মুসলমানদের বুদ্ধি-শ্রম ব্যবহার করেই বিধর্মীরা এত শক্তিশালী হয়েছে
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ নামে একটি কথা অনেকেই শুনেছে, যার অর্থ হলো ‘বুনো পাশ্চাত্য’। উনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার টেক্সাস, আরিজোনা এসব অঞ্চলে মরুভূমির মাঝে সাদা চামড়ার খ্রিস্টানদের ছোট ছোট জনবসতি ছিলো। ঐসব অঞ্চলে আইন-কানুন বলতে কিছু ছিলো না, প্রত্যেকের সাথে থাকতো বন্দুক। কিছু হলেই সাথে সাথে যে কেউ বন্দুক বের করে একে অপরের দিকে গুলি ছুঁড়তো।
বর্তমানেও আমেরিকায় কথায় কথায় বন্দুক বের করে গুলি করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। যে কারণে সরকারি হিসাবে আমেরিকায় প্রতি বছর ১২ হাজারের মতো খ্রিস্টান নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে মারা যায়। আমেরিকার মধ্যাঞ্চলে এই সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের বলা হয় ‘রেডনেক’। এসব ‘রেডনেক’রা খুব বেশি পড়াশোনা করে না। কিছু ক্লাস পড়াশোনা করে তাদের অধিকাংশই আমেরিকান সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় মুসলমান শহীদ করার জন্য। নাউযুবিল্লাহ! এদেরকে ছোটবেলা থেকেই বন্দুক চালনার শিক্ষা দেয়া হয়, আর শিক্ষা দেয়া হয় মুসলমানরা খারাপ। নাউযুবিল্লাহ! ইন্টারনেটে এ সম্পর্কিত বহু ভিডিও রয়েছে।
প্রশ্ন হতে পারে, কথায় কথায় গোলাগুলি করা এই অর্ধশিক্ষিত বুনো গোষ্ঠীটির কারণে কী আমেরিকা শক্তিশালী হয়েছে? না, আমেরিকা ইউরোপ শক্তিশালী হয়েছে বহিরাগত মেধাবী মুসলিম জনগোষ্ঠীর দ্বারা।
এদেশের ‘বুয়েট’ নামক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে সবাই এক নম্বর বলে সায় দেয়। কিন্তু আপনি এদেশের কল-কারখানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফার্মে গিয়ে দেখুন, বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারদের আপনি পাবেন না। সব দেখবেন রুয়েট, চুয়েট কিংবা বড়জোর বিভিন্ন প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পাস করা। বুয়েট থেকে যারা পাস করে, তাদের প্রায় সবাই আমেরিকায় চলে যায়।
আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, আমেরিকা ড্রোন হামলা করে মুসলমান শহীদ করেছে। এই ড্রোন অর্ধশিক্ষিত ‘রেডনেক’রা বানায়নি। এই ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের মূল আবিষ্কারক হলো একজন বাংলাদেশী। আমেরিকার মূল যুদ্ধবিমান হলো এফ-১৬ এবং এফ-১৭। এই দুই বিমান তৈরিতে যে ধাতু ব্যবহার করা হয়, তাও এক বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর আবিষ্কার করা।
অর্থাৎ মেধা দিয়ে, শ্রম দিয়ে মুসলমানদের সন্তানেরাই কাফির-মুশরিকদেরকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কথা জানি, যেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নৌ-দস্যুরাই হচ্ছে আজকের আমেরিকার রেডনেকদের পূর্বপুরুষ।
রেডনেকদের মতো এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীও ছিলো গ-মূর্খ। প্রশাসন কিভাবে চালাতে হয়, বিচারব্যবস্থা কিভাবে চালাতে হয়, রাজস্ব কিভাবে আদায় করতে হয় তার কোনো ধারণাই তাদের ছিলো না।
যার ফলে পলাশীর যুদ্ধের পর তারা দেশ চালাতে নিয়োগ করে রেজা খান নামক এক মুসলমানকে, যে ঘটনাটি ইতিহাসে ‘দ্বৈত শাসন’ নামে পরিচিত। রেজা খানকে বসিয়ে ব্রিটিশরা প্রথমে দেশশাসনের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি শিখে নেয়। সব নিয়ম-কানুন আয়ত্ত করে নেয়ার পর মুসলমানদেরকেই সমস্ত চাকরি থেকে উচ্ছেদ করে ব্রিটিশরা আর বিধর্মীরা মিলে। সেই ধারাবাহিকতাতেই আজ মুসলমানদের মেধাবী সন্তানেরা স্বজাতি ছেড়ে, স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে কাফিরদের হাতকে শক্তিশালী করে, মুসলমানদের শহীদ করার সমূহ ব্যবস্থা করছে। নাউযুবিল্লাহ!
অনেকেই বলবে, এদেশের মেধাবী ছাত্ররা বিদেশে যায় এদেশে সুযোগ না পেয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিদেশে কী তাদেরকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়া হয়? বিদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এদেশের একজন ছাত্রকে যে কতোটা পরিশ্রম করতে হয়, তা আমরা সবাই জানি। তার দশভাগের একভাগও এদেশের জন্য করলে বাংলাদেশ আজ উন্নত হতো।
আসলে মুসলমানরা শত্রু চেনে না, তাই তারা কাফির-মুশরিকদের গোলামে পরিণত হয়েছে। যে কারণে ইসলাম উনার জন্য, দেশের জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকার করতে তাদের কুণ্ঠা হয়। কিন্তু বিদেশে গিয়ে, পরিবার পরিজন ছেড়ে অমানুষিক পরিশ্রমকে এই গোলামী মানসিকতাধারী মুসলমানদের কাছে কোনো পরিশ্রমই মনে হয় না। নাউযুবিল্লাহ!
এর কাফফারা কিন্তু তাদেরকে দিতে হবে। কাফির মুশরিকদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য হাশরের ময়দানে তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। দুনিয়ায় তারা তাদের দেশত্যাগের পক্ষে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে পার পেতে পারবে, কিন্তু পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে তারা তা পারবে না।
-গোলাম মুর্শিদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র ছলাত বা দরূদ শরীফ পাঠ করার বেমেছাল ফযীলত
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র ই’তিকাফ এর হুকুম-আহকাম
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৪)
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযা ভঙ্গের কারণ (১৪)
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামত মুবারক
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ফাতহে মক্কা অর্থাৎ পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় দিবস
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে রোযা অবস্থায়- ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ও টিকা নেয়া অবশ্যই রোযা ভঙ্গের কারণ (১৩)
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)