সন্তানধারণ নারীর জীবনে সেরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি (পর্ব-১)
, ০৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
মা শব্দটি যতটা বলতে সহজ এবং ছোট দেখায় কিন্তু বাস্তবে মা হওয়ার সোভাগ্য যাদের হয়েছে তারাই জানেন মা হওয়ার মতো জান্নাতি সুখ পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর নেই। একজন নারী নিজ সন্তানের অস্তিত্বধারণ করা থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যায় যা ভাষা কিংবা শব্দমালা দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
বর্তমানে কথিত আধুনিকতার ছোয়ায় সিজারের মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারি করিয়ে তারা পরিপূর্ণ মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পারছে না, যা নিঃস্বন্দেহে বলা যায়। সিজারের মাধ্যমে সন্তান ভুমিষ্ট করে অজান্তেই নিজের এবং সন্তানের বড় ধরণের ক্ষতি করে ফেলছেন যা সেইসময় বুঝা না গেলেও দ্বিতীয় বা ততোধিক সন্তান নিতে গিয়ে হারে হারে টের পাচ্ছেন। তাছাড়াও সিজারকৃত মা এবং সন্তানের যে সমস্ত ক্ষতি হয়ে থাকে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
সিজারে সন্তানের ঝুঁকি:
- শ্বাসকষ্ট : সিজারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যার কারণে তারা জন্মের কয়েক দিন খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে (ক্ষণস্থায়ী ট্যাকিপনিয়া)। সাধারণত শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে লেবার পেইন শুরু হওয়া ব্যতীত সিজারিয়ান ডেলিভারিতে।
- ইনজুরি : অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত যন্ত্র থেকে নবজাতকের শরীরে আঘাত লাগতে পারে।
সিজারে মায়ের ঝুঁকি:
- রক্ত জমাট বাধা
- বুকে ব্যথা হওয়া
- অন্ত্রের সংক্রমিত হওয়া
- মূত্রাশয়ে সংক্রমিত হওয়া
- অত্যধিক রক্তপাত হওয়া
- পা ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া
- জরায়ুর আস্তরণ সংক্রমিত হওয়া
- ভবিষ্যতে গর্ভাধারণে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
- সেলাইয়ের স্থানে অস্বাভাবিক ব্যথা হওয়া
ইত্যাদি ক্ষতিসমূহ মা এবং সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মা -সন্তান সুস্থসবল জীবনযাপনে নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব অনস্বীকার্য!
নরমাল ডেলিভারির পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
- ডাঃ সাইয়্যিদা আলিশা আশরাফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












