মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী থেকে ব্যবসায়ীরাও সক্রিয়। বাংলাদেশের মানবাধিকারের জন্য আশ্চর্যজনক সরব আমেরিকা ফিলিস্তিনীদের মানবাধিকার ক্ষেত্রে রহস্যজনক নীরব কেন?
মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দ্বৈতনীতির কারণে মার্কিনী তথা পশ্চিমাদের শুধু মুনাফিক আখ্যা দিলেই হবে না; কথিত আন্তর্জাতিক আদালতেও এদের শক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে ইনশাআল্লাহ। (১)
, ০১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমাদের তীব্র সমালোচনা করে আব্বাস বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর মস্কোকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধ উপেক্ষা করছে পশ্চিমারা, যা দ্বিমুখী আচরণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সে বলে, ইউরোপের বর্তমান ঘটনা নির্লজ্জ দ্বিমুখিতাকে সামনে এনেছে। সে বলে, ইসরাইলি দখলদারদের জাতিগত নিধন এবং বৈষম্য সত্ত্বেও আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি যারা দেশটিকে জাবাবদিহিতার আওতায় আনবে?
ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রাণ গেছে শিশু-নারীদের। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নিশ্চুপ ওয়াশিংটন। তবে ইসরায়েলকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মানবাধিকারের কথা না বললেও যুদ্ধে জয়ী হতে সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে দেশটিকে সহায়তা দেয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫৩টি অঞ্চলে সংঘটিত ২৪৮টি সশস্ত্র সংঘাত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১টি মার্কিন সমর্থিত ছিল, যা মোট সংখ্যার ৮১ শতাংশ। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র ‘বৈধ পদ্ধতির’ মাধ্যমে চালিয়েছিল, যা তারা নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে এর বেশিরভাগই ছিল মানবাধিকারের নামে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে শুরু করা অবৈধ যুদ্ধ। ২০০৪ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ইরাক যুদ্ধ নিয়ে অনেক সংশয় প্রকাশ করেছেন। সে বলেছে, এটি জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ নয়। নিরাপত্তা পরিষদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধে যাওয়ার পদক্ষেপের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কফি আনান।
ফিলিস্তিনের জনগণের দীর্ঘকাল ধরে দমন নিপীড়নের শিকার হওয়ার বিষয়টি মানবাধিকার নিয়ে যারা ন্যূনতম ওয়াকিবহাল তারাও অকপটে স্বীকার করবে। ১৯২০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে। ইউরোপে ইহুদি নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ঙ্কর ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে তারা নতুন এক মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখছিল। আর সেই স্বপ্ন ফিলিস্তিনের ভূখ- দখলের মধ্য দিয়ে বাস্তবে রূপ নেয়। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করে দুটি আলাদা ইহুদি ও আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। জেরুজালেমকে করা হয় আন্তর্জাতিক নগরী। ইহুদি নেতারা এ প্রস্তাব মেনে নিলেও, আরব নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করায় সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে, ব্রিটিশরা সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ছাড়লে ইহুদি নেতারা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলে শুরু হয় যুদ্ধ। যেখানে যোগ দেয় প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সৈন্যরাও। প্রাণ বাঁচাতে যখন ফিলিস্তিনিরা ঘরবাড়ি ছাড়ছে, সেই সুযোগে তাদের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি, গাজা ও মিশরের সিনাই অঞ্চল দখল করে নেয়। আর ফিলিস্তিনিরা শরণার্থী হয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে বসবাস শুরু করে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি ইসরায়েল। নিজেদের আগ্রাসন টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরেই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালিয়ে যাচ্ছে নির্যাতন। ইহুদি রাষ্ট্র গড়তে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। সেই ইসরায়েলকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ মিত্র আখ্যা দিয়ে বারবার আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে গোটা নিজেদেরকে মানবাধিকারের ঝান্ডা-উত্তোলক হিসেবে দাবিকারী মহাপরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বরাবরের মতো এবারো নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে গিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ন্যাটো জোট। প্রায়ই শান্তি আলোচনার নাটক মঞ্চস্থ করলেও কখনই সফলতা আসেনি কারণ সর্বদা তারা ইসরায়েলের পক্ষে থেকেছে। তাদের অর্থ, অস্ত্র ও সর্বাত্মক সহায়তায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর দশকের পর দশক ধরে