মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের- সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভের জন্য সন্তান প্রতিপালন করা সুন্নত
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (২)
, ১৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১২ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেমন দাম্ভিক বা অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না তেমনি যারা হীনম্মন্যতায় ভোগে তাদেরকেও পছন্দ করেন না। ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ, ব্যক্তি জীবনের জীবনী শক্তি। এই জীবনী শক্তি যখন লোপ পায় তখন একজন মানুষ এবং জড় পদার্থের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ অহঙ্কার নয়। যা সত্য কিংবা যা সত্যের অনুকুলে তা প্রকাশ করা অহঙ্কার নয়। ইহা ব্যক্তিত্ব বা আত্মবিশ্বাস। ইহা প্রকাশ করাটাই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আপনার মহান রব তিনি যে সমস্ত নিয়ামতরাজী দান করেছেন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। ” (পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
যার আত্ম বিশ্বাস যতবেশি তার আত্ম শক্তি ততোধিক সমৃদ্ধ। সমৃদ্ধশীল আত্মাই মানুষের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ সৃষ্টি করে। আত্মসম্মানবোধ ব্যতীত কোন মানুষ কখনো প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। যার যতটুকু মহানুভবতা এবং শক্তি আছে সে যদি তার প্রকাশ ঘটায় তবে অন্যায় নয়। বরং নিয়ামতরাজীর প্রকাশ মাত্র। আমরা হক্ব বা সত্যকে সম্মান করবো। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করে নিজেদের জীবনকে সার্থক করবো। আমরা আশরাফুল মাখলূক্বাত, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।
পক্ষান্তরে কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন এবং দুনিয়ালোভী, অর্থলোভী তথা উলামায়ে ‘সূ’ তারা সৃষ্টির সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব।
কাজেই, আমাদের আত্ম বিশ্বাস থাকবে, আত্মসম্মানবোধ থাকবে, ব্যক্তিত্ব থাকবে। তবে অহঙ্কার থাকতে পারে না। আর যেখানে প্রতিক্ষেত্রে পরিপুর্ণরূপে ইত্বায়াত, অনুসরণ-অনুকরণ থাকে সেখানে অহঙ্কার থাকে না। সেখানে থাকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মান বোধ, আত্মবিশ্বাস। অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আর উলিল আমর তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিক্ষণে, পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করেন তাদের মধ্যে কখনো অহঙ্কার স্থান পায় না। অপরপক্ষে যারা তার বিপরীত তারাই অহঙ্কারী, তারাই দাম্ভিক। তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব, কাফির।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সৃষ্টির মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হচ্ছে কাফির, যারা ঈমান আনে না। (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












