মন্তব্য কলাম
মানবতা বা মনুষ্যত্ব শব্দ উচ্চারণের অধিকার বিশ্ববাসীর আর নাই গাজার শিশুদের আর্তনাদ, গাজার মায়ের আহাজারি যে বিশ্ব শুনতে পায় না- “সে বিশ্ব বধির”। গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস চরম নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমার আক্রমণ যে বিশ্ব দেখতে পায় না- “সে বিশ্ব মহা অন্ধ”।
, ১৩ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ, ইতিহাসের নিকৃষ্ট গণহত্যা মানবতার হত্যার পরও-
বিশেষ করে ফুলের মত প্রস্ফুটিত নিস্পাপ শিশুদের পৈশাচিকভাবে শহীদ করার পরও যে বিশ্ব নিশ্চুপ থাকে সে বিশ্ব মহা বোবা শয়তান। (নাউযুবিল্লাহ)
(প্রথম পর্ব)
(ক)
ফিদা সাত সন্তানের ফিলিস্তিনি মা, পরিবারকে বাঁচাতে আপ্রাণ লড়াই করছেন এবং গাজার মানুষে পাশে আছেন।
ফিদার জন্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে, এই সংকটের প্রভাব তার সন্তানদের উপর পড়ছে। তিনি বলেছেন, 'সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদের সুস্থ রাখা। প্রচ- ঠান্ডা ও বৃষ্টি তাদের রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে'।
গাজায় তীব্র শীত আসার সাথে সাথে অসংখ্য পরিবার বেঁচে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। মিডল ইস্ট মনিটরের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, এই পরিবারগুলোর মধ্যে একটি ফিদা সোবাহ-এর পরিবার যিনি ৩৯ বছর বয়সী মা এবং যার সাত সন্তান রয়েছে। তিনি যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে থাকেন। ফিদা, মূলত আল-জাহরা এলাকা থেকে এসেছেন, গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর মধ্যে তিনিও অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জ ও নানা প্রতিকূল প্রাকৃতিক সংকট মোকাবেলা করছেন। তিনি যে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকেন সেখানে ভারী বৃষ্টি এবং হিমশীতল আবহাওয়া জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
ফিদা বলেন, "আমাদের তাঁবুটি খুবই পাতলা কাপড়ের তৈরি। আমরা যতই পোশাক পরি না কেন কিংবা গায়ে কম্বল রাখি না কেন, ঠা-া বাতাস ও বৃষ্টি তাঁবুতে প্রবেশ করে এবং আমাদের বিছানা ও কাপড় চোপড় ভিজিয়ে ফেলে। রান্না করাও কঠিন এবং খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। শিশুরা পড়াশোনা করার চেষ্টা করে, কিন্তু আলো এবং তাপের অভাব তাও প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। ঠা-া আবহাওয়া তাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। তাদেরকে ঠা-া থেকে বাঁচাতে এবং নিরাপদ রাখার জন্য প্রতিদিন আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। "
নিজের এতো সমস্যা সত্ত্বেও, ফিদা শুধুমাত্র তার পরিবারের বেঁচে থাকার দিকে মনোনিবেশ করেননি। তিনি অন্যান্য লোকেদের সাহায্য এবং ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্যও একজন প্যারামেডিক হিসাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যারা কিনা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে তার এই পরিশ্রম, অবদান ও জনকল্যাণমূলক কাজ তাকে প্রতিরোধের প্রতীক করে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি মা ফিদা হলেন ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন, লাখ লাখ বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে একজন যিনি তাঁবুতে বাস করছেন এবং যেখানে প্লাস্টিকের সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নেই। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঠা-া, বৃষ্টি ও বন্যার পানি থেকে সামান্যই সুরক্ষা দেয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় অসহায় পরিবারগুলো ভয়ানক অবস্থায় দিন যাবন করতে বাধ্য হচ্ছে।
(খ)
ছোটবেলা থেকেই ‘মনুষ্যত্ব’ তথা মানবতায় বিশ্ববাসীর শব্দটির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পাঠ্যবইতেও এই শব্দটি নিয়ে এতো আলোচনা ছিল যে, মনুষ্যত্ব বা মানবতা শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার কথা উচ্চারিত হয়।
অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে গাজার শিশুদের আর্তনাদ। তাদের কান্না ও দুর্দশার শত শত খবর পরিবেশনেই মনকেও বিষণœ করে ফেলে।
তাই বিশ্ব মানবতার বুলি কপচানোর প্রতি যারা নিজের ভেতর মনুষ্যত্ব আছে বলে দাবি করে বা মানবিকতার চর্চা করে বলে জানান দেয় তাদের কাছে কি এই শিশুদের আর্তনাদ পৌঁছায় না?
পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ কি গাজার শিশুদের রক্ষা করতে পারে না?
দেশে বিদেশে প্রতিদিন কত সভা সেমিনার হয় মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে। দেশে দেশে কত ধরনের দিবস পালিত হয়। এসবের কোনো কিছুই কি এই শিশুদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়?
যারা বলে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে বলি গাজার শিশুরা কি আগামী দিনের কেউ না?
