মন্তব্য কলাম
সংস্কারের রূপকার অন্তর্বর্তী সরকার কারাগার সংস্কারের বিষয়ে চরম নির্বিকার অবর্ণনীয়, মানবেতর অবস্থায় এবং মারাত্মক ও ভয়াবহ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের কারাগারগুলো কারাগারে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ মানবিক-মৌলিক প্রয়োজনীয় বিষয়াদীর ভয়াবহ বিপর্যয় ঔপনিবেশিক আইন বাদ দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে কারাগার পরিচালনা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ২রা রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১২ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের উদ্যোগ নিয়েছে কারা অধিদপ্তর। নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বকশীবাজারে কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন।
প্রসঙ্গত ২৪শের গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্খা বিশেষত: জালিম হাসিনার আয়নাঘর তথা কারাগারের সংস্কার নিয়ে তৎপরতাহীণতা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অনেকেই পট পরিবর্তনের কথা বলে কিন্তু পট পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেখানে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। এটা কোন ক্ষমতার পালাবদল নয়। এটি একটি রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান।
কারা সংস্কার প্রশ্নে এই বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন চাচ্ছে। কিন্তু সংস্কারবাদী অন্তর্বর্তী সরকার কারা সংস্কার করতে চাচ্ছে না, এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কারাগার সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এখনো কারাগারগুলো চলছে আগের ধাঁচে। নানা অপরাধের শাস্তিস্বরূপ অপরাধীদের কারাগারে বন্দী করা হয়। কারাগারে তাদের নতুন সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কারা কর্তৃপক্ষের আইনই সেখানে শেষ কথা। একজন আসামি সরকার প্রদত্ত যে ধরনের সুযোগ পাওয়ার কথা, তার ছিটেফোঁটাও পায় না। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও, তার কিছুই পায় না বন্দীরা।
বাংলাদেশে এখন মোট কারাগার ৬৮টি। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার, বাকিগুলো জেলা কারাগার। এসব কারাগারে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৪৫০ জন, কিন্তু আছে তার প্রায় দ্বিগুণ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের গত জানুয়ারির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তখন কারাগারে বন্দী ছিলো ৮২ হাজার ৬৫৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৯ হাজার ৪৫৪ জন ও নারী ৩ হাজার ২০০ জন। বলা হয়ে থাকে, বন্দী যত বাড়ে কারাগারের অবস্থা তত কাহিল হয়। অব্যবস্থাপনার মাত্রা তত বাড়ে। সেই অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দুর্নীতির জন্ম দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি এক বছর আগে কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির যেসব খাত খুঁজে পেয়েছে, সেগুলো হলো ক্যানটিনের অনিয়ম, বন্দী বেচাকেনা, সাক্ষাৎ-বাণিজ্য, সিট-বাণিজ্য, খাবার-বাণিজ্য, চিকিৎসা, পদায়ন ও জামিন-বাণিজ্য। এসবের পাশাপাশি রয়েছে দিনের পর দিন বিনা বিচারে নিরপরাধ নারী-পুরুষের কারাবন্দী থাকার করুণ কাহিনি।
সংস্কার কার্যক্রমে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ আছে। উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশিক্ষিত জনবল ও মনোবিজ্ঞানীর অভাব; বাজেট ঘাটতি ও সঠিক তদারকির অভাব।
কারগারে টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই মেলে না। আমাদের দেশে কারাগারগুলোর বড় সমস্যা হলো, এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দীকে থাকতে হয়। ফলে আবাসন, টয়লেট, গোসলের সমস্যা থাকে। জানা গেছে, স্থান সংকুলানের অভাবে কোনো কোনো কারাগারে পালাক্রমে ঘুমাতে হয় বন্দীদের। যথাসময়ে মেলে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। কিন্তু ভিআইপিরা রোগে আক্রান্ত না হয়েও হাসপাতালে দেদার থাকতে পারে। সেটা কীভাবে হয়, তা নিয়েও আসলে আলোচনা হওয়া দরকার। কারাগারে খাবারের পরিমাণ ও মান নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আবার কারা অভ্যন্তরে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে বন্দীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কারাফেরত বন্দিদের অভিযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কারাগারের নানা অনিয়ম নিয়ে অনেকবার খবরও প্রকাশিত হয়েছে। বন্দিদের ভাষায়, কারাগারের ভিতরটা হলো একটি অবৈধ ব্যবসা কেন্দ্র। সেখানে কয়েদীদের রয়েছে নানা সিন্ডিকেট। আছে কারাগারের কিছু অসৎ কর্মকর্তা।
কারাগারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্লক লিজ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কারাগারে যারা বন্দি হিসেবে যায়, তারা কোথায় থাকবে, কতটা ভালো থাকবে- তা নির্ভর করে তাদের উপর অর্থাৎ তাদের টাকার উপর কিংবা বাইরে থেকে প্রদর্শিত প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ প্রভাবের উপর। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই অপরাধ মোকাবিলার জন্য বন্দি অধিকার কমিশন (চৎরংড়হবৎং জরমযঃং ঈড়সসরংংরড়হ-চজঈ) প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যাতে দেশের সবগুলো কারাগার যে কোন সময় পরিদর্শন করার আইগত অধিকার ও সক্ষমতা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে একজন অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। কেননা, চার্জশিট না আসা পর্যন্ত একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল প্রসিডিং আরম্ভ হয় না এবং সে তখন পর্যন্ত নির্দোষও বটে এবং সাজাপ্রাপ্ত নয়। একজন অভিযুক্তকে তার মৌলিক অধিকার এবং তার পরিবারের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। অথচ অনেক কোর্টে শুনানিকালে লক্ষ করলে দেখা যায়, উক্ত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় না। এর অর্থ হলো এটাই যে, আমরা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং তার জীবনের স্বর্ণালি সময়গুলোকে সম্মান করতে ব্যর্থ হচ্ছি এবং অবহেলা করছি। এর ফলশ্রুতিতে মানবতা হচ্ছে ভূলুন্ঠিত ও দলিত। রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে কোনো অবস্থাতেই উন্নয়নশীল অথবা কল্যাণকামী রাষ্ট্র বলা যাবে না।
