মন্তব্য কলাম
মানবতা বা মনুষ্যত্ব শব্দ উচ্চারণের অধিকার বিশ্ববাসীর আর নাই গাজার শিশুদের আর্তনাদ, গাজার মায়ের আহাজারি যে বিশ্ব শুনতে পায় না- “সে বিশ্ব বধির”। গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস চরম নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমার আক্রমণ যে বিশ্ব দেখতে পায় না- “সে বিশ্ব মহা অন্ধ”।
, ১৩ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ, ইতিহাসের নিকৃষ্ট গণহত্যা মানবতার হত্যার পরও-
বিশেষ করে ফুলের মত প্রস্ফুটিত নিস্পাপ শিশুদের পৈশাচিকভাবে শহীদ করার পরও যে বিশ্ব নিশ্চুপ থাকে সে বিশ্ব মহা বোবা শয়তান। (নাউযুবিল্লাহ)
(প্রথম পর্ব)
(ক)
ফিদা সাত সন্তানের ফিলিস্তিনি মা, পরিবারকে বাঁচাতে আপ্রাণ লড়াই করছেন এবং গাজার মানুষে পাশে আছেন।
ফিদার জন্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে, এই সংকটের প্রভাব তার সন্তানদের উপর পড়ছে। তিনি বলেছেন, 'সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদের সুস্থ রাখা। প্রচ- ঠান্ডা ও বৃষ্টি তাদের রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে'।
গাজায় তীব্র শীত আসার সাথে সাথে অসংখ্য পরিবার বেঁচে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। মিডল ইস্ট মনিটরের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, এই পরিবারগুলোর মধ্যে একটি ফিদা সোবাহ-এর পরিবার যিনি ৩৯ বছর বয়সী মা এবং যার সাত সন্তান রয়েছে। তিনি যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে থাকেন। ফিদা, মূলত আল-জাহরা এলাকা থেকে এসেছেন, গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর মধ্যে তিনিও অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জ ও নানা প্রতিকূল প্রাকৃতিক সংকট মোকাবেলা করছেন। তিনি যে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকেন সেখানে ভারী বৃষ্টি এবং হিমশীতল আবহাওয়া জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
ফিদা বলেন, "আমাদের তাঁবুটি খুবই পাতলা কাপড়ের তৈরি। আমরা যতই পোশাক পরি না কেন কিংবা গায়ে কম্বল রাখি না কেন, ঠা-া বাতাস ও বৃষ্টি তাঁবুতে প্রবেশ করে এবং আমাদের বিছানা ও কাপড় চোপড় ভিজিয়ে ফেলে। রান্না করাও কঠিন এবং খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। শিশুরা পড়াশোনা করার চেষ্টা করে, কিন্তু আলো এবং তাপের অভাব তাও প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। ঠা-া আবহাওয়া তাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। তাদেরকে ঠা-া থেকে বাঁচাতে এবং নিরাপদ রাখার জন্য প্রতিদিন আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। "
নিজের এতো সমস্যা সত্ত্বেও, ফিদা শুধুমাত্র তার পরিবারের বেঁচে থাকার দিকে মনোনিবেশ করেননি। তিনি অন্যান্য লোকেদের সাহায্য এবং ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্যও একজন প্যারামেডিক হিসাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যারা কিনা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে তার এই পরিশ্রম, অবদান ও জনকল্যাণমূলক কাজ তাকে প্রতিরোধের প্রতীক করে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি মা ফিদা হলেন ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন, লাখ লাখ বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে একজন যিনি তাঁবুতে বাস করছেন এবং যেখানে প্লাস্টিকের সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নেই। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঠা-া, বৃষ্টি ও বন্যার পানি থেকে সামান্যই সুরক্ষা দেয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় অসহায় পরিবারগুলো ভয়ানক অবস্থায় দিন যাবন করতে বাধ্য হচ্ছে।
(খ)
ছোটবেলা থেকেই ‘মনুষ্যত্ব’ তথা মানবতায় বিশ্ববাসীর শব্দটির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পাঠ্যবইতেও এই শব্দটি নিয়ে এতো আলোচনা ছিল যে, মনুষ্যত্ব বা মানবতা শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার কথা উচ্চারিত হয়।
অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে গাজার শিশুদের আর্তনাদ। তাদের কান্না ও দুর্দশার শত শত খবর পরিবেশনেই মনকেও বিষণœ করে ফেলে।
তাই বিশ্ব মানবতার বুলি কপচানোর প্রতি যারা নিজের ভেতর মনুষ্যত্ব আছে বলে দাবি করে বা মানবিকতার চর্চা করে বলে জানান দেয় তাদের কাছে কি এই শিশুদের আর্তনাদ পৌঁছায় না?
পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ কি গাজার শিশুদের রক্ষা করতে পারে না?
দেশে বিদেশে প্রতিদিন কত সভা সেমিনার হয় মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে। দেশে দেশে কত ধরনের দিবস পালিত হয়। এসবের কোনো কিছুই কি এই শিশুদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়?
যারা বলে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে বলি গাজার শিশুরা কি আগামী দিনের কেউ না?
