মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম; জায়েয বলা কুফরী (২৬)
, ১৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল:
(১৮)
পর-নারীর সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টিকারী জাহান্নামী :
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَظَرَ إلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَجْنَبِيَّةٍ عَنْ شَهْوَةٍ صُبَّ فِي عَيْنَيْهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
অর্থ: মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পর-নারীর সৌন্দর্যের প্রতি কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় দৃষ্টি করলো, কিয়ামতের দিন তার দু’চোখে গলিত সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (বাহরুর রায়িক-৮/২১৮, নাছবুর রা-ইয়াতি লিয-যাইলায়ী-৪/২৪০, ফাতহুল ক্বদীর- ১০/২৫, দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহকাম-১/৩১৪, আল-বিনায়াতু শারহুল হিদায়া-১২/১৩১, মিনহাতুস সুলূক ফী শারহি তুহফাতিল মুলূক- পৃ:৪০৯, আত-তাম্বীহু আলা মুশকিলাতিল হিদায়া-৫/৭৮২, আল-জাওহারাতুন্নাইয়্যাহ- ২/২৮৪, তাবয়ীনুল হাকায়িক- ৬/১৭, মাজমাউল আনহার- ২/৫৪০, আল-মাবসূত লিস-সারাখসী- ১০/১৫৩, আল-লুবাব ফী শারহিল কিতাব-৪/১৬২)
উল্লেখ্য যে, মহিলাদের মুখ হলো যীনাত বা সৌন্দর্য প্রকাশের মূলকেন্দ্র। কেননা, কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য সুন্দর হওয়া বা না হওয়া, তা তার চেহারা প্রকাশের মাধ্যমেই পছন্দ বা অপছন্দ করা হয়। সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি করার অর্থই হলো মুখ খোলা রেখে বের হওয়া। সুতরাং যা খোলা রেখে বের হলে হারাম কাজ সংঘটিত হয়, তা ঢেকে রাখা অবশ্যই ফরয এবং খোলা রেখে বের হওয়া স্পষ্ট হারাম।
(১৭)
সুগন্ধি মেখে বাহিরে যাতায়াত যিনার অন্তর্ভুক্ত :
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْه عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا رِيحَهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ-
অর্থ: হযরত আবূ মূসা আল-আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে মহিলা সুগন্ধি মেখে কোন সম্প্রদায়ের পাশদিয়ে অতিক্রম করে, সে একজন ব্যভিচারিণী মহিলা। (আবূ দাউদ শরীফ )
একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, শুধুমাত্র সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলা বাহিরে বের হলে যদি ব্যভিচারিণী হয় তাহলে, সুগন্ধির চেয়ে ভয়াবহ ফেৎনা যার দ্বারা সংঘটিত হয়, তাহলো: চেহারা খোলা রেখে বের হওয়া। তাই, নি:সন্দেহে বলা চলে- যে সমস্ত মহিলারা ব্যভিচারের মতো নিকৃষ্ট ফেৎনার মূলকেন্দ্র মুখ, হাত খোলা রেখে বের হয়, তারা শুধু ব্যভিচারিণী নয় বরং ব্যভিচারের মতো অশ্লিলতা ও বেহায়াপনা বিস্তারকারিনী। তারাই দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফেৎনা সৃষ্টিকারিনী। সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদের মাঝে তারাই চরিত্র হরণের মতো নিকৃষ্ট কাজের সয়লাব ঘটায়।
-মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












