শাহরুল্লাহিল হারাম, সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক এবং আমলসমূহ... (৬)
, ০৮ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার বিভিন্ন নামকরণ এবং তার তাৎপর্য:
সম্মানিত ও পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার আরেকটি নাম মুবারক হচ্ছেন ‘আছম’ অর্থাৎ বধির।
আরো বর্ণিত আছে-
قِيْلَ اِنَّ رَجَبَ بَعْدَ مَا يَمْضِىْ يَصَّعَّدُ اِلَى السَّمَاءِ فَيَقُوْلُ اللهُ تَعَالٰى يَاشَهْرِىْ هَلْ يُحِبُّوْنَكَ وَيُعَظِّمُوْنَكَ؟ فَيَسْكُتُ وَلَايَتَكَلَّمُ حَتّٰى يَسْئَلَ ثَانِيًا ثَالِثًا ثُمّ َيَقُوْلُ اِلٰهِىْ اَنْتَ سَتَّارُ الْعُيُوْبِ أَمَرْتَ خَلْقَكَ بِاَنْ يَّسْتُرُوْا عُيُوْبَ غَيْرِهِمْ وَسَمَّانِىْ رَسُوْلُكَ اَصَمَّ اَنَا سَمِعْتُ طَاعَتَهُمْ وَلَمْ اَسْمَعْ مَعْصِيَتَهُمْ
অর্থ: “বলা হয়, পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস যখন শেষ হয়ে যায় তখন এই মুবারক মাস উনাকে আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তারা (বান্দা-বান্দীরা) কি তোমাকে সম্মান করেছে? তোমার প্রতি কি মুহব্বত প্রকাশ করেছে? তখন সম্মানিত রজবুল আছম শরীফ মাস চুপ থাকেন, কোন কথা বলেন না। মহান আল্লাহ পাক তিনি দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসা করেন। অতঃপর পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস বলেন, আয় বারে ইলাহী! আপনি দোষ চুপানে ওয়ালা, আপনি আপনার সৃষ্টিকে আদেশ মুবারক করেছেন অন্যের দোষ চুপিয়ে রাখার জন্য। আর আপনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার নাম রেখেছেন ‘আছম’ অর্থাৎ বধির তাই আমি তাদের আনুগত্যতা অর্থাৎ নেকীর বিষয়গুলো শুনেছি, কিন্ত তাদের অবাধ্যতা বা গুনাহের বিষয়সমূহ শুনিনি।” সুবহানাল্লাহ! এ কারণেই আমাকে আছম অর্থাৎ বধির নামকরণ করা হয়েছে” (দুররাতুন নাছিহীন-৪৭পৃষ্ঠা, নুযহাতুল মাজালিস)
অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আমার মাস! আপনি হচ্ছেন ‘ত্রুটিযুক্ত বধির’ আর আমার বান্দাহগণ তারাও হচ্ছে ত্রুটিযুক্ত। তাই আপনার সম্মানার্থে তাদেরকে ত্রুটিযুক্ত অবস্থায় কবুল করে নিলাম, যেমনিভাবে আপনি ত্রুটিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আপনাকে কবুল করে নিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! (দুররাতুন নাছিহীন-৪৭পৃষ্ঠা)
অনুরূপ নুজহাতুল মাজালিস কিতাবেও বর্ণিত অছে।
কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য বিশেষ সুযোগ হচ্ছে এই মুবারক মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার কোশেশ করা। (চলবে)
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












