মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি

, ২০ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত

কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ছায়ায় গড়ে উঠা হিন্দু নিয়ন্ত্রিতরাষ্ট্র ভারতে প্রায় ৪০% মুসলমানের অবস্থার সাথে মাত্র প্রায় ১.৫% বাংলাদেশী হিন্দুর সুযোগ-সুবিধার বিশ্লেষণ করলে আমরা নতুন কিছু ধ্যান-ধারণার সন্ধান পাই। মাত্র প্রায় ১.৫% হিন্দু এই হিন্দুদের দুর্গাপূজায় জাতীয় ছুটি, পূজাম-পের জন্য অনুদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘ ছুটি কিসের আলামত? হিন্দুদের পূজায় অংশ নিতে কি মুসলমানগণ এ পূজার ছুটি ভোগ করবে? নাঊযুবিল্লাহ!

অথচ এ দেশে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার দিন যা মুসলমানগণের সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুষ্ঠানে ১ দিনের দায়সারা ছুটি দেয়া ছাড়া কিছুই করা হয় না। অথচ কল্প কৃষ্ণের জন্মদিনে সাধারণ ছুটিসহ নানা আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনে সভার আয়োজন করা হয়। অথচ কথিত ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দু রাষ্ট্রে মুসলমানগণের মাইকে পবিত্র আযান দিতে দেয়া হয় না। পবিত্র মসজিদ ভাঙা ও দখল করা সে তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। আর মুসলিম নিধন- ওটা ধর্মনিরপেক্ষতার একটা বিশেষ নমুনা।

দেশের মানুষ কি এসব নীরবে সয়ে যাবে? এর কি কোনো প্রতিকার নেই? সকলের জানা উচিত- মানুষের বিচার যেখানে শেষ, মহান আল্লাহ পাক উনার বিচার সেখান থেকে শুরু।

-মুহম্মদ আব্দুল্লাহ।

ট্যাগসমূহঃ