعۃ- یعنی مکروہ ھے عوز تون کو حاضر ھونا جماعتون مین- جوان عورتین ھو- اور متاخرین مشائخ کا فتوی عجائز کو بھی جملہء اوقات مین منع پرھے- نہ اوقات روزانہ اور نہ عبتد اگاہ مین-
অর্থ: প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী এবং মুতাআখ্খেরীনদের মত হলো বৃদ্ধাদেরও যে কোন সময় যে কোন নামাযে উপস্থিত হওয়া নিষেধ। (আইনুল হিদায়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ৪৫৮, কাফী, তাব্য়ীন, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ১৩২) (চলবে)
-আল্লামা সাইয়্যিদ আবূ সাফওয়ান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












