রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি (২৪)
, ০৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পনেরো শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ৯০ দশকেই শিশু শ্রেণী থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল পাঠক্রমে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র কিয়াস শরীফ থেকে ৩৩ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে রেখে সম্পূর্ণ ইসলামী ভাবধারা অনুযায়ী সিলেবাস রচনার উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। সে সময় অনেকের পক্ষেই সেই সিলেবাস রচনার উদ্যোগের নিগুঢ় রহস্য অনুধাবন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কাফির মুশরিকদের প্ররোচনায় আমাদের দেশের বিভ্রান্ত শাসক গোষ্ঠী যেখানে সকল পর্যায়ে সিলেবাসের মধ্যে কুফরী-শিরেকী প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে- ফলে সেগুলো যারা পড়ছে, যারা পড়াচ্ছে এবং যে সকল অভিভাবক এসব জেনেও কোন প্রতিবাদ করছে না তাদের সকলের ঈমান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! সে কারণে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আবারও নতুন করে সিলেবাস রচনার বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ তাওয়াজ্জুহ ফায়িজ দানে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
বর্তমান সিলেবাসের প্রায় সকল ক্লাশের সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইসলাম শিক্ষা ইত্যাদির মধ্যে কেবল তথ্য বিকৃতিই ঘটানো হয়নি বরং কৌশলে ইসলাম উনার অবমাননা করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! পাশাপাশি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি প্রবেশ করানো হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান লেখক উনাদের বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে কাফিরদের লেখা প্রবেশ করানো হয়েছে। তাদের স্পর্ধা এতটাই বেড়েছে যে, এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকেও আপত্তিকর তথ্য সংযোজন করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
বলা হয়, শিক্ষা জাতির মেরুদ-। অর্থাৎ শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হলে একটা জাতি উন্নতির শিকড়ে পৌঁছবে। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে লেখা আছে “একটি জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাস ধ্বংস করে দাও।” তাহলে দেখা যাচ্ছে সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। কিন্তু যেহেতু যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, তিনি এই বাংলার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন, তাই তিনি অনেক পূর্ব থেকেই এই সিলেবাসের চক্রান্তের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আর তার সমাধানের লক্ষ্যেই গড়ে তুলেছেন সিলেবাস রচনার টিম। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষ কোর্সের প্রচলন
পনেরো শতকের সম্মানিত মহান মুজাদ্দিদ উনার সকল কার্যক্রম পূর্ববর্তী মহান মুজাদ্দিদ উনাদের থেকে কিছুকিছু বিষয়ে একেবারেই আলাদা। উনার চিন্তার প্রখরতা, গভীরতা, তীক্ষ্মতা এত ব্যাপক যা কোন নির্দিষ্ট সময়ের গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ নয়; সময় ছাড়িয়ে তা চলে গেছে অনন্তকালের দিকে। মুরীদদের ইছলাহ হাছিলের জন্য সকল আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাহিম উনারা নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেন এবং নিয়েছেন। কিন্তু পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ উনি মুরিদগণের ইছলাহ এবং ইলম বিতরণের জন্য, আলেম প্রস্তুত করার জন্য, উনার মুবারক বিষয় সমূহ ধারণ করার জন্য তিনি অনেক ধরণের পদ্ধতির প্রচলন করেছেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে “বিশেষ কোর্স তৈরি করে এবং তা শিখিয়ে আলেম দ্বীন বানানোর পদ্ধতি”। সুবহানাল্লাহ!
সাধারণ মানুষের ধারণা নামাজ পড়াবেন মাদরাসায় পাশ করা ব্যাক্তি, কুরবানীর পশু যবেহ করবেন তাও মাদরাসার ছাত্র বা শিক্ষক; জানাজা পড়ানো, মিলাদ শরীফ পড়ানো তাও যেন কেবল মাদরাসা থেকে পাশ করা হুযূরগনেরই কাজ। কিন্তু হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম উনার চিন্তা একেবারেই ভিন্ন। তিনি বিশ্বাস করেন সম্মানিত ইসলাম তো কেবল মাদরাসা পড়া মানুষদের জন্য আসেনি, সম্মানিত ইসলাম এসেছে সকল মহিলা, পুরুষসহ জীন-ইনসান সকলের জন্য। ফলে সকলকেই শিখতে হবে নামায পড়ানো, পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ানো, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র জানাজা পড়ানো, দাফন-কাফন করানো ইত্যাদি। তাই তিনি প্রথমে আলেমে দ্বীন তৈরির লক্ষ্যে উনার মুবারক তত্ত্বাবধানে ৯০ এর দশকে অনেক কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লোকদের জন্য বিশেষ কোর্স তৈরি করে তালিম দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নিজে উর্দু, আরবী, ফার্সি কাওয়ায়েদ তালিম দিয়েছেন এবং অনেককে ইসলাম উনার অনেক বিষয়ে সু-শিক্ষিত করেছেন যাদের মধ্যে আজও অনেকে শিক্ষকতা ও গবেষণা কাজে যুক্ত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেখানে মাদরাসা থেকে পাশ করা অনেক আলেমগন আবার নতুন করে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।
পরবর্তীতে লোকসংখ্যা অনেক বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উনাদের আবারও ইলম হাছিলের আরজু পেশ করার প্রেক্ষিতে এই বিশেষ কোর্স আবারও নতুনভাবে তৈরি করে তালিম দেবার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, আফযালুন নিসা, উম্মুল উমাম আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম তিনিও পবিত্র রমাদান শরীফ এবং পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে বিশেষ পদ্ধতিতে সকল পর্যায়ের মহিলাগনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহ তালিম প্রদানের আয়োজন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও সারা বৎসর ব্যাপী মহিলাদের জন্য বিশেষ তালীমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা জারী রয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৭)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাওয়াক্কুল তথা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করার ফযীলত
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)