মুসলমানদের সফলতা আসবে যেভাবে....(১)
, ০৮ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

মুসলমানরা কেন নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেললো, এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে, এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কারণ হচ্ছে, মুসলমানরা মুসলমান হিসেবে তার লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেছে। দিক হারিয়ে বিশাল সমুদ্রে জাহাজ যেমন ঘুরপাক খেয়ে নাজেহাল হয়, মুসলমানদের আজ তেমন অবস্থা।
চিন্তা করে দেখুন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের ছোট থাকতেই লক্ষ ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা করি। বলি ‘বড় হয়ে তোমাকে অমুক হতে হবে’। এগুলো কিন্তু ব্যক্তিগত লক্ষ্য। সে যেহেতু, একজন মুসলমান। তাই মুসলমান হিসেবে মুসলমান সমষ্টিগত লক্ষ্য থাকা উচিত। কিন্তু সেটাই তাকে দেয়া হয় না।
মূলতঃ লক্ষ্য দুই ধরনের। এক- ব্যক্তিগত, দুই- সমষ্টিগত।
সন্তানকে শিক্ষা দিতে হলে তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য যেমন ঠিক করে দিতে হবে। ঠিক তেমনি তার সমষ্টিগত লক্ষ্যও ঠিক করে দিতে হবে।
সমষ্টিগত লক্ষ্য ঠিক করা কেন জরুরী?
কাফির মুশরিকরা মুসলমানদের উপর নির্যাতন করে, কারণ তারা চায়, সমাজে তাদের কাফিরদের (সমষ্টিগত) আইন ও নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠা হোক। কিন্তু মুসলমানরা সেখানে বাধার কারণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় তারা মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালায়।
এক্ষেত্রে কাফির-মুশরিকদের কিন্তু সমষ্টিগত লক্ষ্য ঠিক করা আছে। উদাহরণস্বরূপ- বর্তমানে যে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা নিয়ে ফেতনা, এত মুসলিম গণহত্যা, সেই ইসরাইল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য কিন্তু ইহুদীদের নতুন কিছু নয়, বরং হাজার বছরের পুরাতন লক্ষ্য। হাজার বছরের পুরাতন প্ল্যান অনুসারে কাজ করে তারা বর্তমান এই অবস্থায় এসেছে। আবার ভারতের দিকে যদি তাকান তবে একই জিনিস দেখবেন। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়নে বর্ণিত মহাভারত প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দুরা ভারত উপমহাদেশে আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই প্রতিষ্ঠায় মুসলমানরা বাধা হতে পারে, এই আশঙ্কায় তারা মুসলমান নিপীড়ন করছে।
মূলতঃ মুসলমানদের পিছিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো, কাফিরদের সমষ্টিগত লক্ষ্য ঠিক করা থাকলেও মুসলমানদের কিন্তু সমষ্টিগত লক্ষ্য ঠিক করা নাই। কাফিররা তাদের লক্ষ্য অনুসারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু মুসলমানদের সমষ্টিগত লক্ষ্য-ই নাই, কাজ তো পরের বিষয়।
সমষ্টিগত লক্ষ্য থাকলে সুবিধা কি, এটা বুঝতে একটা উদাহরণ দেই। ধরুন কোন এলাকায় একজন ব্যবসায়ী আছে, যে কয়েক প্রজন্ম ধরে একই ব্যবসা করে। মানে সে ব্যবসা পেয়েছে তার বাবার থেকে। তার বাবা পেয়েছে তার বাবার থেকে। আবার তার বাবা পেয়েছে তার বাবার থেকে। এভাবে ৮-১০ প্রজন্ম একই ব্যবসা করতেছে। এখন নতুন কোন ব্যবসায়ী যদি ঐ ব্যবসায়ীর সাথে প্রতিযোগীতা করতে যায়, স্বাভাবিকভাবেই পেরে ওঠার কথা নয়। কারণ কয়েক প্রজন্ম ধরে তাদের মধ্যে যে জ্ঞান-অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে, সেটা বুঝতেই নতুন ব্যবসায়ীর বহু সময় লেগে যাবে, তারপর সেটা আয়ত্ব করা এবং প্রতিযোগীতা করা তো অনেক পরের বিষয়।
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আসন্ন রমাদ্বান শরীফ মাসে ব্যবসায়ী ভাইদের করণীয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শত্রুকে না চিনলে আপনার মুসলমানিত্ব নিরাপদ থাকবে না
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র শবে বরাত’ পাওয়ার পরও গাফিল থাকে
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গান-বাজনা, খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা এগুলো একেকটা ভয়ঙ্কর মাদক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের বহু দেশের সবকিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতায় অথচ বাংলাদেশ এখনও ছবিযুক্ত ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেই ‘ভালো’ খারাপকে প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখে না, সেই ‘ভালো’ কখনোই ভালো নয়
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকেই মুসলমানরা শুধু বাংলাদেশ নয়; সারা কায়িনাতের আদিবাসী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু তুরস্ক নয়, গাজা পুনর্গঠনে গোটা মুসলিম বিশ্বের এখনি ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিখলেই কী মুসলমানরা উদ্ধার হয়ে যেতো?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে সব হোটেল-রেঁস্তোরা-দোকানপাট” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা”
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩০% বায়ুদূষণের কারণ ভারত এবং আরো ৩০% বায়ুদূষণের কারণ পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ উপদেষ্টার কোনো কথা বা কার্যক্রম নেই। ২০২২ সালে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রীটকারী ২০২৪ সালে পরিবেশ উপদেষ্টা হয়ে বলছেন বায়ুদূষণের দায় নিবো না। পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্যোগ- শুধু ইটভাটা আর পলিথিন বন্ধে- এ বৈষম্য আর জুলুম জনগণ বেশী বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)