যে সমস্ত নামধারী আলিমরা শাসকদের দরবারে আসা-যাওয়া করে তারাই উলামায়ে সূ এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব (৪)
, ১৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যে সমস্ত আলিমরা শাসকের দরবারে গমন করবে, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবে তারা কখনোই তাদের মিথ্যায় সমর্থন না দিয়ে পারবে না। তাদের যুলুমে সহায়তা না করেও পারবে না।
এজন্যই যেসব আলেমরা শাসকের দরবারে যাওয়া-আসা করতো তাদেরকে পূর্ববর্তীগণ অভিযুক্ত মনে করতেন। হেয় চোখে দেখতেন। দুনিয়াদার মনে করতেন। হযরত আবূ হাযিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
إن العلماء كانوا يفرون من السلطان ويطلبهم وإنهم اليوم يأتون أبواب السلطان والسلطان يفر منهم
অর্থ: আগের যামানায় আলিমগণ শাসকদের থেকে দূওে থাকতেন। আর শাসকরা উনাদের খুঁজে বেড়াত। আর আজকালকার আলিমরা শাসকদের দরবারে গমন করছে আর শাসকরা তাদের থেকে দূরে থাকছে। (জামিউ বায়ানিল ইলম ওয়া ফাদ্বলিহী ১/৬৩৫)
একবার আমীর ইবনে হুবায়রার দরজার সামনে কিছু আলেমকে বসে থাকতে দেখে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাদেরকে তিরস্কার করে বলেছিলেন-
أما والله لو زهدتم فيما عند الملوك الرغبوا فيما عندكم ولكنكم رغبتم فيما عندهم فزهدوا فيما عندكم فضحتم القراء فضحكم الله
অর্থ: তোমাদের জন্য আফসোস! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! শাসকদের দুনিয়ার প্রতি যদি তোমরা অনীহা দেখাতে তাহলে তারা তোমাদের ইলিমের প্রতি আগ্রহ দেখাত। কিন্তু তোমরা তাদের দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছ ফলে তারা তোমাদের ইলিমের প্রতি অনাসক্ত হয়ে পড়েছে। আলিমদেরকে তোমরা অসম্মানের পাত্র বানিয়েছো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন তোমাদেরকে লাঞ্ছিত করেন। (আল আমালি লিআবিল ক্বাসিম আয যুজাজি ১/১৩(
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের কিছু নামধারী আলিমরা যারা মূলত উলামায়ে সূ। এরা শাসকদের সাথে বিভিন্নভাবে মেলা মেশা করছে, একাত্ত্বতা ঘোষণা করছে। শাসকদের সাথে সাক্ষাত করতে পেরে নিজেদেরকে তারা ধন্য মনে করছে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এরা নিজেদেরকে অনেক বড় হাদী, আলিম দাবী করে। নাঊযুবিল্লাহ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা যে, সুস্পষ্ট। যারা শাসকদের সাথে মেলা-মেশা করে তারা কখনোই হক্কানী-রব্বানী আলিম নয়, বরং তারা হচ্ছে উলামায়ে সূ। যারা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব, চরম গোমরাহ। এদের থেকে দূরে থাকা সমস্ত মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মুসলমানদেরকে এই সমস্ত উলামায়ে সূ’দের ফেতনা থেকে হিফাযত করুন। আমীন!
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












