আল ইহসান ডেস্ক:

আজিমুশ্বান রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে ৬ দিনব্যাপী বিশেষ তালিমী মাহফিল উনার ৩য় দিন বাদ ইশা মহান মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সকলের উদ্দেশ্যে নছীহত মুবারক পেশ করেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তালিমী মাহফিলে আসা আদবের অর্ন্তভুক্ত। অনেক বিষয় আছে বারবার শুনতে শুনতে বিষয়গুলো বুঝার ক্ষেত্রে বিশেষ সমঝ পয়দা হয়। এজন্য প্রত্যেকের জন্য তালিমী মাহফিলে এসে দ্বীনি বিষয়গুলো ভালো করে শিখা দায়িত্ব ছিলো। কাফিররা তাদের কাজে কোন গাফলতি করে না। মুসলমান যে ঈমানের উপর থাকতে হবে আর কাফিরদেরকে তাদের কুফরী হতে ছুটিয়ে আনতে হবে সে বিষয়ে মুসলমানদের কোন উদ্যোগ ফিকির নাই। অথচ কাফিররা ঠিকই তাদের অপতৎপরতার মাধ্যমে মুসলমানদেরকে দ্বীন ইসলামের মূল থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। মুসলমানদের তাদের দ্বীন সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত, দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। মানুষকে বুঝিয়ে বায়াত করানো উচিত। সেজন্য তালিমী মাহফিলে যতগুলো কাজের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সঠিকভাবে করা সকলের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেকোন দ্বীনি খেদমতের আনজাম দিতে হলে টাকা পয়সার প্রয়োজন। এজন্য প্রত্যেক এলাকার মসজিদ মাদরাসা আনজুমানে দানবক্স হাদীয়া বক্স রাখতে হবে। এর মাধ্যমে তহবিল সৃষ্টি করে দ্বীনি কাজগুলো আনজাম দেয়া সহজ হবে। আমাদের প্রত্যেক লোকের জানাজা নামাজ শিখা উচিত। জুমায়ার নামাজ পড়ানোও সবার শিখা উচিত। ইলমে ফিক্বাহর দৈনিন্দিন মাসয়ালা মাসায়েল জরুরত আন্দাজ শিক্ষা করাও ফরজ। আমাদের সিলসিলার মাদরাসাগুলোতে আমাদের তৈরী করা পাঠ্যসূচি পড়াতে হবে। যাকাত ফিতরা উশর সংগ্রহ করে পবিত্র দরবার শরীফে জমা দিতে হবে।

সাইয়্যদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সময় দিয়ে খেদমত করা, মাল দিয়ে খেদমত করা, তখন হাকিকী আল্লাহওয়ালা আল্লাহওয়ালী হওয়া যাবে। মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাসিলের লক্ষ্যে জান মাল সময় দিয়ে সব ধরনের খেদমতের কোশেশ করতে হবে। একজন কামিল মুরশিদের কাছে বায়াতের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে যেতে হয়। এরপর কোন মত প্রকাশের সুযোগ নাই। যেহেতু সবকিছু বিক্রি হয়ে গেছে। যেভাবে আদেশ নিষেধ করা হচ্ছে সেভাবেই সবকিছু করতে হবে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বিনা হিসেবে বেহেশতে যাবেন। যেহেতু উনারা সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সবার জানা উচিত, আমাদের দেশে সুদখোরকে এনে বসিয়েছে সন্ত্রাসী আমেরিকা। তার মাধ্যমে মূল চারটা কাজ করে নেয়াই তাদের আসল উদ্দেশ্যে। সেটা হলো, নারিকেল দ্বীপ মানুষশুন্য করে আমেরিকার কাছে বিক্রি করা, পার্বত্য এলাকাগুলোকে আদিবাসী বানিয়ে বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করানো, ভ্যাট ট্যাক্স বৃদ্ধি করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু বানানো, বহুত্ববাদ নামক কুফরী মতবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে এদেশ হতে তুলে দেয়ার কাজটা সম্পন্ন করা। এমতাবস্থায় মুসলমানদেরকে মুসলমান হিসেবে যে দায়িত্ব কর্তব্য সেটা পালন করতে হবে, তাহলে কাফিরগুলোর ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না, তারা সহজে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কাফির, ইবলিশ, ইহুদী নাসারা, ফাসিক ফুজ্জার, ওলামায়ে ছুদের ষড়যন্ত্র হতে বেঁচে থাকতে সকলকে ঈমানী কুওওয়াত বৃদ্ধি করার জন্য দিকনির্দেশা মুবারক দান করে ৩য় দিনের আজিমুশ্বান নসীহত মুবারক সমাপ্ত করেন।