(গ)
কুখ্যাত নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারার ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা এবং অফিস ম্যানেজার জিপি নাভোন সম্প্রতি ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর কাছে একটি আর্জি জানিয়েছে। সে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের হত্যা না করে বাঁচিয়ে রেখে বাড়ি বাড়ি ঢুকে অত্যাচার করা হোক। কিন্তু আটক ফিলিস্তিনিদের জিভ যেন না কেটে ফেলা হয়। কারণ ইজরায়েলিরা তাদের আর্তনাদ উপভোগ করতে চায়। আটক আরবদের কান এবং চোখ যেন আস্ত রাখা হয়, যাতে তারা দেখতে এবং শুনতে পারেন ইজরায়েলিদের উল্লাস।
খুব ভুল কিছু বলেনি নাভোন। এর আগেও ইজরায়েলের এমন বিকৃত উল্লাসের দৃশ্য গোটা পৃথিবী দেখেছে। ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র জনতার উপর যখন বোমা পড়ছে, রকেট বৃষ্টি হচ্ছে, ঝলসে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুর দল, সেই অপরূপ মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য তখন উঁচু পার্বত্য এলাকায় ইজরায়েলিদের ভিড়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং পানীয় নিয়ে তারা ‘উপভোগ’ করছেন মারণ উৎসব - ২০১৪ সালের এই ছবি কোনো বিচ্ছিন্ন দৃশ্য নয়। জায়নবাদী ইজরায়েল রাষ্ট্র এভাবেই দশকের পর দশক উদযাপন করে আসছে লাগাতার গণহত্যা। তাই দখলদার ইজরায়েলি রাষ্ট্র স্পষ্টতই বলতে পারে, ফিলিস্তিনিরা মানুষ নয়, নরপশু।
(ঘ)
ফিলিস্তিন সলিডারিটি নেটওয়ার্কের বেন জামাল। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইন্তিফাদায় হারিয়েছেন বেন। এখন চেষ্টা করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে। বেন বলছিলেন, গাজার শিশুরা কালি দিয়ে হাতে নিজের নাম লিখে রাখছে, যাতে মৃত্যুর পর বেওয়ারিশ লাশ হয়ে যেতে না হয়।
প্রতিদিন শয়ে শয়ে বোমা পড়ছে সর্বত্র। হাসপাতাল, উদ্বাস্তু শিবির, বসতি এলাকা - সর্বত্র। উত্তর গাজার ১১ লক্ষ বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। প্রাণভয়ে দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই পলাতক নিরস্ত্র বেসামরিক জনতার উপরেও বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। তাতে ১২ জন শিশুসহ ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেইর এল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণ গাজা থেকে পালিয়ে আসা একদল মানুষ। সেই বাড়িটি বোমায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই। কার্যত নরককু-ে পরিণত হওয়া গাজায় ফুরিয়ে আসছে পানি।
(ঙ)
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডবলিউয়ের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারানি বলেছে, মানুষজন বাধ্য হয়ে তেষ্টা মেটাতে নোংরা নর্দমার পানি খাচ্ছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বোমায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন, চিকিৎসা পাচ্ছেন না। গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির যে কটি কারখানা আছে, তার সবকটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই বীভৎস অত্যাচারের ফিরিস্তি শেষ হওয়ার নয়। হাসপাতালগুলির মর্গে লাশ রাখার জায়গা নেই। বিভিন্ন কারখানা থেকে খাবার এবং আইসক্রিমের ফ্রিজার আনা হয়েছে। তাতে ঠাসাঠাসি করে ব্যাগে ভরে মৃতদেহ রাখা হচ্ছে।
(চ)
গোটা পৃথিবীর চোখের সামনে, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমী মিত্রদের প্রত্যক্ষ মদদে এই বীভৎসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসকে ধ্বংস করার নামে আসলে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে চাইছে। গাজা নামক একটি উন্মুক্ত কারাগারের অদৃশ্য ফটক শক্ত করে আটকে চলছে নির্বিচার গণহত্যা।
এটা কোনো যুদ্ধ নয়, কোনো আক্রমণ নয়। প্রতিরোধ নয়। নির্বিচার সুপরিকল্পিত গণহত্যা। জাতিপুঞ্জের যে স্কুলগুলোয় বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা, সেগুলোর উপরেও বোমাবর্ষণ চলছে।
(ছ)
আহত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছোটা অ্যাম্বুলেন্সে বোমাবর্ষণ চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে হোয়াইট ফসফরাস, যাতে ফিলিস্তিনিদের হাড় পর্যন্ত পুড়ে যায়।
ইজরায়েল যে বীভৎস হত্যালীলা চালাচ্ছে, তা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
(জ)
অথচ সমগ্র পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম গোটা পৃথিবীর সামনে ইজরায়েলকেই আক্রান্ত এবং ফিলিস্তিনিদের আক্রমণকারী হিসাবে তুলে ধরতে সচেষ্ট। আরবদের সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেখানোর সুপরিকল্পিত চেষ্টা চলছে।
(ঝ)
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তাতে শামিল। এর আড়ালে আপাতত গাজার বুকে ঘটে চলেছে মানব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।
আমরা কজন হান্নান শাহীনের নাম শুনেছি? ছয় বছর বয়সী হান্নান আমেরিকার ইলিয়নে থাকত। সে ফিলিস্তিনি মুসলমান।
সম্প্রতি তাকে কুপিয়ে শহীদ করেছে একজন শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান আমেরিকান। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ফিলিস্তিনের পতাকা তোলার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে। তথাকথিত উদার গণতান্ত্রিক পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি ফিলিস্তিনের সমর্থনে কর্মসূচিতে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












