মন্তব্য কলাম
শক্ত হাতে নস্যাৎ করা হোক কুরবানীর বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র। বন্ধ করা হোক কুরবানীর নামে যত সব শয়তানী। ‘পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের জন্য ত্বরিত ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম

সৃষ্টির শুরু হতে যে চারটি মাসকে মহাপবিত্রতা দান করা হয়েছে তার মধ্যে পবিত্র যিলক্বদ ও জিলহজ্জ মাস অন্যতম। যা পবিত্র হারাম মাস ও পবিত্র কুরবানীর মাস হিসেবে সমাদৃত। কুরবানী শব্দটি এসেছে ‘কুরব’ থেকে, যার অর্থ নৈকট্য, সান্নিধ্য ও নিকটবর্তী হওয়া। কুরবানীর মাধ্যমে কোনো কিছু মহান আল্লাহ পাক উনার নামে নিবেদিত করে উনার নিকটবর্তী হওয়া।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য পবিত্র যবেহ উনার বিধান (পবিত্র কুরবানী উনার) নির্ধারণ করেছি। যাতে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করে। ” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৪) ।
গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে অন্যতম হল ‘গরু’। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অন্যতম পবিত্র সূরা শরীফ উনার নাম মুবারক ‘সূরা বাক্বারা শরীফ’ বা ‘গাভী’; যা প্রায় প্রত্যেক মুসলমানই অবগত রয়েছেন।
ইতিহাসে যুগে যুগে দেখা গেছে গরু কুরবানী বন্ধে সবসময় সংখ্যালঘুরা জোর-যুলুম করেছে আর তা প্রতিবাদের দ্বারা দ্বীন ইসলাম উনার ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। খোদ বাংলাদেশেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রবেশ হয়েছে গরু কুরবানী বন্ধে রাজা গৌড়গোবিন্দের জোর-যুলুমের প্রতিবাদে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জিহাদের দ্বারা। গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কোনো শাসকই টিকে থাকতে পারেনি এবং এখনও পারবেনা।
তাই সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম স্বীকৃত সরকারের উচিত ছিলো মুসলমানগণ উনাদের পবিত্র কুরবানী করার সুবিধার্থে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি এলাকায় ও গ্রামে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাটের ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ পর্যাপ্ত হাটের ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য প্রতি বৎসর পবিত্র কুরবানী আসলেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী মালউন ইহুদী, মুশরিক ও নাস্তিক এবং তাদের ভাবাপন্ন বিধর্মী তোষণকারী এদেশীয় বিজাতীয় দালালরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
গত বছরও তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কুরবানীর পশুর হাট বসাতে বিলম্ব করেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কুরবানীর দিনেও গরুর গোশত খাওয়ানো হয়নি, পশু মোটাতাজাকরণ ও পশুর রক্ত পরীক্ষার নামে কুরবানী দাতাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এবার আরো গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের নতুন চক্রান্ত হলো, কুরবানির হাটই না বসতে দেয়া। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য নামধারী কিছু কুরবানিবিরোধী ব্যক্তি গরুর হাটই বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এছাড়া চলছে বিভিন্ন হাউজিং ও আবাসিক এলাকাগুলোতে কুরবানি নিষিদ্ধ করা এবং কার্যত কুরবানীতে মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। সংখ্যানুপাতে বণ্টন না হওয়া বৈষম্যের বড় পরিচয়। সেক্ষেত্রে সমালোচক মহলের মতে ২% সংখ্যালঘুর তুলনায় ৯৮% মহাসংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান এদেশে বড় বৈষম্যের শিকার। ১% সংখ্যালঘুদের পূজায় যেভাবে জেলায় ডিসি থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এবং খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল, কোটি কোটি টাকা এবং ব্যাপক ও সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দেয়া হয় সে তুলনায় ৯৮% মহাসংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোতে কিছুই করা হয় না।
