গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার পরেও দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে জার্মানি। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ এবং লেবাননে চলমান হামলার পরেও জার্মানি ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।

জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছে, বেয়ারবক জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট করতে চায় যে, জার্মানি দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত। সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বদ দোয়া “ইসরাইলের সহযোগীদের ধ্বংস করে দেয়া হোক” তার আবর্তে জার্মানীতে এখন ভয়াবহ বিরল এক গযব নাযিল হয়েছে।

ইউরোপের দেশ জার্মানিতে এখন বেড়েই চলছে নিঃসঙ্গতা। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নিঃসঙ্গ বা একাকিত্ব অনুভব করছে। ফলে তাদের ওপর বেড়েছে মানসিক চাপ। দেশটির শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিমা সংস্থা টেকনিকার ক্রাংকেনকাসে (টিকে) পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তরুণদের মাঝে এই সমস্যা বিশেষভাবে প্রকট। এছাড়াও প্রায় ৬০ শতাংশ জার্মান নাগরিক প্রায়ই নিঃসঙ্গতা অনুভব করছে।

দেখা গেছে, তরুণরা নিঃসঙ্গতায় বেশি ভোগে। ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বলেছে, তারা প্রায়ই, মাঝে মাঝে বা খুব কম হলেও নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্ব অনুভব করে। এছাড়া এই বয়সের ৩৬ শতাংশ নিঃসঙ্গতাকে খুব বেশি বা বেশ গুরুতর চাপ হিসাবে অনুভব করে।

তুলনামূলকভাবে ৪০ থেকে ৫৯ বছর ও ৬০ বা তার বেশি বয়সি গোষ্ঠীর মধ্যে এই হার যথাক্রমে ১৯ শতাংশ ও ২১ শতাংশ।

এছাড়াও আরও কিছু বিষয় উঠে এসেছে এই গবেষণায়। দেখা গেছে, নিঃসঙ্গতা অনুভবের জন্য শিক্ষার ধাপ, কাজ, অথবা কেউ বড় বা ছোট শহরে বাস করছে কিনা- এসব কোনো বড় কারণ নয়। একইভাবে, পুরুষ ও নারীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতার সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। নিঃসঙ্গতার বড় কারণ বলা হচ্ছে ব্যক্তির সম্পর্ক ও সামাজিকভাবে তার অবস্থানকে।

পুরুষ যদি নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্বে ভোগে, তবে সেটি স্বীকার করা তাদের জন্য কঠিন। শুধু ২২ শতাংশ পুরুষ নিঃসঙ্গতার কথা অন্যকে বলে।

পুরুষদের না বলার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো- অন্যদের বোঝা বাড়াতে না চাওয়া। প্রায় ২৯ শতাংশ বলেছে, নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলা তাদের জন্য অস্বস্তিকর। ৯ শতাংশ উল্লেখ করেছে, তাদের এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার সঙ্গে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে পারে। এমনকি নিঃসঙ্গতার কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বৃদ্ধি ঘটে। যারা নিঃসঙ্গতা অনুভব করেছে, তাদের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ তাদের স্বাস্থ্যকে খারাপ বলে মনে করে।

নিঃসঙ্গ মানুষ পিঠ, পেটের ব্যথা, হাঁপানি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যায় বেশি ভোগে।

উল্লেখ্য এতদিন যাবত কাফির, মুশরিকরা দাবানল, তুষারপাত, অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা, মানসিক বিকার ইত্যাদি বিভিন্ন গযবে ভুগছিল। কিন্তু নিঃসঙ্গতা নামক বিরল গযবও যে কত ভয়াবহ রূপে নাযিল হতে পারে মুসলমান ও ফিলিস্তীনের মতো দেশ জার্মানী বর্তমানে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। নাউযুবিল্লাহ!



-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।