আপনাদের মতামত
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদের ছায়াতলে না থাকলে যা হয় প্রমাণিত হলো মার্চ ফর গাজা পুরোটাই ধোকা আর খ্যাতি মোহ মিডিয়া কভারেজের ব্যবসা
, ২১ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত

ব্রাহ্মণবাদি ঐতিহ্য আর হিন্দুত্ববাদী পোশাক- ‘উত্তরীয়’ পরিধান করায় ওদের অনুষ্ঠান ছিলো- ‘রহমত থেকে পুরোই ফাকা’
রুহানিয়াতবিহীন রিয়াকারী জাহেরী মালানা মুফতিদের দ্বারা মূলত: কখনই ইসলামের কাজ হয় না
বিজাতীয় বিধর্মীদের সাথে মিল রেখে অনুষ্ঠান করে ওরা সাধারণ মুসলমানকে বিধর্মীদের সাথে হাশর নাশর করার উপযুক্ত করে তুলে। নাউযুবিল্লাহ
সোহরাওয়াদী উদ্যানে মার্চ ফর গাজা অনুষ্ঠানের এক সংবাদ দাতা জানিয়েছেন মাইকে বক্তব্যের সময় তথাকথিত এক বক্তার কাঁধে উত্তরীয় না থাকায় আরেকজন সাথে সাথে এসে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন। অর্থাৎ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো মার্চ ফর গাজার মঞ্চে উপবিষ্ট তথাকথিত উলামা নেতৃবৃন্দের কাছে। অথচ এই উত্তরীয় হলো ব্রাহ্মণবাদী ঐতিহ্যের প্রতীক।
বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় মুক্ত বিশ্বকোষ সহ বিভিন্ন রেফারেন্স বুক এবং ভারতীয় পত্র-পত্রিকার খবর থেকে উত্তরীয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নিয়া তুলে ধরা হলো।
* উত্তরীয় হল শরীরে পরিধানের জন্য একটি ঢিলেঢালা পোশাক। একক টুকরো কাপড়টি ঘাড়ের পেছন থেকে পড়ে উভয় হাতের চারপাশে কুঁকড়ে যায়।
* উত্তরীয় শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে।
* উত্তরীয় ছিল বৈদিক যুগে শরীরের উপরের অংশের জন্য একটি পোশাক। [৫] (১৫০০ এবং ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) বৈদিক যুগে পরিধান করা পোশাকের মধ্যে প্রধানত একটি একক কাপড় ছিল যা কাঁধের উপর আবৃত ছিল। লোকেরা উত্তরীয় নামক একটি উপরের পোশাক (শালের মতো আবৃত) দিয়ে বেঁধে রাখত।
* মহাভারত (৪র্থ খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সংকলিত) পোশাক হিসেবে উত্তরীয়র ব্যবহার উল্লেখ করে। এমনকি ইন্দো-আর্য নারী-পুরুষরাও এটি ব্যবহার করত।
* রবীন্দ্র নাচের পোশাকের ক্ষেত্রে তাঁতের শাড়ি, উত্তরীয়, চন্দনের টিপে সাজে নৃত্যশিল্পীরা।
* উত্তরীয় এখনও ভারতীয় উপমহাদেশে পরিধান করা হয়। উত্তরীয় এসেছে উত্তর প্রদেশ থেকে। প্রাচীন ভারতে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ মেয়েরা উপরের অংশও ঢেকে রাখতে পারত। ওদের উপরের এই কাপড়কে বলা হত উত্তরীয়। তারপর সেই উত্তরীয় ব্রাহ্মণত্বের প্রতীক হয়ে এখনও সমাজের তথাকথিত বিশিষ্ট লোকদের গলায় ঝুলে।
বিশেষ করে আমাদের দেশে বাংলা একাডেমী পুরস্কার বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে তথাকথিত সম্মানিত ব্যক্তিদের কাধে বা গলায় ঝুলানো হয়। সেই তথাকথিত সম্মানিত হওয়ার লোভ সংবরণ করতে পারল না মার্চ ফর গাজার তথাকথিত মালানা-মুফতীরা।
মূলত: রুহানিয়াত বিহীন এসব মালানাদের যেমন নেই সহীহ সমঝ তেমন নেই সাধারণ দুনিয়াবী ইলম। জানা নেই ইতিহাস। নেই সুন্নত-বিদাতের ইলম। অন্তরে নেই নূর। নেই তাহক্কীক করার চেতনা। এরা সময়ের স্রোতে চলে। আর অবলীলায় ব্রাহ্মণবাদী হিন্দুত্ববাদী, খ্রীষ্টায়ানী আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে।
অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যে যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে তার হাশর-নাশর তার সাথে হবে’। (নাউযুবিল্লাহ)
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৫)
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরবানী বিষয়ে মুসলমানদের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৪)
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহল্লায় মহল্লায় পূজামন্ডপ হয়, কিন্তু কুরবানীর হাট মহল্লায় মহল্লায় হতে বাধা কেন!!
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (৩)
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কুরবানীর হাট কমপক্ষে ১০ দিন আগ থেকেই বসানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (২)
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নির্বিচারে সবার সাথে ‘বন্ধুত’¡ দেখাতে গেলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নির্বিচারে সবার সাথে ‘বন্ধুত’¡ দেখাতে গেলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতীয় পণ্যসমূহের তালিকা (১)
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রচলিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবর্তন যৌক্তিক দাবি রাখে
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাট আরও বৃদ্ধি করাই হবে বুদ্ধিমানের পরিচয়
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)