মুসলমানদের জন্য কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত

, ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

সমস্ত কাফিরদের দেশে মুসলমানদেরকে জুলুম, নির্যাতন, শহীদ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ইলিম অর্জন করা ফরয। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অনেক জায়গায় মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়েছেন, কাফির-মুশরিকরা হলো নিকৃষ্ট জীব, নাপাক, জাহান্নামী। এরা মুসলমানদের চরম শত্রু, এদেরকে কখনো বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। এদেরকে পরামর্শদাতা হিসেবে গ্রহণ করো না, এরা মুসলমানদের ভালো চায় না, এদের অন্তরে মুসলমানদের প্রতি কঠিন বিদ্বেষ ও হিংসা রয়েছে। এদেরকে কখনো অনুসরণ করো না ইত্যাদি।

প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য কাফির মুশরিকদেরকে মুহব্বত করা, অনুসরণ করা, ভালো মনে করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!

মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আমল করা এবং মৃত্যু পর্যন্ত ইস্তিকামত থাকা ফরয। তাহলেই মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত ও গায়েবী মদদ লাভ করবেন। কাফির মুশরিকরা মুসলমানদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু বর্তমানে মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আমল ছেড়ে দিয়ে কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করছে। নাউযুবিল্লাহ!

যার কারণে উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে, গায়েবী মদদ থেকে বঞ্চিত হয়ে কাফির মুশরিকদের জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর উনাদেরকে বিনা অপরাধে শহীদ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা জালিম হয়ো না, মজলুমও হয়ো না। ” বর্তমানে যেখানে মুসলমানদেরকে জুলুম করা হচ্ছে, শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, চুপ করে না থেকে জিহাদ ঘোষণা করা। যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা। ইন্তেকাল তো করতেই হবে, শহীদ হওয়ার আগে কয়েকজন কাফির মুশরিকদের হত্যা করে শহীদ হওয়া উচিত। তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক পালন করা হবে এবং নাযাত পাওয়াও সহজ হবে।

-আহমদ উম্মু হাসান।