রোযায় স্কুল বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টে রিট ও কিছু কথা (৩)
, ১৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
আমি নিশ্চিত মশিউজ্জামানের কাছে রোযায় বাচ্চাদের স্কুল নিয়ে কোন তথ্য নেই। কোন জরিপ নেই। কত শতাংশ বাচ্চা রোযা রাখে, এই তথ্য থাকা আগে দরকার। এরপর রোযায় উপস্থিত হার কত থাকে, সেটাও একটা বড় বিষয়। এছাড়া রোযায় বাচ্চাদের মনোযোগ কতটুকু থাকে, সেটা নিয়ে তাদের কাছে কোন জরিপ নেই। যেহেতু শিক্ষকরা বাচ্চাদের পড়ায়, সেহেতু রোযায় শিক্ষকরা বাচ্চাদের পড়ানো নিয়ে কি চিন্তা করছেন, সেই তথ্যও একটা বিষয়। কিন্তু সেই সব জরিপ না নিয়ে কোন দেশে রোযায় স্কুল খোলা থাকে সেই যুক্তি দিয়ে সে বাংলাদেশের স্কুল খোলার বৈধতা চাচ্ছে। যদি অন্য মুসলিম দেশের উদাহরণ দেয়া হয়, তবে সব কিছুতেই উদাহরণ আসবে। সৌদি, ইরানে অনেক ইসলামী আইন আছে, সেগুলোতেও তাহলে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হোক। নকল যদি করতেই হয়, তবে পুরোটাই নকল করুক, আধাআধি করবে কেন?
আর শিক্ষা ক্ষেত্রে যারা পলিসি তৈরী করছে, তাদের পলিসি যদি সত্যিই গ্রহণযোগ্য হতো, তবে স্কুলগুলোর এত বেহাল অবস্থা কেন ? অধিকাংশ সরকারী স্কুলে তো ঠিকমত ক্লাসই হয় না। নামকাওয়াস্তে ক্লাস হলেও বাচ্চা উপস্থিত থাকে না। নতুন কারিকুলামের বেহাল অবস্থা হওয়ার পর অধিকাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের বেসরকারী স্কুল, মাদরাসা ভর্তি করানোর চিন্তা করছেন। আর্থিক সামর্থবানরা বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য বিদেশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
কথা হচ্ছে, পলিসির জন্য জনগণ নাকি জনগণের জন্য পলিসি। বর্তমানে অবস্থা হয়েছে পলিসির জন্য জনগণ। জনগণ মরে যাক, পলিসি ঠিক থাকুক। কিন্তু জনগণের জন্য যদি পলিসি হতো, তবে ‘রাষ্ট্রের পলিসি’ কথা উচ্চারণ করার আগে এর স্বপক্ষে রোযায় স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন জরিপ উপস্থাপন করার দরকার ছিলো রাষ্ট্রপক্ষের। কিন্তু সে দিকে তো রাষ্ট্রপক্ষ যায়নি।
মূল কথা হলো, দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকসহ দেশের অধিকাংশ মানুষ হতাশ। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু লোক নীতি নির্ধারক হয়ে একবার এটা, আরেকবার ওটা করে বাচ্চাদের জীবন নিয়ে খেলা শুরু করছে। একেকটা নিয়ম বানায় আর বাচ্চাদের উপর গিনিপিগ বানায় পরীক্ষা করে। তারা নিজেরাই জানে না, কোনটায় সফলতা আসবে। কিন্তু বছর বছর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে কোটি কোটি বাচ্চার জীবন ধ্বংস করছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক।
-শেখ মুহম্মদ রাফসান যানি (আইনজীবি ও গবেষক)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












