যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২)
, ০২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
বর্তমান যামানায় যারা ওলামায়ে সূ’ রয়েছে তাদের মধ্যে সেটাই দেখা যাচ্ছে। তারা দাবি করে- তারা মাদরাসার উস্তাদ-শিক্ষক, মুহতামিম, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শাইখুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, ছূফী-দরবেশ, শায়েখ, পীর ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা বলে, তারা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করেছে, শিক্ষা দিচ্ছে। এদের অনেক ছাত্র রয়েছে, এদের শাগরিদ রয়েছে, এদের মুরীদ রয়েছে, অনেক কিছু রয়েছে, এরা অনেক কিছু বুঝে। ইবলীস যেমন বলেছিলো, এরাও সেটা বলে। তারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ, সম্মানিত কিয়াস শরীফ উনাদের কোনো গুরুত্বই দেয় না। তারা সর্বপ্রকার বিদআত-বেশরা, কুফরী-শিরকী ও হারাম-নাজায়িয কার্যকলাপ করে যাচ্ছে এবং সেগুলোকে হালাল ফতওয়া দিয়ে যাচ্ছে। তারা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং তাদেরকে সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূজা করতে বলেছে। বলেছে- মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী, মজূছী, মুশরিক পরস্পর ভাই ভাই। আরো বলেছে- তারাই মুশরিকদের মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিবে, যাতে মুশরিকরা মনের সুখে পূজা করতে পারে, তাদের গীতা পাঠ করেছে, সম্প্রীতি বজায় রাখতে বলেছে। শুধু তাই নয়; এই সকল কুফরী কাজ করে তারা আনন্দ প্রকাশ করেছে এবং শুকুরগুজারী করেছে। সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও কাট্টা মুরতাদ হয়েছে। এই সকল ওলামায়ে সূ’রাই দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করে ও গণতন্ত্রকে জায়েয মনে করে, বেপর্দা হয় এবং বলে এতো পর্দা প্রয়োজন নেই, ছবি তোলে এবং বলে বর্তমানে ছবি প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া তারা সম্প্রীতির দোহাই দিয়ে হিন্দু-মুশরিক, খৃষ্টান, ইহুদী, বৌদ্ধসহ সকল বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করে। এরাও সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী প্রত্যেকেই কাট্টা কাফির ও কাট্টা মুরতাদ হয়েছে। এবং তাদেরকে যারা অনুসরণ করছে এবং করবে, তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে এবং যারা তাদের কুফরী সম্পর্কে একমত পোষণ করবে তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে। এদের ইমামতিতে নামায পড়া জায়েয নেই। কারণ, এরা মুরতাদ ও কাফির হয়ে গেছে। কেউ যদি তাদের পিছনে নামায পড়ে, তাহলে তার নামায কখনোই হবে না। তাকে নামায অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় সে শুধুমাত্র নামায তরকের গুনাহে গুনাহগারই হবে না; বরং সেও মুরতাদ ও কাফির হবে।
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওলামায়ে সূদের প্রতি বদ দোয়া করেছেন। যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيْلٌ لِّاُمَّتِـىْ مِنْ عُلَمَاءِ السُّوْءِ يَـتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِـجَارَةً يَـبِـيْـعُوْنَـهَا مِنْ اُمَرَاءِ زَمَانِـهِمْ رَبَـحًا لِّاَنْـفُسِهِمْ لَا اَرْبَحَ اللهُ تِـجَارَتَـهُمْ
“হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের ওলামায়ে সূ’দের জন্য জাহান্নাম; যারা সম্মানিত ইলিম মুবারক উনাকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তাদের যামানার আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ্দের কাছে অর্থ ও পদ লাভের জন্য তা বিক্রি করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন তাদের এই ধর্মব্যবসায় কখনো বরকত না দেন। ” (দায়লামী শরীফ ৪/৩৯৮, রবীউল আবরার ৪/৩৮, আল গ¦রাইব ২৬৫৫ পৃ. কানযুল উম্মাল ১০/২০৫ জামিউল আহাদীছ ২২/৪৮০, জামউল জাওয়ামি’ ১০/৭২৩ ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বত হলো: ওলামায়ে সূ’দের পরিণতি হলো- তারা জাহান্নামী হবে। তাদের আলামত হলো:
১. তারা ইলম অর্জন করবে ব্যবসার জন্য।
২. তারা আমির-ওমরা, রাজা-বাদশাহ্, রাষ্ট্রপতি, উজির-নাজিরদের কাছে ইলম বিক্রি করবে। অর্থাৎ ইলম উনার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা-পয়সা, ক্ষুদ-কুড়া সংগ্রহ করবে।
৩. ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য।
৪. তাদের ব্যবসায় কোন দিন লাভবান হবে না।
সেটাই বর্তমান যামানার ওলামায়ে সূ’দের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