নিপীড়ন চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। এবারের সংঘাতেও তারা ইহুদিদের পক্ষ নিল। মানবাধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তোলা দেশগুলোর আগ্রাসী মনোভাব, দ্বিচারিতা আর স্বার্থপরতার আরেকটি নজির হয়ে থাকবে এই সমর্থন। পশ্চিমা নেতাদের এসব দ্বিমুখী আচরণ প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন সাধারণ নেটিজেনরা। আগেকার সময়ে নিজেদের সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চুপ থাকলেও পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ জনগণ এসব নিয়ে এখন সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। সিংহভাগ আন্তর্জাতিক নেতাই ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রশংসা করেন, আর সমালোচনা করেন রাশিয়ার আক্রমণের। কিন্তু অনেকেই বলেন, পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বের ব্যাপারেও একই কথা খাটছে না। অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বলেন, নিজ দেশ রক্ষার জন্য লড়াইরত ইউক্রেনীয়দের সমর্থন দিচ্ছে পশ্চিমা কূটনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যম, কিন্তু ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের তারা আখ্যা দিয়েছে ‘সন্ত্রাসী’।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব মানবাধিকারের ওপর পশ্চিমের ‘দ্বিমুখী নীতি’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি। এ প্রতিবেদনে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা বিভিন্ন দ্বিমুখী নীতি নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ কার্টুনও স্থান পায়। এরূপ অবস্থার সঙ্গে আমাদের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠনের তুলনা করা যায়। যেখানে পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার সেখানে আমাদের তথাকথিত মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর কোনরকম উচ্চবাচ্যও আমরা পরিলক্ষণ করি না। তাহলে কি তাদের কর্মসূচি শুধুই পশ্চিমাতোষণ আর অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে যে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বৈতনীতি ধারণ করছে, যেটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য না। সেখানে আমাদের মানবাধিকার কর্মীরাও নিশ্চুপ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবর দাবি করছে, ইসরায়েল শুধু তাদের জনগণ এবং তাদের রাষ্ট্রের সীমানা রক্ষা করতে চায়। য্ক্তুরাষ্ট্র এ কথা বলে মূলত ইসরায়েলের সব অবৈধ তৎপরতাকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। আবার অপরদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখছে। ইসরায়েল ক্রমাগতভাবে নিয়মিত আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক যেসব চুক্তি হয়েছে সেসব চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ইসরায়েল কোনো কাজই করছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে এসব চুক্তি লঙ্ঘন করা হলে বলা হয়েছে, কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। এবং ধাপে ধাপে অ্যাকশন নিতেও বলা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রতিবাদ নিন্দা কিংবা কোনো অ্যাকশনই নিচ্ছে না। সেই সঙ্গে সুর মিলাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য নেতারাও।
পশ্চিমা দেশের সরকার থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায়ই দ্বিচারিতার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তাদের এসব আচরণ নগ্নভাবে সামনে আসতে থাকে। রুশ অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে বিখ্যাত পশ্চিমা কোম্পানিগুলো। তবে এবার ঠিক তার উল্টো চিত্র দেখা গেল ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময়।
গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর কিয়েভকে আর্থিক সহায়তা ও সমর্থন দিতে থাকে এডিডাস, ডিসনি, টয়োটা থেকে শুরু করে ব্যাংক অব আমেরিকার মতো কোম্পানিগুলো। এমনকি ইউক্রেনের সমর্থনে দেশটির পতাকা ব্যবহার করে অ্যাপলের সিইও টিম কুক ও সিটি গ্রুপের সিইও জেন ফ্রেজার। এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি মস্কো থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অথবা পরিধি কমিয়ে এনেছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলি হামলার পর একেবারেই চুপ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের গুরুতর এই সংঘাত নিয়ে বিন্দুমাত্র মন্তব্য করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। উপরন্তু ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গেছে মাইক্রোসফট, গুগল, জেপি মরগ্যান, গোল্ডম্যান শ্যাস ও হিউলেট প্যাকার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইসরায়েলি হামলায় অসংখ্যা ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হওয়ার পরও পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
(চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