(গ)
কুখ্যাত নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারার ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা এবং অফিস ম্যানেজার জিপি নাভোন সম্প্রতি ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর কাছে একটি আর্জি জানিয়েছে। সে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের হত্যা না করে বাঁচিয়ে রেখে বাড়ি বাড়ি ঢুকে অত্যাচার করা হোক। কিন্তু আটক ফিলিস্তিনিদের জিভ যেন না কেটে ফেলা হয়। কারণ ইজরায়েলিরা তাদের আর্তনাদ উপভোগ করতে চায়। আটক আরবদের কান এবং চোখ যেন আস্ত রাখা হয়, যাতে তারা দেখতে এবং শুনতে পারেন ইজরায়েলিদের উল্লাস।
খুব ভুল কিছু বলেনি নাভোন। এর আগেও ইজরায়েলের এমন বিকৃত উল্লাসের দৃশ্য গোটা পৃথিবী দেখেছে। ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র জনতার উপর যখন বোমা পড়ছে, রকেট বৃষ্টি হচ্ছে, ঝলসে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুর দল, সেই অপরূপ মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য তখন উঁচু পার্বত্য এলাকায় ইজরায়েলিদের ভিড়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং পানীয় নিয়ে তারা ‘উপভোগ’ করছেন মারণ উৎসব - ২০১৪ সালের এই ছবি কোনো বিচ্ছিন্ন দৃশ্য নয়। জায়নবাদী ইজরায়েল রাষ্ট্র এভাবেই দশকের পর দশক উদযাপন করে আসছে লাগাতার গণহত্যা। তাই দখলদার ইজরায়েলি রাষ্ট্র স্পষ্টতই বলতে পারে, ফিলিস্তিনিরা মানুষ নয়, নরপশু।
(ঘ)
ফিলিস্তিন সলিডারিটি নেটওয়ার্কের বেন জামাল। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইন্তিফাদায় হারিয়েছেন বেন। এখন চেষ্টা করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে। বেন বলছিলেন, গাজার শিশুরা কালি দিয়ে হাতে নিজের নাম লিখে রাখছে, যাতে মৃত্যুর পর বেওয়ারিশ লাশ হয়ে যেতে না হয়।
প্রতিদিন শয়ে শয়ে বোমা পড়ছে সর্বত্র। হাসপাতাল, উদ্বাস্তু শিবির, বসতি এলাকা - সর্বত্র। উত্তর গাজার ১১ লক্ষ বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। প্রাণভয়ে দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই পলাতক নিরস্ত্র বেসামরিক জনতার উপরেও বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। তাতে ১২ জন শিশুসহ ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেইর এল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণ গাজা থেকে পালিয়ে আসা একদল মানুষ। সেই বাড়িটি বোমায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই। কার্যত নরককু-ে পরিণত হওয়া গাজায় ফুরিয়ে আসছে পানি।
(ঙ)
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডবলিউয়ের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারানি বলেছে, মানুষজন বাধ্য হয়ে তেষ্টা মেটাতে নোংরা নর্দমার পানি খাচ্ছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বোমায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন, চিকিৎসা পাচ্ছেন না। গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির যে কটি কারখানা আছে, তার সবকটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই বীভৎস অত্যাচারের ফিরিস্তি শেষ হওয়ার নয়। হাসপাতালগুলির মর্গে লাশ রাখার জায়গা নেই। বিভিন্ন কারখানা থেকে খাবার এবং আইসক্রিমের ফ্রিজার আনা হয়েছে। তাতে ঠাসাঠাসি করে ব্যাগে ভরে মৃতদেহ রাখা হচ্ছে।
(চ)
গোটা পৃথিবীর চোখের সামনে, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমী মিত্রদের প্রত্যক্ষ মদদে এই বীভৎসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসকে ধ্বংস করার নামে আসলে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে চাইছে। গাজা নামক একটি উন্মুক্ত কারাগারের অদৃশ্য ফটক শক্ত করে আটকে চলছে নির্বিচার গণহত্যা।
এটা কোনো যুদ্ধ নয়, কোনো আক্রমণ নয়। প্রতিরোধ নয়। নির্বিচার সুপরিকল্পিত গণহত্যা। জাতিপুঞ্জের যে স্কুলগুলোয় বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা, সেগুলোর উপরেও বোমাবর্ষণ চলছে।
(ছ)
আহত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছোটা অ্যাম্বুলেন্সে বোমাবর্ষণ চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে হোয়াইট ফসফরাস, যাতে ফিলিস্তিনিদের হাড় পর্যন্ত পুড়ে যায়।
ইজরায়েল যে বীভৎস হত্যালীলা চালাচ্ছে, তা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
(জ)
অথচ সমগ্র পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম গোটা পৃথিবীর সামনে ইজরায়েলকেই আক্রান্ত এবং ফিলিস্তিনিদের আক্রমণকারী হিসাবে তুলে ধরতে সচেষ্ট। আরবদের সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেখানোর সুপরিকল্পিত চেষ্টা চলছে।
(ঝ)
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তাতে শামিল। এর আড়ালে আপাতত গাজার বুকে ঘটে চলেছে মানব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।
আমরা কজন হান্নান শাহীনের নাম শুনেছি? ছয় বছর বয়সী হান্নান আমেরিকার ইলিয়নে থাকত। সে ফিলিস্তিনি মুসলমান।
সম্প্রতি তাকে কুপিয়ে শহীদ করেছে একজন শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান আমেরিকান। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ফিলিস্তিনের পতাকা তোলার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে। তথাকথিত উদার গণতান্ত্রিক পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি ফিলিস্তিনের সমর্থনে কর্মসূচিতে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারের নামে আমরা কী খাচ্ছি? ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (চতুর্থ পর্ব)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: সেবা পেতে ঘুষকে স্বাভাবিক মনে করছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। বছরে ঘুষ গ্রহণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ঘুষই সমাজে সব অভাব থেকে অনিয়মের মূল কারণ। ঘুষ নির্মূলীকরণে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)