বাংলাদেশের কারা হাসপাতাল ও সেলবন্দি (বন্দিশালায় আটক) বন্দিদের উন্নত চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় বাংলাদেশের কারাগারগুলোর মধ্যে অনেক কারাগারেই নিজস্ব হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে, যেগুলোর দায়িত্ব সাধারণত কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হয়। তবে বেশিরভাগ কারা হাসপাতাল এখনো পর্যপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসাকর্মীর সংকটে ভুগছে। সাধারণ বন্দিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কিছুটা সহজলভ্য হলেও গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সেলবন্দি বন্দিদের ক্ষেত্রে (যাদের বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয় বা হাই-প্রোফাইল বন্দি হিসেবে গণ্য করা হয়), চিকিৎসার প্রাপ্তি আরও সীমিত হয়ে পড়ে।
১৮৯৪ সালের পুরনো চৎরংড়হ অপঃ বা কারা আইন এখনও ব্যবহার হচ্ছে। এই আইনের আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী সংশোধনের মাধ্যমে বন্দিদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছে।
দেশের ৬৮টি কারাগারে চিকিৎসকদের জন্য ১৪১টি অনুমোদিত পদ থাকলেও বাস্তবে চিকিৎসক আছে মাত্র ৬ জন। ফলে যক্ষ¥া, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা জটিল রোগ তো বটেই, এমনকি জ্বর, কাশি, চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা বন্দীরা বেশির ভাগ সময়ই পায় না। নারীদের চিকিৎসার জন্য কারাগারে গাইনি চিকিৎসক নেই, ফলে নারী বন্দীদের শরীরে নানা রোগ নিয়েই কারাগারে থাকতে হয়।
কারাবন্দীদের খাবার নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় খাদ্য নির্দেশিকায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির খাবারে ৪৫০ গ্রাম সবজি ও ৫০ গ্রাম মাছ বা গোশতের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হলেও কারাবন্দীদের জন্য বরাদ্দ ২৯১ গ্রাম সবজি ও ৩৬ দশমিক ৪৫ গ্রাম মাছ বা গোশত।
অভিযোগ হলো, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই খাবারটুকুও জোটে না কারাবন্দীদের। কারাগারের বন্দীদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য পণ্য লোপাটের কারণে বন্দীদের তিন বেলা যে খাবার দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত নিম্নমানের, পরিমাণেও থাকে কম। অবশ্য টাকা দিলে কিছুটা ভালো খাবার, ঘুমানোর জায়গা ও অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার শৌচাগার পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের কারাগারগুলো যেন হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার। এখানে নাগরিকদের যেভাবে দিনের পর দিন বিনা বিচারে আটক রাখা হয়, গাদাগাদি করে রেখে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, এই কারাব্যবস্থাকে আর যা-ই হোক, কোনো মানবিক সমাজের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।
বাংলাদেশে কারাগারের বাইরে যেমন, কারাগারের ভেতরেও মানবিক ও নাগরিক অধিকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এখানে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কারাবন্দীরা আরও বিপন্ন অবস্থায় থাকে। অথচ কারাগারের কাজ শুধু শাস্তি দেওয়া নয়, সংশোধন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে পুনর্বাসিত করাও। কিন্তু বাংলাদেশের কারাগারগুলো যেন হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার।
প্রসঙ্গত, কারাগার প্রকৃত অর্থে কোনো শাস্তির জায়গা নয়। এটি একটি সংশোধনাগার। কিন্তু নানা জটিলতায় বাংলাদেশের কারাগারগুলো সংশোধনাগার হতে পারছেনা। যার মূখ্য কারণই হচ্ছে দুর্নীতি ও সরকারের চরম অবহেলামূলক আচরণ।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র। আর কারাগারকে সংশোধনারে পরিণত করার এই তত্ত্ব সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার থেকেই উদ্ভব হয়েছে। বন্দি যেই হোক না কেন, তার জন্য উত্তম খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশনা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা খাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দিদের আহার করায়। ’ (পবিত্র সূরা দাহর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-৮)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “তোমরা বন্দিদের সাথে উত্তম আচরণ করো”। পাশাপাশি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শাসনের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল কারাগার প্রতিষ্ঠা। কোনোও অপরাধী প্রাপ্যের অতিরিক্ত কষ্ট যাতে পেতে না হয় তার সব ব্যবস্থা রেখেছিলেন। অর্থাৎ কারাগারকে প্রকৃত অর্থে সংশোধনাগারে পরিণত করতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশের কারাগারগুলোকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কারানীতি অনুসারে পরিচালনা করে তাহলে দেখা যাবে কারাগার হয়ে উঠবে সত্যিকার অর্থে সংশোধনাগার। সমাজে অপরাধ কমে যাবে। নৈতিকতাবোধ বাড়বে এবং অপরাধমূলক আচরণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