সংবিধানে যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তার বড় পরিচয় হলো সংখ্যানুপাতে বণ্টন না হওয়া। অর্থাৎ কোনো ধর্মাবলম্বী যদি ১% থেকে থাকে তাহলে তাদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা বণ্টন করা হয় তাহলে কোনো ধর্মাবলম্বী যদি ৯৯ গুণ থাকে সেক্ষেত্রে তাদের জন্য ৯৯ গুণ বেশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সরকারের উচিত আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারা দেশের সর্বত্র গরিব মুসলমানদের জন্য কুরবানী ও গোশত বিতরণের ব্যবস্থা করা।
এদিকে আম জনতা এখন কুরবানীর পশু কেনার পর থেকে গোশত কাটাকাটি এবং অতঃপর খাওয়া দৃশ্য পর্যন্ত ভিডিও করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
বলাবাহুল্য, এ ছবক তারা ধর্মব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই পেয়েছে। কারণ, ধর্মব্যবসায়ীরাই তাদের কুরবানী ব্যবসার স্যাম্পল দেখানোর কৌশল হিসেবে প্রথম ছবিকে জায়িয করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
একটা কুরবানীর গোশত বণ্টন দশবার বিভিন্ন লোকদের দ্বারা ধারণ করে বিদেশে পাঠিয়েছে। তা থেকেই আজকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও কুরবানীর মত ওয়াজিব কাজের ক্ষেত্রেও বিবিধ হারাম চেতনা ঢুকে গেছে। কুরবানীর হাটেও অবিরত গান-বাজনার আয়োজন তার বড় প্রমাণ। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ কুরবানীর উদ্দেশ্য হচ্ছে- আক্বলকে সাধারণ যৌক্তিকতার পথ থেকে এবং নফসকে সহজাত প্রবণতার পথ থেকে ফিরিয়ে, শরীয়তের লাগাম লাগিয়ে, নির্ভেজাল আনুগত্যের পথে পরিচালিত করে ঈমানী জজবা জাগ্রত করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আল্লাহ পাক উনার কাছে কুরবানীর পশুর গোশত কিংবা রক্ত কিছুই পৌছে না, পৌঁছে তোমাদের তাক্বওয়া। ’
স্মর্তব্য, সম্মানিত দ্বীনে উপর কথিত সংস্কৃতি নয় বরং কথিত সংস্কৃতির বর্ণনাতীত উপরে সম্মানিত দ্বীন। সম্মানিত দ্বীনের মধ্যে যখন সংস্কৃতি অনুপ্রবেশ করে তখন আর ধর্ম, ধর্ম থাকে না। আর ক্রমান্বয়ে সম্মানিত দ্বীন থেকে বিচ্যুতিই দ্বীনের সাথে ধর্মের নামে দ্বীনবিরোধী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটায়। এসব কথা সম্প্রতি ঈদ ও কুরবানীর নামে যা কিছু হচ্ছে তাতে খুব স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে।
সুতরাং আজকে চূড়ান্ত সময় যখন কুরবানীর নামে ঢুকে যাওয়া সব হারাম কাজ ও ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মব্যবসাকে এবং পবিত্র কুরবানী বিরোধী ষড়যন্ত্রকে শক্ত হস্তে বন্ধ করতে হবে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এটাই হোক আমাদের সবার চেতনা ও প্রেরণা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারেও দেশে ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়ইনি বরং পতিত জালিম সরকারের চেয়েও অবনতি হচ্ছে অথচ ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি ব্যবসায়ীদের একান্ত প্রয়োজনগুলো এবং চরম ক্ষতিকর ও বাধাগ্রস্থ দিকগুলোও নির্ণয় করতে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বাঁচাতে হলে ব্যবসাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশে ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম বাড়ছেই। ১২ হাজার কোটি টাকার ওষুধের এক-দশমাংশই নিম্নমানের। ভেজাল ওষুধে বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সরকার এখনই প্রতিরোধ না করলে দেশের জনস্বাস্থ্য মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের লবণচাষীরা হাজার কোটি টাকার লবণ আমদানী ঠেকিয়ে রেখেছে লবণচাষীদের উপর বিভিন্ন চাপ, বাধা ও নিয়ন্ত্রণ তৈরী করছে সিন্ডিকেট অপরদিকে দেদারছে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট আমদানী করে লবণ বলে বাজারজাত করা হচ্ছে
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)